ঢাকা ০৫:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দাউদকান্দিতে ধর্ষক গ্রেপ্তার

কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ

কুমিল্লার দাউদকান্দিতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে পিন্টু চন্দ্র বর্মণ (৩৫) নামে এক ডাক্তার কর্তৃক একই হাসপাতালে এক মুসলিম সেবিকাকে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সেবিকার অভিযোগের প্রেক্ষিতে দাউদকান্দি মডেল থানা পুলিশ ধর্ষক পিন্টু চন্দ্র বর্মণকে (৩৫) গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করেছে।

আজ শুক্রবার এ ব্যাপারে দাউদকান্দি মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

ধর্ষক পিন্টু চন্দ্র বর্মণ (৩৫) তিতাস উপজেলার এশিয়া জেনারেল হাসপাতালে প্রাঃ লিঃ কর্মরত ছিল। তার বাড়ি নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ি উপজেলার যোয়াগ গ্রামের মৃত সুরেশ চন্দ্র বর্মণনের ছেলে।

পুলিশ ও ভুক্তভোগীসূত্রে জানা যায়, ডাক্তার পিন্টু চন্দ্র বর্মণ (৩৫) ও মুসলিম সেবিকা একই হাসপতালে কাজ করার সুবাধে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পিন্টু সেই সেবিকাকে বিয়ের করার প্রলোবন দেখিয়ে গৌরীপুর বাজারে একটি বাসা ভাড়া নেয়। বাসা ভাড়া নেওয়ার পর সেবিকাকে তার চাকুরী ছেড়ে দিতে বাধ্য করে। তাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে তার সাথে এক বছর যাবৎ শারীরিক সম্পর্ক করে। পরে তাকে বাসায় রেখে শারীরকি নির্যাতন করে এবং বাসায় তালা দিয়ে আটক রাখে।

বিয়ের কথা বললেই তাকে নেশা জাতীয় ইনজেকশন পুশ করে বাসায় তালাবদ্ধ করে রেখে যায়। গতকাল বৃহস্পতিবার পাশের বাসার লোকদের সহযোগিতায় পালিয়ে দাউদকান্দি মডেল থানায় আইনে আশ্রয় নেয়। ধর্ষিত সেবিকার অভিযোগের প্রেক্ষিতে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ধর্ষক পিন্টু চন্দ্র বর্মণকে (৩৫) আটক করে পুলিশ।

ভোক্তভুগি সেবিকা জানান, এক সাথে কাজ করার সুবাদে পিন্টুর সাথে সু-সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সে নতুন বাসা করে মুসলমান ধর্ম গ্রহন করে আমাকে বিয়ে করবে বলে আশ্বাস দেয়। তার কথার সরল বিশ্বাসে রাজি হয়ে বাসায় ওঠি। বাসায় ওঠার পর এক বছর যাবৎ আমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলে।

তাকে বিয়ের জন্য বারবার বলার পরও আজ না কাল বিয়ে করবে বলে আশ্বাস দেয়। তাকে যখন বিয়ে করা চাপ প্রয়োগ করি তখন সে আমাকে চেতনা নাশক ইনজাকশন পুশ বাসার একটি কক্ষে তালা দিয়ে রেখে যায়। বেশি চাপ দিলে প্রতারক আমাকে শারীরিক নির্যাতন করে। এক সপ্তাহ যাবৎ বাসায় তালা দিয়ে আটকে রাখে। পরে পাশের বাসার লোকদের সহযোগিতায় বাসা থেকে পালিয়ে থানায় গিয়ে মামলা করেছি। আমার জীবনকে সর্বনাশ করেছে সে। তার উপযুক্ত বিচার চাই।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গৌরপুর তদন্ত কেন্দ্রর উপ-পরিদর্শক মোঃ আতিকুর রহমান জানান, সেবিকার অভিযোগের প্রেক্ষিতে দাউদকান্দি মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা নেওয়া হয়েছে। রাতেই ডাক্তার পিন্টু চন্দ্র বর্মণকে (৩৫) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের পর ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে। ভিকটিমকে মেডিক্যাল চেকাপের জন্য কুমিল্লায় প্রেরণ করা হয়েছে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

শিক্ষার্থীদের উপর হামলার প্রতিবাদে মুরাদনগরে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ

দাউদকান্দিতে ধর্ষক গ্রেপ্তার

আপডেট সময় ০১:৪৩:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ জুন ২০১৭
কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ

কুমিল্লার দাউদকান্দিতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে পিন্টু চন্দ্র বর্মণ (৩৫) নামে এক ডাক্তার কর্তৃক একই হাসপাতালে এক মুসলিম সেবিকাকে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সেবিকার অভিযোগের প্রেক্ষিতে দাউদকান্দি মডেল থানা পুলিশ ধর্ষক পিন্টু চন্দ্র বর্মণকে (৩৫) গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করেছে।

আজ শুক্রবার এ ব্যাপারে দাউদকান্দি মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

ধর্ষক পিন্টু চন্দ্র বর্মণ (৩৫) তিতাস উপজেলার এশিয়া জেনারেল হাসপাতালে প্রাঃ লিঃ কর্মরত ছিল। তার বাড়ি নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ি উপজেলার যোয়াগ গ্রামের মৃত সুরেশ চন্দ্র বর্মণনের ছেলে।

পুলিশ ও ভুক্তভোগীসূত্রে জানা যায়, ডাক্তার পিন্টু চন্দ্র বর্মণ (৩৫) ও মুসলিম সেবিকা একই হাসপতালে কাজ করার সুবাধে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পিন্টু সেই সেবিকাকে বিয়ের করার প্রলোবন দেখিয়ে গৌরীপুর বাজারে একটি বাসা ভাড়া নেয়। বাসা ভাড়া নেওয়ার পর সেবিকাকে তার চাকুরী ছেড়ে দিতে বাধ্য করে। তাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে তার সাথে এক বছর যাবৎ শারীরিক সম্পর্ক করে। পরে তাকে বাসায় রেখে শারীরকি নির্যাতন করে এবং বাসায় তালা দিয়ে আটক রাখে।

বিয়ের কথা বললেই তাকে নেশা জাতীয় ইনজেকশন পুশ করে বাসায় তালাবদ্ধ করে রেখে যায়। গতকাল বৃহস্পতিবার পাশের বাসার লোকদের সহযোগিতায় পালিয়ে দাউদকান্দি মডেল থানায় আইনে আশ্রয় নেয়। ধর্ষিত সেবিকার অভিযোগের প্রেক্ষিতে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ধর্ষক পিন্টু চন্দ্র বর্মণকে (৩৫) আটক করে পুলিশ।

ভোক্তভুগি সেবিকা জানান, এক সাথে কাজ করার সুবাদে পিন্টুর সাথে সু-সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সে নতুন বাসা করে মুসলমান ধর্ম গ্রহন করে আমাকে বিয়ে করবে বলে আশ্বাস দেয়। তার কথার সরল বিশ্বাসে রাজি হয়ে বাসায় ওঠি। বাসায় ওঠার পর এক বছর যাবৎ আমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলে।

তাকে বিয়ের জন্য বারবার বলার পরও আজ না কাল বিয়ে করবে বলে আশ্বাস দেয়। তাকে যখন বিয়ে করা চাপ প্রয়োগ করি তখন সে আমাকে চেতনা নাশক ইনজাকশন পুশ বাসার একটি কক্ষে তালা দিয়ে রেখে যায়। বেশি চাপ দিলে প্রতারক আমাকে শারীরিক নির্যাতন করে। এক সপ্তাহ যাবৎ বাসায় তালা দিয়ে আটকে রাখে। পরে পাশের বাসার লোকদের সহযোগিতায় বাসা থেকে পালিয়ে থানায় গিয়ে মামলা করেছি। আমার জীবনকে সর্বনাশ করেছে সে। তার উপযুক্ত বিচার চাই।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গৌরপুর তদন্ত কেন্দ্রর উপ-পরিদর্শক মোঃ আতিকুর রহমান জানান, সেবিকার অভিযোগের প্রেক্ষিতে দাউদকান্দি মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা নেওয়া হয়েছে। রাতেই ডাক্তার পিন্টু চন্দ্র বর্মণকে (৩৫) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের পর ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে। ভিকটিমকে মেডিক্যাল চেকাপের জন্য কুমিল্লায় প্রেরণ করা হয়েছে।