ঢাকা ১১:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘আলোচনা করে নির্বাচন এবং রাজনীতির গতিপথ নির্ধারণ করবেন’

জাতীয় ডেস্কঃ
একাদশতম জাতীয় সংসদ নির্বাচন কোন পদ্ধতিতে হবে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সেই প্রক্রিয়া ঠিক করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি। রাজনৈতিক দলগুলোকে আগামী নির্বাচনের অংশগ্রহনের আহ্বান জানিয়ে জাতির উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়ার বক্তব্যের প্রেক্ষিতে শুক্রবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে এই আহ্বান জানান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
ফখরুল ইসলাম সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, জনগণের আশা আকাঙ্খা পূরণ করার জন্য বিরোধী দল গুলোর সঙ্গে আলোচনা করে আগামী নির্বাচন এবং রাজনীতির গতিপথ নির্ধারণ করবেন। নতুন আশার আলো দেখাবেন।
তিনি বলেন, আমরা নির্বাচন অংশ নিতে চাই। কারণ আমরা বিশ্বাস করি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমেই জনগণের প্রতিনিধিত্বশীল সরকার প্রতিষ্ঠা হতে পারে। সেজন্য প্রয়োজন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির কারণে নির্বাচনকালীন সময়ে নিরপেক্ষ একটি সহায়ক সরকারের অধীনে একটি নিরপেক্ষ, সাহসী, যোগ্য নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় সকল দলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটি নির্বাচন। সে জন্য তৈরি করতে হবে একটি লেভেল পে­ইং ফিল্ড। বর্তমানে যে বিরোধী দল নির্মূল করার প্রক্রিয়া চলছে তা বন্ধ করতে হবে। সকল রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে মুক্তি দিতে হবে। মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। সভা, মিছিল, সমাবেশ করার সমান সুযোগ দিতে হবে। গণমাধ্যমকে স্বাধীনতা দিতে হবে। এক কথায় একটি প্রকৃত গণতান্ত্রিক পরিবেশ, রাজনীতিকে তার স্বাভাবিক চলার পথে চলতে দিতে হবে। উন্নয়নের কথা বলে, গণতন্ত্রকে হত্যা করে, জনগণের ভোটের অধিকার হরণ করে, একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করার অপচেষ্টা জনগণ কোনদিনই মেনে নেবেনা। আমরা এখনও আশা করি, প্রধানমন্ত্রী গণতন্ত্র ধ্বংস করার একদলীয় শাসন প্রবর্তনের ভয়ংকর রাস্তা থেকে সরে গিয়ে গণতন্ত্রের মুক্ত পথে চলবেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশবাসীর গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করে উন্নয়ণের নামে বর্তমান সরকার জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারছে না। বাক ও ব্যক্তি স্বাধীনতা ভূলুণ্ঠিত। আইনের শাসন অনুপস্থিত। মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নেই। দেশে এখন স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি নেই। সরকারের রথি মহারথিরা গণতন্ত্রের চাইতে উন্নয়নকে প্রাধান্য দেয়ার নামে সব সামাজিক চুক্তি ভঙ্গ করে জনগণকে শৃঙ্খলিত করছে।
ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বাঞ্ছারামপুর হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী কুস্তি খেলা

‘আলোচনা করে নির্বাচন এবং রাজনীতির গতিপথ নির্ধারণ করবেন’

আপডেট সময় ০৩:০২:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জানুয়ারী ২০১৭
জাতীয় ডেস্কঃ
একাদশতম জাতীয় সংসদ নির্বাচন কোন পদ্ধতিতে হবে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সেই প্রক্রিয়া ঠিক করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি। রাজনৈতিক দলগুলোকে আগামী নির্বাচনের অংশগ্রহনের আহ্বান জানিয়ে জাতির উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়ার বক্তব্যের প্রেক্ষিতে শুক্রবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে এই আহ্বান জানান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
ফখরুল ইসলাম সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, জনগণের আশা আকাঙ্খা পূরণ করার জন্য বিরোধী দল গুলোর সঙ্গে আলোচনা করে আগামী নির্বাচন এবং রাজনীতির গতিপথ নির্ধারণ করবেন। নতুন আশার আলো দেখাবেন।
তিনি বলেন, আমরা নির্বাচন অংশ নিতে চাই। কারণ আমরা বিশ্বাস করি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমেই জনগণের প্রতিনিধিত্বশীল সরকার প্রতিষ্ঠা হতে পারে। সেজন্য প্রয়োজন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির কারণে নির্বাচনকালীন সময়ে নিরপেক্ষ একটি সহায়ক সরকারের অধীনে একটি নিরপেক্ষ, সাহসী, যোগ্য নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় সকল দলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটি নির্বাচন। সে জন্য তৈরি করতে হবে একটি লেভেল পে­ইং ফিল্ড। বর্তমানে যে বিরোধী দল নির্মূল করার প্রক্রিয়া চলছে তা বন্ধ করতে হবে। সকল রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে মুক্তি দিতে হবে। মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। সভা, মিছিল, সমাবেশ করার সমান সুযোগ দিতে হবে। গণমাধ্যমকে স্বাধীনতা দিতে হবে। এক কথায় একটি প্রকৃত গণতান্ত্রিক পরিবেশ, রাজনীতিকে তার স্বাভাবিক চলার পথে চলতে দিতে হবে। উন্নয়নের কথা বলে, গণতন্ত্রকে হত্যা করে, জনগণের ভোটের অধিকার হরণ করে, একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করার অপচেষ্টা জনগণ কোনদিনই মেনে নেবেনা। আমরা এখনও আশা করি, প্রধানমন্ত্রী গণতন্ত্র ধ্বংস করার একদলীয় শাসন প্রবর্তনের ভয়ংকর রাস্তা থেকে সরে গিয়ে গণতন্ত্রের মুক্ত পথে চলবেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশবাসীর গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করে উন্নয়ণের নামে বর্তমান সরকার জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারছে না। বাক ও ব্যক্তি স্বাধীনতা ভূলুণ্ঠিত। আইনের শাসন অনুপস্থিত। মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নেই। দেশে এখন স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি নেই। সরকারের রথি মহারথিরা গণতন্ত্রের চাইতে উন্নয়নকে প্রাধান্য দেয়ার নামে সব সামাজিক চুক্তি ভঙ্গ করে জনগণকে শৃঙ্খলিত করছে।