ঢাকা ০৫:২৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কুমিল্লায় মামার ঘরে ভাগিনার লাশ

কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ

কুমিল্লা নগরীর বাগিচাগাঁও এলাকায় মোহাম্মদ মাসুদ নামের এক চা দোকানির ঘরে একটি শিশুর লাশ পাওয়া গেছে। ওই শিশুর নাম মোহাম্মদ শাহপরান (১২)। সে চান্দিনা উপজেলার বসন্তপুর গ্রামের মোখলেছুর রহমানের ছেলে। সে সম্পর্কে মাসুদের ভাগিনা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শাহপরান গত দুই বছর ধরে মাসুদের চা দোকানে সহযোগীর কাজ করতো।

শিশুটির মামা মোহাম্মদ মাসুদ জানান, শুক্রবার সকাল ১০টায় আমি ঘুম থেকে উঠলেও শাহপরান তখনো ঘুমাচ্ছিল। পরে আমি তাকে জাগিয়ে তুলতে গেলে দেখি সে নড়াচড়া করছে না। তখন আশপাশের কয়েকজনকে ডেকে তাকে নিকটস্থ কুমিল্লা ডায়বেটিস হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

শাহপরানের মা লাশের পাশে দাঁড়িয়ে বলছিলেন, ‘আমার ছেলে এবার আর আসতে চাইছিল না। শাহপরান একাধিকবার আমাকে জানিয়েছে, তার এখানে ভালো লাগে না। কিন্তু মাসুদ আর তার বউ গিয়ে আমার ছেলেকে জোর করে নিয়ে এসেছে।’

তিনি অভিযোগ করেন, ‘আমার ছেলে কি করে মারা গেল? তার মুখ কালো কেন? তার মুখে রক্ত কেন? আমারে ছেলেরে তারা মাইরা ফেলছে।’

কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কমল কৃষ্ণ ধর বলেন, ‘আমি ঘটনার বিষয়ে জেনেছি। আমরা তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাইনি। তবুও আমরা লাশটি কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছি। আমরা এই ঘটনার তদন্ত করবো।’

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ফোনালাপ নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বার্তা

কুমিল্লায় মামার ঘরে ভাগিনার লাশ

আপডেট সময় ০২:০৯:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ জানুয়ারী ২০২২

কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ

কুমিল্লা নগরীর বাগিচাগাঁও এলাকায় মোহাম্মদ মাসুদ নামের এক চা দোকানির ঘরে একটি শিশুর লাশ পাওয়া গেছে। ওই শিশুর নাম মোহাম্মদ শাহপরান (১২)। সে চান্দিনা উপজেলার বসন্তপুর গ্রামের মোখলেছুর রহমানের ছেলে। সে সম্পর্কে মাসুদের ভাগিনা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শাহপরান গত দুই বছর ধরে মাসুদের চা দোকানে সহযোগীর কাজ করতো।

শিশুটির মামা মোহাম্মদ মাসুদ জানান, শুক্রবার সকাল ১০টায় আমি ঘুম থেকে উঠলেও শাহপরান তখনো ঘুমাচ্ছিল। পরে আমি তাকে জাগিয়ে তুলতে গেলে দেখি সে নড়াচড়া করছে না। তখন আশপাশের কয়েকজনকে ডেকে তাকে নিকটস্থ কুমিল্লা ডায়বেটিস হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

শাহপরানের মা লাশের পাশে দাঁড়িয়ে বলছিলেন, ‘আমার ছেলে এবার আর আসতে চাইছিল না। শাহপরান একাধিকবার আমাকে জানিয়েছে, তার এখানে ভালো লাগে না। কিন্তু মাসুদ আর তার বউ গিয়ে আমার ছেলেকে জোর করে নিয়ে এসেছে।’

তিনি অভিযোগ করেন, ‘আমার ছেলে কি করে মারা গেল? তার মুখ কালো কেন? তার মুখে রক্ত কেন? আমারে ছেলেরে তারা মাইরা ফেলছে।’

কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কমল কৃষ্ণ ধর বলেন, ‘আমি ঘটনার বিষয়ে জেনেছি। আমরা তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাইনি। তবুও আমরা লাশটি কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছি। আমরা এই ঘটনার তদন্ত করবো।’