মোঃ নাজিম উদ্দিনঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরের তিতাস নদীর ত্রিমোহনায় নির্মিত বিশ্বের সর্ববৃহৎ ওয়াই সেতু এখন উদ্বোধনের অপেক্ষা। এই ব্রিজটি চালু হলে বদলে যাবে বাঞ্ছারামপুর,মুরাদনগর ও হোমনা এলাকার চেহারা। ওয়াই আকৃতির কারণে সেতুটিকে নামকরণ করা হয়েছে “ওয়াই সেতু”।
মূল সেতুটির নির্মাণ কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে, সংযোগ সড়কের কাজও শেষ পর্যায়ে। ত্রি-মোহনার দুই অংশে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ভুরভুরিয়া ও চরলহনিয়া, অপরটি পশ্চিম অংশে কুমিল্লার রামকৃষ্ণপুর বাজার সংযুক্ত করেছে।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা প্রকৌশল অফিস সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ ও চীনের যৌথ উদ্যোগে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) তত্বাবধানে নাভানা বিল্ডার্সের আওতায় ২০১১ সালের ১৬ জুন নির্মাণ কাজ শুরু হয়। নির্মিত সেতুটির দৈর্ঘ্য ৭৭১ দশমিক ২০ মিটার, প্রস্থ ৮ দশমিক ১০মিটার। দৃষ্টিনন্দন এই সেতু নির্মাণে খরচ ধরা হয়েছে মূল সেতু ৮০ কোটি টাকা।
সংযোগ সড়কের ব্যয় ১২ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। জমি অধিগ্রহন সারে ৯ কোটি টাকা।এই সেতুটি নির্মাণের ফলে এলাকার যোগাযোগ ও বিনোদনের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে বলে মনে করছেন এলাকাবাসি। সেতুতে পাইল হয়েছে ৩০২টি। তিতাস নদীর ওপর এ সেতু নির্মিত হলে চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়কের বিকল্প পথ হিসেবেও কুমিল্লা দিয়ে তা ব্যবহৃত হবে বলে জানায় এলজিইডি। সেতুটি নির্মাণের ফলে কুমিল্লা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষ খুব কম সময়ে ঢাকায় যাতায়াত করতে পারবেন। তাদের আর চৌদ্দগ্রাম কিংবা গৌরীপুর হয়ে ঢাকা যেতে হবে না।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলার প্রকৌশলী এবিএম খোরশেদ আলম জানান, ওয়াই সেতুটি নির্মাণের ফলে বাঞ্ছারামপুর মুরাদনগর ও হোমনা উপজেলার জনগনের যোগাযোগ আরো সহজ হবে। এতে করে বাঞ্ছারামপুর এলাকায় উন্নয়নের এক নতুন দিগন্তের সৃষ্টি হবে।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শওকত ওসমান বলেন, এই ওয়াই সেতুটি নির্মানের ফলে ৩ অঞ্চলের জনগনের যোগাযোগ ব্যবস্থা আরো সহজ হয়েছে। কৃষি অর্থনৈতিতে গতিশীল ও পর্যটক শিল্প বিকাশে উন্নয়নে ভুমিকা রাখবে এই সেতুটি।
স্থানীয় সংসদ সদস্য ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) তাজুল ইসলাম বলেন, এই সেতুটি বিশ্বের সর্ববৃহৎ ওয়াই সেতু। এটি সেতুটি নির্মানের ফলে বাঞ্ছরামপুর মুরাদনগর ও হোমনা অঞ্চলের জনগনের কৃষি অর্থনীতি ও যোগাযোগ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে। সেতুটি কুমিল্লা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিকল্প পথ হিসেবে বাঞ্ছারামপুরকে ব্যবহার করা যাবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমরা বাঞ্ছরামপুর মুরাদনগর ও হোমনা জনগন কৃতজ্ঞ। অচিরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ে কথা বলে উদ্বোধন করা হবে।