ঢাকা ০১:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দাউদকান্দিতে দাফনের ছয় মাস পর লাশ উত্তোলন

দাউদকান্দি (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ

দাফনের ছয় মাস পর কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের সোনাকান্দা গ্রামের মৃত সোলায়মান সরকারের লাশ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার তার লাশ পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, গত বছর নভেম্বর মাসে একই গ্রামের মনির, ইমরান, হাছান, হোসেন ও কাউছার তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোলায়মান সরকারকে পিটিয়ে যখম করে। মারাত্মক আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে গৌরীপুর হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৩১ জানুয়ারি মারা যান তিনি। এ ব্যাপারে নিহতের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে দাউদকান্দি মডেল থানায় অভিযোগ করলে হত্যা মামলা না নিয়ে সাধারণ মামলা নেওয়া হয়। মামলায় পুলিশ সাধারণ চার্জশিট দিয়ে আদালতে পাঠায়। পরে বাদী থানার প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে অনস্থা প্রদান করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।

এরপর লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে পুনরায় ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। ওই নির্দেশনা অনুসারে আজ দাউদকান্দি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অরবিন্দু বিশ্বাসের উপস্থিতিতে সোলায়মান সরকারের লাশ উত্তোলন করে কুমিল্লা মর্গে পাঠানো হয়।

নিহতের স্ত্রী মনোয়ারা বেগমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘আমি দাউদকান্দি মডেল থানায় হত্যা মামলার জন্য অভিযোগ করলে ওসি সাহেব তা গ্রহণ করেননি।

পরে আমাদেরকে না জানিয়ে সাধারণ মামলা করে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেন। ওই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রদান করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন। ‘

দাউদকান্দি মডেল থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমি আসার আগে মামলা হয়েছে। তবে কী কারণে হত্যা মামলা নেওয়া হয়নি- তা আমার জানা নেই। ‘

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

শিক্ষার্থীদের উপর হামলার প্রতিবাদে মুরাদনগরে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ

দাউদকান্দিতে দাফনের ছয় মাস পর লাশ উত্তোলন

আপডেট সময় ০২:২৯:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অগাস্ট ২০১৭
দাউদকান্দি (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ

দাফনের ছয় মাস পর কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের সোনাকান্দা গ্রামের মৃত সোলায়মান সরকারের লাশ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার তার লাশ পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, গত বছর নভেম্বর মাসে একই গ্রামের মনির, ইমরান, হাছান, হোসেন ও কাউছার তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোলায়মান সরকারকে পিটিয়ে যখম করে। মারাত্মক আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে গৌরীপুর হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৩১ জানুয়ারি মারা যান তিনি। এ ব্যাপারে নিহতের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে দাউদকান্দি মডেল থানায় অভিযোগ করলে হত্যা মামলা না নিয়ে সাধারণ মামলা নেওয়া হয়। মামলায় পুলিশ সাধারণ চার্জশিট দিয়ে আদালতে পাঠায়। পরে বাদী থানার প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে অনস্থা প্রদান করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।

এরপর লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে পুনরায় ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। ওই নির্দেশনা অনুসারে আজ দাউদকান্দি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অরবিন্দু বিশ্বাসের উপস্থিতিতে সোলায়মান সরকারের লাশ উত্তোলন করে কুমিল্লা মর্গে পাঠানো হয়।

নিহতের স্ত্রী মনোয়ারা বেগমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘আমি দাউদকান্দি মডেল থানায় হত্যা মামলার জন্য অভিযোগ করলে ওসি সাহেব তা গ্রহণ করেননি।

পরে আমাদেরকে না জানিয়ে সাধারণ মামলা করে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেন। ওই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রদান করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন। ‘

দাউদকান্দি মডেল থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমি আসার আগে মামলা হয়েছে। তবে কী কারণে হত্যা মামলা নেওয়া হয়নি- তা আমার জানা নেই। ‘