জাতীয় ডেস্কঃ
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন আদায় করে নিতে হবে। এ দেশে নির্বাচন অবশ্যই হবে, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হবে। সে নির্বাচন সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হতে হবে। তাই আমাদের স্পষ্ট কথা, নির্বাচন অবশ্যই চাই। সেই নির্বাচন হতে হবে জনগণের শর্তে। জনগণের শর্ত হচ্ছে, সহায়ক সরকার। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন।
তিনি বলেন, বিএনপিকে মানববন্ধন করতে দেয়া হয় না, কোনো কর্মসূচি পালন করতে দেয়া হয় না। কারণ আওয়ামী লীগ বিএনপিকে ভয় পায়। তারা জানে বিএনপি যদি রাজপথে আসে এবং নির্বাচনে আসে তাহলে তাদের অস্তিত্ব থাকবে না।
শনিবার বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। দলের ৩৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এ আলোচনা সভার আয়োজন করেছে বিএনপি।
দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে মির্জা ফখরুল বলেন, সাহস ও শক্তি নিয়ে এগিয়ে আসুন, ফ্যাসিস্ট ও অপশক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে, নির্বাচন আদায় করে নিতে হবে। জনগণের শর্তে নির্বাচন হতে হবে। সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জনগণের কাছে যেতে হবে। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আগামী নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে। শেখ হাসিনা নানা অজুহাতে বিএনপিকে বাইরে রেখে নির্বাচন করতে চায়। আগামী নির্বাচন ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি মত হবে না, হতে দেয়া হবে না। নির্বাচন হবে নিরপেক্ষ সরকার ও সহায়ক সরকারের অধীনে। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া চিক্যৎসা শেষে দেশে ফিরে সময় মত সহায়ক সরকারের রূপরেখে দিবেন। সহায়ক সরকারে দাবি আদায় করে বিএনপি নির্বাচনে যাবে।
দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, আগামী দিনে দেশে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আদায় করতে না পারলে আমাদের (বিএনপি) অবস্থা রোহিঙ্গাদের চেয়ে করুন পরিণতি হবে। কেননা জিয়াউর রহমান দেশে যদি বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ না নিয়ে আসতেন তাহলে মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যের মতো আজ বাংলাদেশেও জাতিগত কিলিং হতে পারতো।
দলের আরেক সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার জনগণকে ভোটাধিকার দিতে ভয় পায়। তাদের আশঙ্কা দেশে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে জনগণ বিএনপিকেই রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করবে। জনগণ খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে আগামী দিনে জনগণ তাদের হারানো অধিকার ফিরিয়ে আনবে।
আরো বক্তব্য দেন- ড. আব্দুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুলাহ আল নোমান, সেলিমা রহমান, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, ছাত্রদলের সভাপতি রাজীব আহসান প্রমুখ।