ঢাকা ১০:৩৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গ্রাহকদের কতটা সুবিধা দেবে ফোরজি?

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্কঃ

বাংলাদেশে আজ সোমবার থেকে চালু হচ্ছে ফোরজি বা চতুর্থ প্রজন্মের মোবাইল নেটওয়ার্ক। ফোরজি সার্ভিস চালু হওয়ার পর গ্রাহকরা আগের চেয়ে অনেক দ্রুত গতিতে ইন্টারনেটে তথ্য-আদান প্রদান করতে পারবেন বলে মনে করছে বাংলাদেশ টেলিকম রেগুলেটরি কমিশন বিটিআরসি। তবে ফোরজির পুরো সুবিধা ভোগ করতে গেলে যে ধরণের অবকাঠামো এবং মোবাইল ফোনের হ্যান্ডসেট থাকা দরকার, তার ঘাটতি আছে সেটিও স্বীকার করে প্রতিষ্ঠানটি।

বিটিআরসি গত সপ্তাহে ঢাকায় এক উন্মুক্ত নিলামে ফোরজি ফ্রিকোয়েন্সি বা তরঙ্গ বিক্রি করে। বাংলাদেশের দুটি বড় মোবাইল ফোন কোম্পানি গ্রামীণফোন এবং বাংলালিংক এতে অংশ নেয়। নিলাম থেকে বাংলাদেশ সরকারের কোষাগারে ৫ হাজার ২শ ৬৮ কোটি টাকা আসে বলে সেসময় জানিয়েছিলেন বিটিআরসির চেয়ারম্যান শাহাজাহান মাহমুদ ।

কি সুবিধা পাবে গ্রাহক?
ফোরজি মোবাইল সেবা দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশে অনেক আগে চালু হলেও, বাংলাদেশে এই সেবা অনেক দেরিতে এলো। ফোরজি হচ্ছে ফোর্থ জেনারেশন বা চতুর্থ প্রজন্মের মোবাইল ফোন প্রযুক্তি। এরআগের প্রজন্মের প্রযুক্তি ছিল টুজি এবং থ্রীজি। টুজিতে কেবল ফোন কল করা এবং টেক্সট মেসেজ পাঠানো যেত। এরপর থ্রীজি প্রযুক্তিতে মোবাইল ফোন থেকে ইন্টারনেট ব্রাউজিং, ভিডিও কল করা এবং মিউজিক ও ভিডিও ডাউনলোড করার সুযোগ তৈরি হয়। মোবাইল ফোনের থ্রীজিতে যা যা করা সম্ভব, তার সবকিছু ফোরজিতেও করা যাবে, তবে দ্রুতগতিতে এবং ভালোভাবে। ফোন কলের মান হবে অনেক ভালো, ভিডিও কল করা যাবে ভালোভাবে, দ্রুত ভিডিও ডাউনলোড করা যাবে।

কিন্তু বাংলাদেশে থ্রীজি সেবার মান নিয়ে গ্রাহকদের অনেক অভিযোগ রয়েছে। দেশের মোবাইল ফোন অপারেটররা যেখানে থ্রীজি সেবা ঠিকমত দিতে পারেনি, সেখানে এই নতুন সেবা কতটা দিতে পারবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে বিশেষজ্ঞদের।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মুরাদনগরে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত

গ্রাহকদের কতটা সুবিধা দেবে ফোরজি?

আপডেট সময় ০৭:২০:৫২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০১৮
তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্কঃ

বাংলাদেশে আজ সোমবার থেকে চালু হচ্ছে ফোরজি বা চতুর্থ প্রজন্মের মোবাইল নেটওয়ার্ক। ফোরজি সার্ভিস চালু হওয়ার পর গ্রাহকরা আগের চেয়ে অনেক দ্রুত গতিতে ইন্টারনেটে তথ্য-আদান প্রদান করতে পারবেন বলে মনে করছে বাংলাদেশ টেলিকম রেগুলেটরি কমিশন বিটিআরসি। তবে ফোরজির পুরো সুবিধা ভোগ করতে গেলে যে ধরণের অবকাঠামো এবং মোবাইল ফোনের হ্যান্ডসেট থাকা দরকার, তার ঘাটতি আছে সেটিও স্বীকার করে প্রতিষ্ঠানটি।

বিটিআরসি গত সপ্তাহে ঢাকায় এক উন্মুক্ত নিলামে ফোরজি ফ্রিকোয়েন্সি বা তরঙ্গ বিক্রি করে। বাংলাদেশের দুটি বড় মোবাইল ফোন কোম্পানি গ্রামীণফোন এবং বাংলালিংক এতে অংশ নেয়। নিলাম থেকে বাংলাদেশ সরকারের কোষাগারে ৫ হাজার ২শ ৬৮ কোটি টাকা আসে বলে সেসময় জানিয়েছিলেন বিটিআরসির চেয়ারম্যান শাহাজাহান মাহমুদ ।

কি সুবিধা পাবে গ্রাহক?
ফোরজি মোবাইল সেবা দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশে অনেক আগে চালু হলেও, বাংলাদেশে এই সেবা অনেক দেরিতে এলো। ফোরজি হচ্ছে ফোর্থ জেনারেশন বা চতুর্থ প্রজন্মের মোবাইল ফোন প্রযুক্তি। এরআগের প্রজন্মের প্রযুক্তি ছিল টুজি এবং থ্রীজি। টুজিতে কেবল ফোন কল করা এবং টেক্সট মেসেজ পাঠানো যেত। এরপর থ্রীজি প্রযুক্তিতে মোবাইল ফোন থেকে ইন্টারনেট ব্রাউজিং, ভিডিও কল করা এবং মিউজিক ও ভিডিও ডাউনলোড করার সুযোগ তৈরি হয়। মোবাইল ফোনের থ্রীজিতে যা যা করা সম্ভব, তার সবকিছু ফোরজিতেও করা যাবে, তবে দ্রুতগতিতে এবং ভালোভাবে। ফোন কলের মান হবে অনেক ভালো, ভিডিও কল করা যাবে ভালোভাবে, দ্রুত ভিডিও ডাউনলোড করা যাবে।

কিন্তু বাংলাদেশে থ্রীজি সেবার মান নিয়ে গ্রাহকদের অনেক অভিযোগ রয়েছে। দেশের মোবাইল ফোন অপারেটররা যেখানে থ্রীজি সেবা ঠিকমত দিতে পারেনি, সেখানে এই নতুন সেবা কতটা দিতে পারবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে বিশেষজ্ঞদের।