ঢাকা ০২:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কুমিল্লায় ময়নামতির রাণীর প্রাসাদ এখন গোচারণ ভূমি’’ রাতে বসে মাদকের আড্ডা

মাহফুজ আহম্মেদ:

প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অযত্ন অবহেলা আর সঠিক পরিচর্যা ও তদারকি না থাকায় কুমিল্লার ঐতিহাসিক প্রাচীন স্থাপনা ময়নামতির রাণীর প্রাসাদ এখন গোচারণ ভূমি।ইচ্ছে অনুযায়ী চলছে খোঁড়াখুঁড়ি।কর্তৃপক্ষে গাফেলতি ও উদাসীনতায় যথাযথ পর্যবেক্ষণ না থাকায় প্রাকৃতিক দৃষ্টিনন্দন ও পর্যটন সম্ভাবনাময় এই স্থানটি দিন দিন হারাচ্ছে তার সৌন্দর্য এবং গৌরব।

শনিবার বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় প্রাচীন ঐতিহ্যময়ী ময়নামতির রাণী প্রাসাদের প্রবেশ মুখের গেইটের পিলার গুলো ভেঙ্গে পরে আছে।ঐতিহাসিক এ স্থানটির কোন নিরাপত্তা বেষ্টনী না থাকায় স্থানীয়রা নিজেদের প্রয়োজনে ব্যাবহার করছে ভূমী। গরু ছাগল অবাধে বিচরণ করছে পুরো পাহাড় জুড়ে।অভিযোগ রয়েছে এক সময় অনেক পর্যটক দুর দুরান্ত থেকে দেখতে আসিত প্রতিদিনই। তবে নানা কারনে এখন আর তেমন একটা পর্যটক আসে না বললেই চলে। অভিযোগ রয়েছে সন্ধ্যা নামলেই রাণীর প্রাসাদ এলাকায় জমে ওঠে স্থানীয় মাদকসবীদের আড্ডা। রাতভর চলে ইয়াবা গাজা মদ ও ফেন্সীডিলের আসর আর বখাটেদের আনাগোনা।

দেখা গেছে প্রাসাদের গেটের কাছেই প্রত্ততত্ত্ব বিভাগের সরকারী ভূমী দখল করে গড়ে উঠেছে একাধীক স্থাপনা ও দোকানপাট। প্রাসাদের পশ্চিমাংশে মন্দিরের পাশের একটি অংশ খোঁড়াখুঁড়ি করা সহ ও গাছপালা কেটে ফেলা হয়েছে।এভাবে অযত্ন আর অবহেলা এবং সঠিক পরিচর্যা না থাকলে বাংলাদেশ প্রাচীন ও কুমিল্লার ঐতিহাসিক এ স্থানটি এক সময় আর হয়তো থাকবে না সৌন্দর্যময় স্থান গুলোর তালিকায় ।ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কেবল পাঠ্যপুস্তকেই জানবে রাণী ময়নামতির ইতিহাস, সরেজমিনে দেখা হবে না প্রচীন সভ্যতা ।অথচ অপার সৌন্দর্যের লীলাভূমি বিশাল এ প্রাচীন স্থাপনাটি সঠিক পর্যবেক্ষণ এবং পরিচর্যায় হয়ে উঠতে পারে কুমিল্লা তথা বাংলাদের সেরা পর্যটন গুলোর একটি।তাই অবিলম্বে বাংলাদের গৌরবময় এ প্রাচীন স্থাপনাটি এবং এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রক্ষায় কর্তৃপক্ষের যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহন সহ সংশ্লিষ্ট সরকারী মহলের সুদৃষ্টি কামনা করছি

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মুরাদনগরে পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় খুন লাশ গুম

কুমিল্লায় ময়নামতির রাণীর প্রাসাদ এখন গোচারণ ভূমি’’ রাতে বসে মাদকের আড্ডা

আপডেট সময় ১২:৩০:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ অক্টোবর ২০১৭
মাহফুজ আহম্মেদ:

প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অযত্ন অবহেলা আর সঠিক পরিচর্যা ও তদারকি না থাকায় কুমিল্লার ঐতিহাসিক প্রাচীন স্থাপনা ময়নামতির রাণীর প্রাসাদ এখন গোচারণ ভূমি।ইচ্ছে অনুযায়ী চলছে খোঁড়াখুঁড়ি।কর্তৃপক্ষে গাফেলতি ও উদাসীনতায় যথাযথ পর্যবেক্ষণ না থাকায় প্রাকৃতিক দৃষ্টিনন্দন ও পর্যটন সম্ভাবনাময় এই স্থানটি দিন দিন হারাচ্ছে তার সৌন্দর্য এবং গৌরব।

শনিবার বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় প্রাচীন ঐতিহ্যময়ী ময়নামতির রাণী প্রাসাদের প্রবেশ মুখের গেইটের পিলার গুলো ভেঙ্গে পরে আছে।ঐতিহাসিক এ স্থানটির কোন নিরাপত্তা বেষ্টনী না থাকায় স্থানীয়রা নিজেদের প্রয়োজনে ব্যাবহার করছে ভূমী। গরু ছাগল অবাধে বিচরণ করছে পুরো পাহাড় জুড়ে।অভিযোগ রয়েছে এক সময় অনেক পর্যটক দুর দুরান্ত থেকে দেখতে আসিত প্রতিদিনই। তবে নানা কারনে এখন আর তেমন একটা পর্যটক আসে না বললেই চলে। অভিযোগ রয়েছে সন্ধ্যা নামলেই রাণীর প্রাসাদ এলাকায় জমে ওঠে স্থানীয় মাদকসবীদের আড্ডা। রাতভর চলে ইয়াবা গাজা মদ ও ফেন্সীডিলের আসর আর বখাটেদের আনাগোনা।

দেখা গেছে প্রাসাদের গেটের কাছেই প্রত্ততত্ত্ব বিভাগের সরকারী ভূমী দখল করে গড়ে উঠেছে একাধীক স্থাপনা ও দোকানপাট। প্রাসাদের পশ্চিমাংশে মন্দিরের পাশের একটি অংশ খোঁড়াখুঁড়ি করা সহ ও গাছপালা কেটে ফেলা হয়েছে।এভাবে অযত্ন আর অবহেলা এবং সঠিক পরিচর্যা না থাকলে বাংলাদেশ প্রাচীন ও কুমিল্লার ঐতিহাসিক এ স্থানটি এক সময় আর হয়তো থাকবে না সৌন্দর্যময় স্থান গুলোর তালিকায় ।ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কেবল পাঠ্যপুস্তকেই জানবে রাণী ময়নামতির ইতিহাস, সরেজমিনে দেখা হবে না প্রচীন সভ্যতা ।অথচ অপার সৌন্দর্যের লীলাভূমি বিশাল এ প্রাচীন স্থাপনাটি সঠিক পর্যবেক্ষণ এবং পরিচর্যায় হয়ে উঠতে পারে কুমিল্লা তথা বাংলাদের সেরা পর্যটন গুলোর একটি।তাই অবিলম্বে বাংলাদের গৌরবময় এ প্রাচীন স্থাপনাটি এবং এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রক্ষায় কর্তৃপক্ষের যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহন সহ সংশ্লিষ্ট সরকারী মহলের সুদৃষ্টি কামনা করছি