ঢাকা ০৫:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুমিল্লায় ভোট কেন্দ্রে ককটেল নিক্ষেপ, ব্যালটে জোরপূর্বক সিল

কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লার ৮টি ইউনিয়নে আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ভোট গ্রহণ চলছে। এর মধ্যে জেলার বরুড়ার ৯ নম্বর দক্ষিণ শিলমুড়ি ইউনিয়নের ৯টি ভোট কেন্দ্র থেকে বিএনপি প্রার্থী শাহ আলমের এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেছেন। এছাড়া শিলমুড়ি উত্তর ইউনিয়নের জয়কামতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ককটেল বিস্ফোরণে আতঙ্ক সৃষ্টি করে নৌকা প্রতীকে সিল মারার ঘটনা ঘটেছে।
বরুড়ার তিনটি ইউনিয়নের বিএনপি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা তাদের এজেন্টদের ভয়ভীতি প্রদর্শনে কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়ে ব্যালটে সিল মারার অভিযোগ করলেও এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা। তবে বেলা ১টার দিকে তিনটি ইউনিয়নের বেশিরভাগ কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি তেমন দেখা যায়নি।
সকাল পৌনে ৯টার দিকে ওই ইউনিয়নের বাঁশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে বিএনপির প্রার্থী শাহ আলম সাংবাদিকদের জানান, নৌকার সমর্থকরা সকল কেন্দ্র থেকে তার এজেন্টদের বের করে দিয়েছে। এছাড়াও কেন্দ্রের বাইরে তার সমর্থকদের কেন্দ্রে যেতে বাধা দেয়া হচ্ছে। এ সময় কেন্দ্রের অদূরে নৌকার সমর্থকদের রাস্তায় মহড়া দিতে দেখা গেছে। সকাল সাড়ে ৯টার লগ্নসার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং সকাল ১০টা ৬ মিনিটে জয়কামতা ভোট কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় অনেকটা ভোটার শূন্য।
ভোটাররা জানান, সকাল ৯টার দিকে শিলমুড়ি উত্তর ইউনিয়নের জয়কামতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৯টা ৫৫ মিনিটে ককটেল বিস্ফোরণ হলে যা কিছু ভোটার ছিল তারাও ভয়ে কেন্দ্র ছেড়ে চলে গেছে। পরে নৌকার কর্মীরা ব্যালট পেপারে সিল মেরে বাক্স ভর্তি করে। ওই ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী এনায়েত উল্লাহ খান (হোন্ডা) সাংবাদিকদের নিকট অভিযোগ করে বলেন, ওই কেন্দ্রে নৌকার সমর্থকরা নৌকা ছাড়া অন্যান্য প্রার্থীদের এজেন্টদের বের করে দিয়ে অনেকটা প্রকাশ্যেই নৌকা প্রতিকে সিল মেরে বাক্স ভর্তি করলেও পুলিশ এবং ভোট গ্রহণ কর্মকর্তারা কোন পদক্ষেপ নেননি।
বেলা ১২টার দিকে জয়কামতা কেন্দ্র ভোটার শূন্য দেখা যায়। ওই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার ও বরুড়ার পয়ালগাছা কলেজের অধ্যাপক সুনীলেশ মজুমদার জানান, সিল মারা ব্যালটগুলো বাতিল করা হবে। কেন্দ্রে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তারা সুষ্ঠু ভোট গ্রহণের জন্য ভূমিকা নিচ্ছে না, তাই তার কিছুই করার নেই বলেও তিনি সাংবাদিকদের জানান।
তবে এ বিষয়ে জেলা নির্বাচন অফিসার অফিসার মো. খোরশেদ আলম জানান, কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও কোথাও বড় ধরনের সমস্যা হয়নি, শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চলছে।
ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

শিক্ষার্থীদের উপর হামলার প্রতিবাদে মুরাদনগরে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ

কুমিল্লায় ভোট কেন্দ্রে ককটেল নিক্ষেপ, ব্যালটে জোরপূর্বক সিল

আপডেট সময় ১২:১৭:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মার্চ ২০১৮
কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লার ৮টি ইউনিয়নে আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ভোট গ্রহণ চলছে। এর মধ্যে জেলার বরুড়ার ৯ নম্বর দক্ষিণ শিলমুড়ি ইউনিয়নের ৯টি ভোট কেন্দ্র থেকে বিএনপি প্রার্থী শাহ আলমের এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেছেন। এছাড়া শিলমুড়ি উত্তর ইউনিয়নের জয়কামতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ককটেল বিস্ফোরণে আতঙ্ক সৃষ্টি করে নৌকা প্রতীকে সিল মারার ঘটনা ঘটেছে।
বরুড়ার তিনটি ইউনিয়নের বিএনপি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা তাদের এজেন্টদের ভয়ভীতি প্রদর্শনে কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়ে ব্যালটে সিল মারার অভিযোগ করলেও এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা। তবে বেলা ১টার দিকে তিনটি ইউনিয়নের বেশিরভাগ কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি তেমন দেখা যায়নি।
সকাল পৌনে ৯টার দিকে ওই ইউনিয়নের বাঁশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে বিএনপির প্রার্থী শাহ আলম সাংবাদিকদের জানান, নৌকার সমর্থকরা সকল কেন্দ্র থেকে তার এজেন্টদের বের করে দিয়েছে। এছাড়াও কেন্দ্রের বাইরে তার সমর্থকদের কেন্দ্রে যেতে বাধা দেয়া হচ্ছে। এ সময় কেন্দ্রের অদূরে নৌকার সমর্থকদের রাস্তায় মহড়া দিতে দেখা গেছে। সকাল সাড়ে ৯টার লগ্নসার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং সকাল ১০টা ৬ মিনিটে জয়কামতা ভোট কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় অনেকটা ভোটার শূন্য।
ভোটাররা জানান, সকাল ৯টার দিকে শিলমুড়ি উত্তর ইউনিয়নের জয়কামতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৯টা ৫৫ মিনিটে ককটেল বিস্ফোরণ হলে যা কিছু ভোটার ছিল তারাও ভয়ে কেন্দ্র ছেড়ে চলে গেছে। পরে নৌকার কর্মীরা ব্যালট পেপারে সিল মেরে বাক্স ভর্তি করে। ওই ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী এনায়েত উল্লাহ খান (হোন্ডা) সাংবাদিকদের নিকট অভিযোগ করে বলেন, ওই কেন্দ্রে নৌকার সমর্থকরা নৌকা ছাড়া অন্যান্য প্রার্থীদের এজেন্টদের বের করে দিয়ে অনেকটা প্রকাশ্যেই নৌকা প্রতিকে সিল মেরে বাক্স ভর্তি করলেও পুলিশ এবং ভোট গ্রহণ কর্মকর্তারা কোন পদক্ষেপ নেননি।
বেলা ১২টার দিকে জয়কামতা কেন্দ্র ভোটার শূন্য দেখা যায়। ওই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার ও বরুড়ার পয়ালগাছা কলেজের অধ্যাপক সুনীলেশ মজুমদার জানান, সিল মারা ব্যালটগুলো বাতিল করা হবে। কেন্দ্রে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তারা সুষ্ঠু ভোট গ্রহণের জন্য ভূমিকা নিচ্ছে না, তাই তার কিছুই করার নেই বলেও তিনি সাংবাদিকদের জানান।
তবে এ বিষয়ে জেলা নির্বাচন অফিসার অফিসার মো. খোরশেদ আলম জানান, কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও কোথাও বড় ধরনের সমস্যা হয়নি, শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চলছে।