ঢাকা ০১:৩৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করোনায় আরও ৭ মৃত্যু, আক্রান্ত ১৩ হাজার ছাড়াল

জাতীয় ডেস্কঃ

বাংলাদেশে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে প্রাণঘাতী ভাইরাস করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা। মৃতের সংখ্যাতেও যোগ হচ্ছে নতুন নতুন নাম।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আক্রান্তের তালিকায় যুক্ত হয়েছেন আরও ৭০৯ জন। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১৩ হাজার ১৩৪ জনে। একই সময়ে সাতজনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০৬ জনে। এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৯১ জন সুস্থ হওয়ায় সব মিলিয়ে সুস্থ হয়েছেন দুই হাজার ১০১ জন।

শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে যুক্ত হয়ে করোনাভাইরাস সর্বশেষ পরিস্থিতি তুলে ধরেন অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা।

নাসিমা সুলতানা বলেন, এই ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে পাঁচ হাজার ৯৪১টি। নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল পাঁচ হাজার ৭০৭টি। আগের সংগ্রহ থেকেও পরীক্ষা করা হয়েছে। সবমিলে মোট পরীক্ষা করা হয়েছে ৯৯ হাজার ৪৬২টি।

২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া সাতজনের মধ্যে পাঁচজন পুরুষ। দুইজন নারী। তাদের বয়স বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ৯০ বছরের বেশি বয়সের একজন। ৭১ থেকে ৮০ বছরের দুইজন। ৬১ থেকে ৭০ বছরের দুইজন। ৫১ থেকে ৬০ বছরের দুইজন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন এই কর্মকর্তা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ১০৩ জন। মোট আইসোলেশনে আছেন এক হাজার ৮৭৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে এসেছেন দুই হাজার ৬১৯ জন।

নাসিমা সুলতানা বলেন, দেশে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ৬৪ জেলায় ৬১৫টি প্রতিষ্ঠান প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে এসব প্রতিষ্ঠানে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের সেবা দেওয়া যাবে ৩০ হাজার ৯৫৫ জনকে।

চীনের উহান থেকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী ভাইরাস করোনা বাংলাদেশে প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। সেদিন তিনজনের শরীরে করোনা শনাক্তের কথা জানিয়েছিল আইইডিসিআর।

এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। দিন দিন করোনা রোগী শনাক্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ায় নড়েচড়ে বসে সরকার।

ভাইরাসটি যেন ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য ২৬ মার্চ থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয় সব সরকারি-বেসরকারি অফিস। কয়েক দফা বাড়ানো হয় সেই ছুটি, যা এখনও অব্যাহত আছে। ষষ্ঠ দফায় বাড়ানো ছুটি চলবে ১৬ মে পর্যন্ত।

করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের সংখ্যা ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার তথ্যানুযায়ী শুক্রবার বিকাল তিনটা পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২ লাখ ৭০ হাজার ৮৮০ জন। এছাড়া ভাইরাসটিতে সারা বিশ্বে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৩৯ লাখ ৩০ হাজার ৮৫২ জন।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগরে বিএনপির নেতা ও বিএনপিকে জড়িয়ে মিথ্যা অপপ্রচারের প্রতিবাদে মানববন্ধন

করোনায় আরও ৭ মৃত্যু, আক্রান্ত ১৩ হাজার ছাড়াল

আপডেট সময় ১১:০৩:১৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ মে ২০২০

জাতীয় ডেস্কঃ

বাংলাদেশে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে প্রাণঘাতী ভাইরাস করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা। মৃতের সংখ্যাতেও যোগ হচ্ছে নতুন নতুন নাম।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আক্রান্তের তালিকায় যুক্ত হয়েছেন আরও ৭০৯ জন। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১৩ হাজার ১৩৪ জনে। একই সময়ে সাতজনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০৬ জনে। এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৯১ জন সুস্থ হওয়ায় সব মিলিয়ে সুস্থ হয়েছেন দুই হাজার ১০১ জন।

শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে যুক্ত হয়ে করোনাভাইরাস সর্বশেষ পরিস্থিতি তুলে ধরেন অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা।

নাসিমা সুলতানা বলেন, এই ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে পাঁচ হাজার ৯৪১টি। নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল পাঁচ হাজার ৭০৭টি। আগের সংগ্রহ থেকেও পরীক্ষা করা হয়েছে। সবমিলে মোট পরীক্ষা করা হয়েছে ৯৯ হাজার ৪৬২টি।

২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া সাতজনের মধ্যে পাঁচজন পুরুষ। দুইজন নারী। তাদের বয়স বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ৯০ বছরের বেশি বয়সের একজন। ৭১ থেকে ৮০ বছরের দুইজন। ৬১ থেকে ৭০ বছরের দুইজন। ৫১ থেকে ৬০ বছরের দুইজন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন এই কর্মকর্তা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ১০৩ জন। মোট আইসোলেশনে আছেন এক হাজার ৮৭৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে এসেছেন দুই হাজার ৬১৯ জন।

নাসিমা সুলতানা বলেন, দেশে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ৬৪ জেলায় ৬১৫টি প্রতিষ্ঠান প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে এসব প্রতিষ্ঠানে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের সেবা দেওয়া যাবে ৩০ হাজার ৯৫৫ জনকে।

চীনের উহান থেকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী ভাইরাস করোনা বাংলাদেশে প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। সেদিন তিনজনের শরীরে করোনা শনাক্তের কথা জানিয়েছিল আইইডিসিআর।

এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। দিন দিন করোনা রোগী শনাক্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ায় নড়েচড়ে বসে সরকার।

ভাইরাসটি যেন ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য ২৬ মার্চ থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয় সব সরকারি-বেসরকারি অফিস। কয়েক দফা বাড়ানো হয় সেই ছুটি, যা এখনও অব্যাহত আছে। ষষ্ঠ দফায় বাড়ানো ছুটি চলবে ১৬ মে পর্যন্ত।

করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের সংখ্যা ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার তথ্যানুযায়ী শুক্রবার বিকাল তিনটা পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২ লাখ ৭০ হাজার ৮৮০ জন। এছাড়া ভাইরাসটিতে সারা বিশ্বে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৩৯ লাখ ৩০ হাজার ৮৫২ জন।