চান্দিনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চান্দিনা উপজেলার নূরিতলায় যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একই পরিবারের দুই সদস্যসহ সাতজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ২০জন।
রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে একজন শিশু, দুইজন নারী ও চারজন পুরুষ রয়েছেন। এরা হলেন- গাজীপুরের শ্রীপুর এলাকার মাওনা গ্রামের পিংকি আক্তার (২৩) এবং তার দেড় বছরের শিশু পুত্র মিনহাজ, কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার খলিলপুর গ্রামের বিনাম উদ্দিন এর ছেলে গোলাপ খান (৬০) ও তার স্ত্রী আনোয়ারা বেগম (৫৫), একই উপজেলার ভাংগুরি গ্রামের তৌহিদুল ইসলাম (২৩), কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার যশপুর গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নান বাসিন্দা ওমান প্রবাসী মো: জসিম উদ্দিন (৩৫) ও চান্দিনার বামনিখোলা গ্রামের শাহজাহান এর ছেলে সুজন (২২)।
আহতদের মধ্যে দেবিদ্বার উপজেলার জয়পুর গ্রামের ওয়ালিউল্লাহ্ (৩৫), তার ছেলে ইব্রাহীম (৭মাস), একই উপজেলার শ্রীকাইল গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে রিপন (৪৫), চান্দিনা উপজেলার বাড়েরা গ্রামের সুফিয়া (৪৫)সহ ১০ জন চান্দিনায় উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অপর আহতদেও কুমিল্লার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার কোম্পানীগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী তিশা পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসটি বেপরোয়া গতিতে চলছিল। নূরিতলার একটি মোড়ে এসে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে উল্টে যায়। এতে ঘটনাস্থলে পাঁচজন নিহত হন। পরে আশঙ্কাবস্থায় চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পর কর্তব্যরত ডাক্তার আরও দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে দুর্ঘটনাস্থলে চান্দিনা ফায়ার স্টেশন এর দমকল কর্মী, চান্দিনা থানা পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশের পৃথক টিম ও স্থানীয়রা উদ্ধার কাজে অংশ গ্রহণ করেন। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশ সুপার (কুমিল্লা পূর্বাঞ্চল) পরিতোষ ঘোষ সহ হাইওয়ে পুলিশ এর কর্মকর্তাবৃন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।