ঢাকা ০৫:৩১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অভিভাবককে হাত-পা বেঁধে পেটালেন শিক্ষকরা

জাতীয় ডেস্কঃ
ভর্তি ফি ও মাসিক বেতন বৃদ্ধির কারণ জানতে চাওয়ায় এক অভিভাবককে হাত-পা বেঁধে পেটালেন শিক্ষকরা। ঘটনাটি কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নে ঘটেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সন্তানের পরীক্ষার ফলাফল খারাপ হওয়া, পূর্ব ঘোষণা ছাড়া ভর্তি ফি ও মাসিক বেতন বৃদ্ধির কারণ জানতে গিয়েছিলেন ঐ অভিভাবক। সেখানেই ঐ ব্যক্তিকে হাত-পা বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের খরুলিয়া কেজি অ্যান্ড প্রি-ক্যাডেট স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান্য শিক্ষকদের বিরুদ্ধে এ নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল রবিবার আয়াত উল্লাহ নামে ঐ অভিভাবকের ওপর খরুলিয়া কেজি অ্যান্ড প্রি-ক্যাডেট স্কুলের প্রধান শিক্ষক বোরহান উদ্দিন এবং স্কুল পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও খরুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জহিরুল হক এবং তাদের সঙ্গীরা মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন চালিয়েছে বলে অভিযোগ।
হাত-পা বেঁধে মারধরের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এরই মধ্যে ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় কক্সবাজার জেলায় তোলপাড় চলছে। ঘটনায় জতিড়দের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে স্থানীয়রা।
প্রত্যেক্ষদর্শী সূত্র জানায়, নির্যাতনে শিকার আয়াত উল্লাহর ছেলে শাহরিয়ার নাফিস আবির খরুলিয়া কেজি অ্যান্ড প্রি-ক্যাডেট স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র। সে প্রথম শ্রেণিতে ‘এ প্লাস’ না পাওয়ার বিষয়ে জানতে সকালে স্কুলের প্রধানশিক্ষক বোরহান উদ্দিনের কাছে যায় আয়াত উল্লাহ। একই সময় পূর্বঘোষণা ছাড়াই ভর্তি ও মাসিক কেন বাড়ানো হয়েছে বিষয়টিও জানতে চান তিনি।
এটা নিয়ে বোরহান উদ্দিনের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়।  ঘটনাটি এক পর্যায়ে হাতাহাতিতে রূপ নেয়। এ সময় ওই দুই শিক্ষক মিলে তাকে মারতে মারতে মাটিতে ফেল দেয়। পরে রশি দিয়ে তার হাত-পা বেঁধে ফেলে। পরে তার চিৎকার শুনে স্কুলের আঙ্গিনায় গিয়ে পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে।
ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মুরাদনগরে পলিথিন ব্যাগ বন্ধে সচেতনতামূলক প্রচারণা ও নেট ব্যাগ বিতরণ

অভিভাবককে হাত-পা বেঁধে পেটালেন শিক্ষকরা

আপডেট সময় ০৭:২৩:০৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ জানুয়ারী ২০১৮
জাতীয় ডেস্কঃ
ভর্তি ফি ও মাসিক বেতন বৃদ্ধির কারণ জানতে চাওয়ায় এক অভিভাবককে হাত-পা বেঁধে পেটালেন শিক্ষকরা। ঘটনাটি কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নে ঘটেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সন্তানের পরীক্ষার ফলাফল খারাপ হওয়া, পূর্ব ঘোষণা ছাড়া ভর্তি ফি ও মাসিক বেতন বৃদ্ধির কারণ জানতে গিয়েছিলেন ঐ অভিভাবক। সেখানেই ঐ ব্যক্তিকে হাত-পা বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের খরুলিয়া কেজি অ্যান্ড প্রি-ক্যাডেট স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান্য শিক্ষকদের বিরুদ্ধে এ নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল রবিবার আয়াত উল্লাহ নামে ঐ অভিভাবকের ওপর খরুলিয়া কেজি অ্যান্ড প্রি-ক্যাডেট স্কুলের প্রধান শিক্ষক বোরহান উদ্দিন এবং স্কুল পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও খরুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জহিরুল হক এবং তাদের সঙ্গীরা মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন চালিয়েছে বলে অভিযোগ।
হাত-পা বেঁধে মারধরের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এরই মধ্যে ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় কক্সবাজার জেলায় তোলপাড় চলছে। ঘটনায় জতিড়দের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে স্থানীয়রা।
প্রত্যেক্ষদর্শী সূত্র জানায়, নির্যাতনে শিকার আয়াত উল্লাহর ছেলে শাহরিয়ার নাফিস আবির খরুলিয়া কেজি অ্যান্ড প্রি-ক্যাডেট স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র। সে প্রথম শ্রেণিতে ‘এ প্লাস’ না পাওয়ার বিষয়ে জানতে সকালে স্কুলের প্রধানশিক্ষক বোরহান উদ্দিনের কাছে যায় আয়াত উল্লাহ। একই সময় পূর্বঘোষণা ছাড়াই ভর্তি ও মাসিক কেন বাড়ানো হয়েছে বিষয়টিও জানতে চান তিনি।
এটা নিয়ে বোরহান উদ্দিনের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়।  ঘটনাটি এক পর্যায়ে হাতাহাতিতে রূপ নেয়। এ সময় ওই দুই শিক্ষক মিলে তাকে মারতে মারতে মাটিতে ফেল দেয়। পরে রশি দিয়ে তার হাত-পা বেঁধে ফেলে। পরে তার চিৎকার শুনে স্কুলের আঙ্গিনায় গিয়ে পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে।