ঢাকা ০৬:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নাঙ্গলকোটে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার

স্টাফ রির্পোটার, কুমিল্লাঃ
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে স্ত্রীর সঙ্গে পারিবারিক কলহের জের ধরে নিখোঁজের পাঁচ দিন পর স্বামী খোরশেদ আলমের (৬৫) মাটি চাপা দেয়া গলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ মঙ্গলবার সকালে উপজেলার রায়কোট ইউনিয়নের ছুপুয়া বাজার সংলগ্ন এক আমেরিকা প্রবাসীর পরিত্যাক্ত বাড়ি থেকে পুলিশ মাটি খুঁড়ে লাশ উদ্ধার করে। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য খোরশেদ আলমের স্ত্রী সাজেদা বেগম এবং ছোট ছেলে ইস্রাফিলকে আটক করেছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার রায়কোট ইউনিয়নের ছুপুয়া গ্রামের মৃত ছেরাজুল হকের ছেলে সৌদি আরব প্রবাসী খোরশেদ আলম দীর্ঘ ১৮ বছর সৌদি আরব ছিলেন। প্রবাসে থাকা অবস্থায় স্ত্রী সাজেদা আক্তারের নামে প্রায় ১৭ লাখ টাকা পাঠান। খোরশেদ আলম সৌদি আরব থেকে ফেরার পর সাজেদা বেগমের কাছে টাকার হিসাব চাইলে তিনি টাকার হিসাব দেয়া নিয়ে গড়িমসি করতে থাকেন।
এছাড়া খোরশেদ আলম পার্শ্ববর্তী মালিপাড়া গ্রামে শ্বশুরের কাছ থেকে সম্পত্তি ক্রয় করেন। শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাদের জমি ফেরত দেয়ার জন্য খোরশেদ আলমকে চাপ দিয়ে আসছিলেন। খোরশেদ আলম তার টাকা ফেরত দিলে সম্পত্তির দলিল ফেরত দিবে বলে জানান।
এদিকে, সাজেদা বেগম তার মেয়ে রাশিদা আক্তারের শ্বশুর তাজুল ইসলামের মাধ্যমেও স্বামীর দেয়া টাকা লেনদেন করেন। এনিয়ে স্ত্রী, মেয়ে, শ্বশুর বাড়ির লোকজন এবং মেয়ের শ্বশুর তাজুল ইসলামের সঙ্গে খোরশেদ আলমের পারিবারিক কলহ লেগে ছিল। গত ২ নভেম্বর বৃহষ্পতিবার রাত থেকে খোরশেদ আলম নিখোঁজ হন। তার নিখোঁজের বিষয়ে এলাকায় মাইকিং করা হয়। গত ৬ নভেম্বর সোমবার খোরশেদ আলমের মেয়ে মুরশিদা বেগম তার বাবার নিখোঁজের বিষয়ে থানায় একটি জি ডি এন্ট্রি করেন।
আজ মঙ্গলবার সকালে ছুপুয়া বাজার সংলগ্ন আমেরিকা প্রবাসী রকিব উদ্দিনের একটি পরিত্যাক্ত বাড়ি থেকে খোরশেদ আলমের ছোট ছেলে ইস্রাফিল বের হলে এলাকাবাসীর সন্দেহ হয়। পরে এলাকাবাসী বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে বাড়ির পুকুর পাড়ে মাটি চাপা দেয়া অবস্থায় এক লোকের হাতের কনুই দেখতে পান।
এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নাঙ্গলকোট উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আক্তারুজ্জামানের উপস্থিতিতে মাটি খুঁড়ে লাশ উদ্ধার করেন। এসময় এলাকাবাসী লাশটি খোরশেদ আলমের বলে সনাক্ত করেন। কুমিল্লা সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মেহেদী হাছান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
নাঙ্গলকোট থানার ওসি মোহাম্মদ আইয়ুব বলেন, পুলিশ লাশ উদ্ধার করেছে। খুব শিগগিরই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করা হবে। এ ব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

শিক্ষার্থীদের উপর হামলার প্রতিবাদে মুরাদনগরে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ

নাঙ্গলকোটে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার

আপডেট সময় ০১:৫৬:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ নভেম্বর ২০১৭
স্টাফ রির্পোটার, কুমিল্লাঃ
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে স্ত্রীর সঙ্গে পারিবারিক কলহের জের ধরে নিখোঁজের পাঁচ দিন পর স্বামী খোরশেদ আলমের (৬৫) মাটি চাপা দেয়া গলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ মঙ্গলবার সকালে উপজেলার রায়কোট ইউনিয়নের ছুপুয়া বাজার সংলগ্ন এক আমেরিকা প্রবাসীর পরিত্যাক্ত বাড়ি থেকে পুলিশ মাটি খুঁড়ে লাশ উদ্ধার করে। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য খোরশেদ আলমের স্ত্রী সাজেদা বেগম এবং ছোট ছেলে ইস্রাফিলকে আটক করেছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার রায়কোট ইউনিয়নের ছুপুয়া গ্রামের মৃত ছেরাজুল হকের ছেলে সৌদি আরব প্রবাসী খোরশেদ আলম দীর্ঘ ১৮ বছর সৌদি আরব ছিলেন। প্রবাসে থাকা অবস্থায় স্ত্রী সাজেদা আক্তারের নামে প্রায় ১৭ লাখ টাকা পাঠান। খোরশেদ আলম সৌদি আরব থেকে ফেরার পর সাজেদা বেগমের কাছে টাকার হিসাব চাইলে তিনি টাকার হিসাব দেয়া নিয়ে গড়িমসি করতে থাকেন।
এছাড়া খোরশেদ আলম পার্শ্ববর্তী মালিপাড়া গ্রামে শ্বশুরের কাছ থেকে সম্পত্তি ক্রয় করেন। শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাদের জমি ফেরত দেয়ার জন্য খোরশেদ আলমকে চাপ দিয়ে আসছিলেন। খোরশেদ আলম তার টাকা ফেরত দিলে সম্পত্তির দলিল ফেরত দিবে বলে জানান।
এদিকে, সাজেদা বেগম তার মেয়ে রাশিদা আক্তারের শ্বশুর তাজুল ইসলামের মাধ্যমেও স্বামীর দেয়া টাকা লেনদেন করেন। এনিয়ে স্ত্রী, মেয়ে, শ্বশুর বাড়ির লোকজন এবং মেয়ের শ্বশুর তাজুল ইসলামের সঙ্গে খোরশেদ আলমের পারিবারিক কলহ লেগে ছিল। গত ২ নভেম্বর বৃহষ্পতিবার রাত থেকে খোরশেদ আলম নিখোঁজ হন। তার নিখোঁজের বিষয়ে এলাকায় মাইকিং করা হয়। গত ৬ নভেম্বর সোমবার খোরশেদ আলমের মেয়ে মুরশিদা বেগম তার বাবার নিখোঁজের বিষয়ে থানায় একটি জি ডি এন্ট্রি করেন।
আজ মঙ্গলবার সকালে ছুপুয়া বাজার সংলগ্ন আমেরিকা প্রবাসী রকিব উদ্দিনের একটি পরিত্যাক্ত বাড়ি থেকে খোরশেদ আলমের ছোট ছেলে ইস্রাফিল বের হলে এলাকাবাসীর সন্দেহ হয়। পরে এলাকাবাসী বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে বাড়ির পুকুর পাড়ে মাটি চাপা দেয়া অবস্থায় এক লোকের হাতের কনুই দেখতে পান।
এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নাঙ্গলকোট উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আক্তারুজ্জামানের উপস্থিতিতে মাটি খুঁড়ে লাশ উদ্ধার করেন। এসময় এলাকাবাসী লাশটি খোরশেদ আলমের বলে সনাক্ত করেন। কুমিল্লা সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মেহেদী হাছান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
নাঙ্গলকোট থানার ওসি মোহাম্মদ আইয়ুব বলেন, পুলিশ লাশ উদ্ধার করেছে। খুব শিগগিরই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করা হবে। এ ব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।