ঢাকা ০৯:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ২২ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এন্টার্কটিকায় বরফ চাদরের নিচে ৯১ আগ্নেয়গিরি

28 Oct 2005, Ross Island, Antarctica --- Summit of Mt. Erebus casts a long shadow out over the Ross Sea. Mt.Erebus is the most active volcano in Antarctica, and one of a few in the world with a permanent lake of molten lava in its crater. --- Image by © George Steinmetz/Corbis

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্কঃ
সম্প্রতি এন্টার্কটিকায় বরফের নীচে একসঙ্গে ৯১টি আগ্নেয়গিরির সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। গবেষকদের মতে, এগুলি তুলনামূলকভাবে নতুন এবং কোনোদিনই দিনের আলো দেখেনি। তাদের শঙ্কা, এগুলিতে অগ্ন্যুৎপাত হলে বরফস্তরে ধস নামতে পারে। যার জেরে বাড়তে পারে পানির উচ্চতা। ফলে পৃথিবীর একটা বড় অংশ পানিতে তলিয়ে যেতে পারে। তবে, কিছুটা আশার আলোও পাওয়া গিয়েছে।
বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, বর্তমানে আগ্নেয়গিরিগুলি সুপ্ত অবস্থাতে রয়েছে। এই মুহূর্তে এগুলির জেগে ওঠার সম্ভাবনা খুবই কম। এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক দলটির প্রধান ম্যাক্স ভ্যান সতর্ক করে বলেছেন, ‘উষ্ণায়ণের জেরে বরফ গলতে শুরু করলে অগ্ন্যুৎপাত এড়ানো কঠিন হয়ে যাবে।’
জানা গেছে, আগ্নেয়গিরিগুলির মধ্যে সবচেয়ে বড়টির উচ্চতা প্রায় ৪ হাজার মিটার। যা উচ্চতায় সুইজারল্যান্ডের ইগার আগ্নেয়গিরির সমান। নতুন আবিষ্কৃত এই আগ্নেয় পার্বত্য অঞ্চলে ১শ’ থেকে ৩ হাজার ৮৫০ মিটার উচ্চতার পাহাড়ের সন্ধান মিলেছে। ম্যাক্স ভ্যানের কথায়, ‘আগ্নেয়গিরিগুলির সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১শ’-৪ হাজার মিটার পর্যন্ত। সবগুলিই বরফে ঢাকা।’ গবেষকদের ধারণা, রস আইসশেলফের নীচে বরফ ঢাকা ওই অঞ্চলে আরো বহু আগ্নেয়গিরি রয়েছে। সুতরাং, এটিই বিশ্বের সবচেয়ে বড় আগ্নেয়গিরি অঞ্চল হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
গবেষকরা আরো জানাচ্ছেন, বরফের পুরু চাদরে চাপা থাকায় আগ্নেয়গিরিগুলির ‘প্রাকৃতিক ভারসাম্য’ বজায় রয়েছে। তবে স্বস্তির খবর হচ্ছে, নতুন করে বরফও তৈরি হচ্ছে দক্ষিণ মেরুতে। এতোদিন পূর্ব আফ্রিকার আগ্নেয় পর্বতমালায় সবচেয়ে বেশি আগ্নেয়গিরি রয়েছে বলে মনে করা হতো। কিন্তু ভূতত্ত্ববিদরা মনে করছেন, সংখ্যার দিক থেকে ওই অঞ্চলকেও ছাপিয়ে যাবে পশ্চিম এন্টার্কটিকার এই অঞ্চল।
ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

এন্টার্কটিকায় বরফ চাদরের নিচে ৯১ আগ্নেয়গিরি

আপডেট সময় ০২:১৮:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ অগাস্ট ২০১৭
তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্কঃ
সম্প্রতি এন্টার্কটিকায় বরফের নীচে একসঙ্গে ৯১টি আগ্নেয়গিরির সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। গবেষকদের মতে, এগুলি তুলনামূলকভাবে নতুন এবং কোনোদিনই দিনের আলো দেখেনি। তাদের শঙ্কা, এগুলিতে অগ্ন্যুৎপাত হলে বরফস্তরে ধস নামতে পারে। যার জেরে বাড়তে পারে পানির উচ্চতা। ফলে পৃথিবীর একটা বড় অংশ পানিতে তলিয়ে যেতে পারে। তবে, কিছুটা আশার আলোও পাওয়া গিয়েছে।
বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, বর্তমানে আগ্নেয়গিরিগুলি সুপ্ত অবস্থাতে রয়েছে। এই মুহূর্তে এগুলির জেগে ওঠার সম্ভাবনা খুবই কম। এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক দলটির প্রধান ম্যাক্স ভ্যান সতর্ক করে বলেছেন, ‘উষ্ণায়ণের জেরে বরফ গলতে শুরু করলে অগ্ন্যুৎপাত এড়ানো কঠিন হয়ে যাবে।’
জানা গেছে, আগ্নেয়গিরিগুলির মধ্যে সবচেয়ে বড়টির উচ্চতা প্রায় ৪ হাজার মিটার। যা উচ্চতায় সুইজারল্যান্ডের ইগার আগ্নেয়গিরির সমান। নতুন আবিষ্কৃত এই আগ্নেয় পার্বত্য অঞ্চলে ১শ’ থেকে ৩ হাজার ৮৫০ মিটার উচ্চতার পাহাড়ের সন্ধান মিলেছে। ম্যাক্স ভ্যানের কথায়, ‘আগ্নেয়গিরিগুলির সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১শ’-৪ হাজার মিটার পর্যন্ত। সবগুলিই বরফে ঢাকা।’ গবেষকদের ধারণা, রস আইসশেলফের নীচে বরফ ঢাকা ওই অঞ্চলে আরো বহু আগ্নেয়গিরি রয়েছে। সুতরাং, এটিই বিশ্বের সবচেয়ে বড় আগ্নেয়গিরি অঞ্চল হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
গবেষকরা আরো জানাচ্ছেন, বরফের পুরু চাদরে চাপা থাকায় আগ্নেয়গিরিগুলির ‘প্রাকৃতিক ভারসাম্য’ বজায় রয়েছে। তবে স্বস্তির খবর হচ্ছে, নতুন করে বরফও তৈরি হচ্ছে দক্ষিণ মেরুতে। এতোদিন পূর্ব আফ্রিকার আগ্নেয় পর্বতমালায় সবচেয়ে বেশি আগ্নেয়গিরি রয়েছে বলে মনে করা হতো। কিন্তু ভূতত্ত্ববিদরা মনে করছেন, সংখ্যার দিক থেকে ওই অঞ্চলকেও ছাপিয়ে যাবে পশ্চিম এন্টার্কটিকার এই অঞ্চল।