ঢাকা ০৫:৫৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জাতীয়করণের দাবিতে শিক্ষকদের অনশন অব্যাহত

জাতীয় ডেস্কঃ

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণের দাবিতে সারাদেশের এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বুধবার দ্বিতীয় দিনের মতো ধর্মঘট চলছে। এদিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বেসরকারি শিক্ষা জাতীয়করণ লিয়াঁজো ফোরামের ব্যানারে আন্দোলনকারী শিক্ষকরা বুধবার টানা ১০ দিনের মতো আমরণ অনশন কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছেন।

বেসরকারি শিক্ষা জাতীয়করণ লিয়াঁজো ফোরামের যুগ্ম মহাসচিব রোহান উদ্দিন  বলেন, ‘আমরা জাতীয়করণের দাবিতে টানা ১০ দিনের মতো অনশন কর্মসূচি পালন করছি। এছাড়া দেশে সকল বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একই দাবিতে তিন দিনের ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিন পালন করছি, আগামীকাল বৃহস্পতিবার তিন দিনের ধর্মঘট শেষ হবে। শিক্ষাক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করতে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করতে হবে। আমরা আশাবাদী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের এই প্রাণের দাবি মেনে নেবেন।’

শিক্ষকরা গত ১০ জানুয়ারি থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। পরে গত ১৫ তারিখ একই স্থানে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছেন। এদিকে তীব্র শীতের মধ্যে খোলা আকাশের নিচে টানা ১৫ দিনের মত অতিবাহিত করছেন তারা। তবে মঙ্গলবার শিক্ষামন্ত্রী তাদের সঙ্গে দেখা করেন। কিন্তু দাবির ব্যাপারে সুস্পষ্ট কোনো বার্তা না পাওয়ায় তারা আন্দোলন অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নেন।

বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারি ফোরাম, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (নজরুল), বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (শাহ আলম-জসিম), জাতীয় শিক্ষক পরিষদ বাংলাদেশ, বাংলাদেশ শিক্ষক ইউনিয়ন সমন্বয়ে গঠিত ৬টি বেসরকারি শিক্ষা জাতীয়করণ লিয়াঁজো ফোরামের ব্যানারে তারা জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলন করছেন।

বেসরকারি শিক্ষা জাতীয়করণ লিয়াঁজো কমিটির আহ্বায়ক মো. আব্দুল খালেক বলেন, এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষকরা জাতীয়করণের দাবিতে সারাদেশের প্রায় পাঁচ লাখ শিক্ষক-কর্মচারী এ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন।

তিনি বলেন, দেশের ৯৭ শতাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বেসরকারিভাবে পরিচালিত হচ্ছে। তারা সেসব প্রতিষ্ঠান চালালেও নামেমাত্র বেতন-ভাতা পাচ্ছেন। তা দিয়েই মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে। অথচ ৩ শতাংশ সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা উচ্চমানের বেতন-ভাতা পাচ্ছেন। এ কারণে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে জাতীয়করণ করতে হবে। এ দাবিতে আমরা রাজপথে নেমেছি।

এর আগে ৩১ ডিসেম্বর থেকে টানা ৬ দিন আমরণ অনশন চলাকালে প্রধানমন্ত্রী নন-এমপিও প্রতিষ্ঠানগুলোকে এমপিওভুক্ত করার আশ্বাস দিলে শিক্ষকরা অনশন প্রত্যাহার করেন। এরপর ৯ জানুয়ারি থেকে টানা ৮দিন আমরণ অনশন শেষে ইবতেদায়ী মাদ্রাসাকে শিক্ষামন্ত্রী জাতীয়কারণের প্রক্রিয়ার আশ্বাস দিলে তারাও অনশন প্রত্যাহার করে ফিরে যান।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

শিক্ষার্থীদের উপর হামলার প্রতিবাদে মুরাদনগরে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ

জাতীয়করণের দাবিতে শিক্ষকদের অনশন অব্যাহত

আপডেট সময় ০১:২৪:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ জানুয়ারী ২০১৮
জাতীয় ডেস্কঃ

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণের দাবিতে সারাদেশের এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বুধবার দ্বিতীয় দিনের মতো ধর্মঘট চলছে। এদিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বেসরকারি শিক্ষা জাতীয়করণ লিয়াঁজো ফোরামের ব্যানারে আন্দোলনকারী শিক্ষকরা বুধবার টানা ১০ দিনের মতো আমরণ অনশন কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছেন।

বেসরকারি শিক্ষা জাতীয়করণ লিয়াঁজো ফোরামের যুগ্ম মহাসচিব রোহান উদ্দিন  বলেন, ‘আমরা জাতীয়করণের দাবিতে টানা ১০ দিনের মতো অনশন কর্মসূচি পালন করছি। এছাড়া দেশে সকল বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একই দাবিতে তিন দিনের ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিন পালন করছি, আগামীকাল বৃহস্পতিবার তিন দিনের ধর্মঘট শেষ হবে। শিক্ষাক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করতে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করতে হবে। আমরা আশাবাদী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের এই প্রাণের দাবি মেনে নেবেন।’

শিক্ষকরা গত ১০ জানুয়ারি থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। পরে গত ১৫ তারিখ একই স্থানে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছেন। এদিকে তীব্র শীতের মধ্যে খোলা আকাশের নিচে টানা ১৫ দিনের মত অতিবাহিত করছেন তারা। তবে মঙ্গলবার শিক্ষামন্ত্রী তাদের সঙ্গে দেখা করেন। কিন্তু দাবির ব্যাপারে সুস্পষ্ট কোনো বার্তা না পাওয়ায় তারা আন্দোলন অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নেন।

বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারি ফোরাম, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (নজরুল), বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (শাহ আলম-জসিম), জাতীয় শিক্ষক পরিষদ বাংলাদেশ, বাংলাদেশ শিক্ষক ইউনিয়ন সমন্বয়ে গঠিত ৬টি বেসরকারি শিক্ষা জাতীয়করণ লিয়াঁজো ফোরামের ব্যানারে তারা জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলন করছেন।

বেসরকারি শিক্ষা জাতীয়করণ লিয়াঁজো কমিটির আহ্বায়ক মো. আব্দুল খালেক বলেন, এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষকরা জাতীয়করণের দাবিতে সারাদেশের প্রায় পাঁচ লাখ শিক্ষক-কর্মচারী এ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন।

তিনি বলেন, দেশের ৯৭ শতাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বেসরকারিভাবে পরিচালিত হচ্ছে। তারা সেসব প্রতিষ্ঠান চালালেও নামেমাত্র বেতন-ভাতা পাচ্ছেন। তা দিয়েই মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে। অথচ ৩ শতাংশ সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা উচ্চমানের বেতন-ভাতা পাচ্ছেন। এ কারণে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে জাতীয়করণ করতে হবে। এ দাবিতে আমরা রাজপথে নেমেছি।

এর আগে ৩১ ডিসেম্বর থেকে টানা ৬ দিন আমরণ অনশন চলাকালে প্রধানমন্ত্রী নন-এমপিও প্রতিষ্ঠানগুলোকে এমপিওভুক্ত করার আশ্বাস দিলে শিক্ষকরা অনশন প্রত্যাহার করেন। এরপর ৯ জানুয়ারি থেকে টানা ৮দিন আমরণ অনশন শেষে ইবতেদায়ী মাদ্রাসাকে শিক্ষামন্ত্রী জাতীয়কারণের প্রক্রিয়ার আশ্বাস দিলে তারাও অনশন প্রত্যাহার করে ফিরে যান।