সৈয়দ রাজিব আহামম্মদঃ
রোজ রোববার, ০৪ অক্টোবর ২০১৫ ইং(মুরাদনগর বার্তা ডটকম):
কুমিল্লার তিতাসে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে দৈনিক সংবাদ ও দৈনিক বাংলার আলোরন এর (হোমনা-তিতাস) প্রতিনিধি এমএ কাশেম ভূঁইয়া সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়।
উপজেলার মাছিমপুর বাজারে প্রকাশ্য দিবালোকে গত ২৮ সেপ্টেম্বর বিকালে এ লোম হর্ষক ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে তিতাস থানা পুলিশ ও স্থানীয় সাংবাদিকরা মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায়। এ বিষয়ে সন্ত্রাসী আলমকে ১নং আসামীসহ ১১জন সহ অজ্ঞাত ৫০/৬০ জনের নাম রেখে এমএ কাশেম ভূঁইয়া বাদী হয়ে তিতাস থানায় মামলা নং (২), তারিখ ০১.১০.১৫ইং দায়ের করা হয়।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, তিতাসে ইয়াবা বিস্তার ও ত্রাসের আরেক নাম সন্ত্রাসী আলম সরকার। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দলের নাম পরিচয়ে এলাকায় একটি ত্রাসের রাজত্ব গড়ে তোলে। তার বাহিনীর লোকজন প্রতিদিনই ডাকাতি, চুরি, রাহাজানি, সংখ্যালঘুদের জমি দখল, অস্ত্রবাজি, চাদাঁবাজিসহ অপরাধ করে থাকে। এদের বিরুদ্ধে ডজনখানেক অভিযোগ থানায় থাকলেও প্রশাসনের ভূমিকা জনমনে প্রশ্নবিদ্ধ। অস্ত্রধারী আলম ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে মাছিমপুর গ্রামের জনৈক এক ব্যক্তি মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর দফÍরে সরাসরি ও পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন দফÍরে ডাকযোগে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ১৫সেপ্টেম্বর দৈনিক বাংলার আলোড়নের প্রথম পাতায় ‘ তিতাসে অস্ত্রধারী আলম সরকার ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ’ শিরোনামে একটি সংবাদ ছাপা হয়। ওই সংবাদ প্রকাশের জের ধরে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে সন্ত্রাসী আলম তার বাহিনীর লোকজন সাংবাদিক এমএ কাশেম ভূঁইয়াকে হত্যার উদ্দেশ্যে লোহার রড, হকিষ্টিক, কাঠের লাঠি দিয়ে এলোপাতারিভাবে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে এবং তার কাছ থেকে ক্যামেরা, দু’টি মোবাইল সেট ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
এখানেই সন্ত্রাসীরা ক্ষান্ত হয়নি। এসময় আলম গলা চেপে শ্বাসরোধ করে কয়েকবার হত্যার চেষ্ঠা করে। তার বাহিনীর লোকজন চোখ উপড়ে ফেলার জন্য চোখে আঙ্গুল ডুকিয়ে নির্যাতন চালায়।
এই ঘটনায় তিতাস থানায় গত ১অক্টোবর মামলা নং (২) দায়ের করা হলেও এ পর্যন্ত কোন আসামী গ্রেফতার না হওয়ায় আতঙ্কে দিন কাটছে সাংবাদিক পরিবারের। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উল্টো মামলার বাদীকে এবং সাক্ষিকে হত্যার হুমকিসহ মিথ্যে মামলায় জড়ানো চেষ্ঠা চালাচ্ছে সন্ত্রাসীরা।
তিতাস থানা অফিসার ইনচার্জ মো. মনিরুল ইসলাম পিপিএম জানান, আমরা আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
গ্রামবাসী জানায়, আসামী আলম, ডালিম, রতন ও কামরুল এখনো এলাকায় ত্রাস করে বেড়াচ্ছে। জবেদ আলীর ছেলে জয়কে এই সন্ত্রাসীরা ছুড়িকাঘাত করেছে।
আলমের ব্যবহৃত মোবাইলে কল দিলে রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।