ঢাকা ০৩:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুমিল্লায় মেয়েকে ধর্ষণ করতে বাবাকে অপহরণ

কুমিল্লা প্রতিনিধি:

কুমিল্লায় কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণ করতে তার বাবা আজাদ হোসেনকে অপহরণ করা হয়েছে। ঘটনা জানার পর তাৎক্ষণিকভাবে অভিযানে মাঠে নামে পুলিশ এবং ২ ঘণ্টার মধ্যে নাটকীয় কায়দায় নগরীর নেউড়া এলাকার একটি ছয়তলা ভবনের নিচতলা হতে শেকল বাধা অবস্থায় ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় অপহরণকারী চক্রের জামাল মিয়া নামে একজনকে আটক করা হয়েছে।

শনিবার জেলার আদর্শ সদর উপজেলার দৌলতপুর এলাকা হতে ভিকটিমকে অপহরণ করা হয়েছিল।

রবিবার সন্ধ্যায় প্রেসব্রিফিং করে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান কুমিল্লা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর-এ সার্কেল) তানভীর সালেহীন ইমন। এদিকে এ ঘটনায় ভিকটিমের স্ত্রী বাদী হয়ে রবিবার রাত ৮টার দিকে ৪জনকে আসামি করে কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তানভীর সালেহীন ইমন সাংবাদিকদের জানান, আদর্শ সদর উপজেলার দৌলতপুর এলাকার আবদুর রশিদের ছেলে আজাদ হোসেন (৪৫) গত শনিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে বাড়ি হতে বের হয়ে তার বোনের বাড়ি পার্শ্ববর্তী সদর দক্ষিণ উপজেলার রাজারখোলা গ্রামে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে দৌলতপুর এলাকার চিশতিয়া জুট মিলের সামনে গেলে সেখানে সাদা রংয়ের একটি প্রাইভেট কারে ৪ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি তার গতি রোধ করে এবং ডিবি পুলিশ পরিচয়ে গামছা দিয়ে চোখ বেঁধে গাড়িতে করে তাকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। পরে সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে অপহরণকারীরা আজাদ হোসেনের মেয়েকে মোবাইলে ফোন করে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে নগরীর নেউড়া এলাকায় যেতে বলে এবং তার বাবার সাথে কথা বলিয়ে দেয়। রাত পৌনে ৯টার দিকে ভিকটিমের মেয়ে বিষয়টি কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশকে জানায়।

তিনি আরও জানান, তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অপহরণকারীদের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলামের নির্দেশে পুলিশের ২টি টিম ভিকটিমের মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। অভিযানের একপর্যায়ে ভিকটিম আজাদ হোসেনকে নগরীর নেউড়া ইকো পার্কের পাশে একটি ছয়তলা ভবনের নিচ তলা হতে শেকল বাধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ৩ জন অপহরণকারী পালিয়ে গেলেও ঘটনাস্থল হতে জামাল মিয়া নামে এক অপহরণকারীকে আটক করা হয়। আটক জামাল মিয়া জেলার বুড়িচং উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের বারেশ্বর গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে। সে নগরীর নেউড়া এলাকায় জনৈক জহিরুল ইসলামের বাড়িতে ভাড়া থাকতো।

ভিকটিম আজাদ হোসেন বলেন, মূলত তাকে জিম্মি করে তার মেয়েকে ধর্ষণের উদ্দেশে অপহরণকারীরা এই ঘটনা সৃষ্টি করে এবং এ বিষয়ে তারা পারস্পরিক আলোচনা করছিল। পুলিশের সহায়তায় আমি উদ্ধার হয়েছি এবং আমার মেয়ে একটি বড় ধরণের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে।

কোতয়ালী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সালাহউদ্দিন জানান, এ ঘটনায় ভিকটিম আজাদ হোসেনের স্ত্রী মোরশেদা বেগম বাদী হয়ে রবিবার রাত ৮টার দিকে ৪জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। মামলার পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলছে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ

কুমিল্লায় মেয়েকে ধর্ষণ করতে বাবাকে অপহরণ

আপডেট সময় ০৪:২৯:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০১৯

কুমিল্লা প্রতিনিধি:

কুমিল্লায় কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণ করতে তার বাবা আজাদ হোসেনকে অপহরণ করা হয়েছে। ঘটনা জানার পর তাৎক্ষণিকভাবে অভিযানে মাঠে নামে পুলিশ এবং ২ ঘণ্টার মধ্যে নাটকীয় কায়দায় নগরীর নেউড়া এলাকার একটি ছয়তলা ভবনের নিচতলা হতে শেকল বাধা অবস্থায় ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় অপহরণকারী চক্রের জামাল মিয়া নামে একজনকে আটক করা হয়েছে।

শনিবার জেলার আদর্শ সদর উপজেলার দৌলতপুর এলাকা হতে ভিকটিমকে অপহরণ করা হয়েছিল।

রবিবার সন্ধ্যায় প্রেসব্রিফিং করে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান কুমিল্লা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর-এ সার্কেল) তানভীর সালেহীন ইমন। এদিকে এ ঘটনায় ভিকটিমের স্ত্রী বাদী হয়ে রবিবার রাত ৮টার দিকে ৪জনকে আসামি করে কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তানভীর সালেহীন ইমন সাংবাদিকদের জানান, আদর্শ সদর উপজেলার দৌলতপুর এলাকার আবদুর রশিদের ছেলে আজাদ হোসেন (৪৫) গত শনিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে বাড়ি হতে বের হয়ে তার বোনের বাড়ি পার্শ্ববর্তী সদর দক্ষিণ উপজেলার রাজারখোলা গ্রামে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে দৌলতপুর এলাকার চিশতিয়া জুট মিলের সামনে গেলে সেখানে সাদা রংয়ের একটি প্রাইভেট কারে ৪ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি তার গতি রোধ করে এবং ডিবি পুলিশ পরিচয়ে গামছা দিয়ে চোখ বেঁধে গাড়িতে করে তাকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। পরে সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে অপহরণকারীরা আজাদ হোসেনের মেয়েকে মোবাইলে ফোন করে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে নগরীর নেউড়া এলাকায় যেতে বলে এবং তার বাবার সাথে কথা বলিয়ে দেয়। রাত পৌনে ৯টার দিকে ভিকটিমের মেয়ে বিষয়টি কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশকে জানায়।

তিনি আরও জানান, তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অপহরণকারীদের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলামের নির্দেশে পুলিশের ২টি টিম ভিকটিমের মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। অভিযানের একপর্যায়ে ভিকটিম আজাদ হোসেনকে নগরীর নেউড়া ইকো পার্কের পাশে একটি ছয়তলা ভবনের নিচ তলা হতে শেকল বাধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ৩ জন অপহরণকারী পালিয়ে গেলেও ঘটনাস্থল হতে জামাল মিয়া নামে এক অপহরণকারীকে আটক করা হয়। আটক জামাল মিয়া জেলার বুড়িচং উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের বারেশ্বর গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে। সে নগরীর নেউড়া এলাকায় জনৈক জহিরুল ইসলামের বাড়িতে ভাড়া থাকতো।

ভিকটিম আজাদ হোসেন বলেন, মূলত তাকে জিম্মি করে তার মেয়েকে ধর্ষণের উদ্দেশে অপহরণকারীরা এই ঘটনা সৃষ্টি করে এবং এ বিষয়ে তারা পারস্পরিক আলোচনা করছিল। পুলিশের সহায়তায় আমি উদ্ধার হয়েছি এবং আমার মেয়ে একটি বড় ধরণের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে।

কোতয়ালী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সালাহউদ্দিন জানান, এ ঘটনায় ভিকটিম আজাদ হোসেনের স্ত্রী মোরশেদা বেগম বাদী হয়ে রবিবার রাত ৮টার দিকে ৪জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। মামলার পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলছে।