মো: মোশাররফ হোসেন মনির:
কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চিলিক মহাসড়কটির বেহাল অবস্থায় বর্তমানে যানবাহন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি বৃষ্টিার জমে থাকা পানিতে সড়কটির পিচ এবং ইট উঠে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্তের। এসব খালা-খন্ধে প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা। সড়কটি দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে অধিকাংশ সময় বিকল হচ্ছে ছোট বড় অনেক যানবাহন। রাস্তার মাঝেই অকেজো হয়ে পড়ে থাকে বাস ট্রাক, নসিমনসহ বিভিন্ন যানবাহন। কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের মুরাদনগর উপজেলার গকুলনগর থেকে দেবিদ্বার উপজেলার সফুরা পর্যন্ত প্রায় ১৫ কি:মি সড়কটির চলাচলের সম্পুর্ণ অনুপযোগী হয়ে সড়কটির বর্তমান অবস্থা খুবই নাজুক।
স্থানীয়দের অভিযোগ রয়েছে, নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করে দায়সারা ভাবে সংস্কারের কারনে বছর না যেতেই সড়কগুলো খানাখন্দে তৈরী হয়ে গেছে। এ কারনেই কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের এখন করুণদশা। বৃষ্টির পানিতে গর্তগুলো জনদুর্ভোগ বেড়েছে দ্বিগুণ। এ সড়কে দিয়ে যানবাহন চলাচল তো দূরের কথা, হেঁটে চলাও দায়। সাম্প্রতিক বৃষ্টিতে তিগ্রস্থ সড়ক নির্মাণ বা মেরামতের কোনো উদ্যোগও দৃশ্যমান নয়। খানাখন্দে ভরা এ সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে কয়েক হাজার যানবান চলাচল করছে। আর ঘটছে বিভিন্ন দূর্ঘটনা। গত কয়েকদিনে এ সড়কে আশংকাজনক ভাবে বেড়েছে দুর্ঘটনা, এতে এক পুলিশ কনস্টেবল নিহতসহ আহত হয়েছে প্রায় শতাধিক যাত্রী ও পথচারী। চলতি মাসের ১০ সেপ্টেম্বর কালিকাপুরে একটি যাত্রীবাহী সুগন্ধা বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে একটি গাছে আটকে যায়। অপরদিকে ১১ সেপ্টেম্বর উপজেলার ভিরাল্লা স্টেশনে পর পর দুইটি ট্রাক উল্টে যায় এতে প্রায় ৩ ঘন্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে।
আরও অভিযোগ রয়েছে, বছরের পর বছর ধরে সওজের রাস্তা সংস্কার, মেরামত ও জোড়াতালির কাজ চললেও নেই কোনো টেকসই দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ও উদ্যোগ।
এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাইফুদ্দিন জানান, কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কটি খুব ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। সংস্কারের জন্য এখনও বরাদ্দ পায়নি তবে আলোচনা চলছে, তবে ডিসেম্বর-জানুয়ারির দিকে কাজ শুরু করা যাবে বলে তিনি জানান।