ঢাকা ০৫:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নৌকা কিনে অফিসে যাচ্ছেন সরকারি কর্মকর্তারা

জাতীয় ডেস্কঃ

বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টি হলেই ডুবে যাচ্ছে রাস্তা। জোয়ার এলেও সড়ক পানির নিচে। ফলে নগরবাসীর সঙ্গে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অফিসে যাওয়া-আসায় দেখা দেয় ভোগান্তি। গাড়ি থাকলেও পানিতে তা অচল। বাধ্য হয়ে সড়ক পথেই চলাচলের জন্য একটি নৌকা কিনেছে চট্টগ্রাম কর অঞ্চল-৪ কর্তৃপক্ষ।

এতদিন ভাড়ায় চালিত নৌকায় অফিসে আসা-যাওয়া করেছেন কর অঞ্চল-৪ এর কর্মকর্তারা। এবার আর ভাড়া নৌকায় চড়তে হবে না। নিজেরাই নৌকা কিনে নিয়েছেন স্থায়ীভাবে। নগরীর আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকার ১নং সড়কে ভাড়া করা ভবনে চট্টগ্রাম কর অঞ্চল-৪’র প্রধান কার্যালয়। নিয়মিত জোয়ারে ওই এলাকা কোমর থেকে বুক সমান পানিতে ডুবে থাকে। জোয়ারের সময় অফিসে আসা-যাওয়ায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। কারণ জোয়ারের সময় সেখানে গাড়ি চলাচল করতে পারে না।

জানা গেছে, আয়কর দিতে আসা নাগরিকদেরও এই নৌকায় চড়তে দেখা যায়। রবিবারও আগ্রাবাদ এলাকায় টানা বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। কর কার্যালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী বলেন, এ এলাকার জলাবদ্ধতা শুধু বৃষ্টির কারণে নয়, রৌদ্রোজ্জ্বল দিনেও জোয়ারের পানিতে সড়ক ডুবে যায়। অতিরিক্ত বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে রহিম ম্যানশনের ছয়তলা ভবনটির সামনের সড়কটি নিয়মিতই কোমর থেকে হাঁটু পানিতে তলিয়ে যায়।

কর অঞ্চল-৪’র পাশাপাশি অন্যান্য কর অঞ্চল, ভ্যাট ও কর আপিলাত ট্রাইব্যুনালের একাধিক অফিস রয়েছে সেখানে। কর অঞ্চল-১’র উপ-কর কমিশনার মুরাদ আহমেদ বলেন, সিডিএ আবাসিক এলাকাকে ঘিরে কর বিভাগের বিভিন্ন অফিসে প্রায় সাড়ে ৭শ’র মতো কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মরত আছেন। এদের সবাইকে চরম দুর্ভোগের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। একই অবস্থা আশপাশের সরকারি অফিসগুলোতেও।

ওই অঞ্চলে কর্মরত কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, আগ্রাবাদ সিডিএ এলাকার প্রায় প্রতিটি সড়কের নিয়মিত দৃশ্য এটি। কোনো সড়কে কোমর পানি, কোনোটিতে হাঁটু পানি ওঠে। ওই এলাকায় কর্মরত সরকারি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আগ্রাবাদ বাদামতলী এলাকায় নেমে সিডিএ এলাকার ভ্যাট অফিসের সামনে এসে পানির কারণে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে রিকশা নিতে হচ্ছিল। প্রতিদিনের এ দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে দুই সপ্তাহ আগে লাল রঙের নৌকাটি কেনার কথা স্বীকার করেন কর অঞ্চল-৪ এর কমিশনার আহমেদ উল্লাহ। তিনি বলেন, প্রায় প্রতিদিনই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে কর্মকর্তা-কর্মচারী ও করদাতাদের আসা-যাওয়াসহ দাপ্তরিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এজন্যই নৌকাটি কেনা হয়েছে।

কর কর্মকর্তারা জানান, দুই সপ্তাহ আগে চট্টগ্রামের কুমিরা এলাকা থেকে প্রায়২৬ হাজার টাকায় নৌকাটি কেনা হয়। যাত্রী নেওয়ার পর নৌকাটিকে কর অফিসের একজন দারোয়ান ঠেলে অথবা দাঁড় বেয়ে চালিয়ে নিয়ে যান।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

শিক্ষার্থীদের উপর হামলার প্রতিবাদে মুরাদনগরে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ

নৌকা কিনে অফিসে যাচ্ছেন সরকারি কর্মকর্তারা

আপডেট সময় ০৩:৫০:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুলাই ২০১৭
জাতীয় ডেস্কঃ

বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টি হলেই ডুবে যাচ্ছে রাস্তা। জোয়ার এলেও সড়ক পানির নিচে। ফলে নগরবাসীর সঙ্গে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অফিসে যাওয়া-আসায় দেখা দেয় ভোগান্তি। গাড়ি থাকলেও পানিতে তা অচল। বাধ্য হয়ে সড়ক পথেই চলাচলের জন্য একটি নৌকা কিনেছে চট্টগ্রাম কর অঞ্চল-৪ কর্তৃপক্ষ।

এতদিন ভাড়ায় চালিত নৌকায় অফিসে আসা-যাওয়া করেছেন কর অঞ্চল-৪ এর কর্মকর্তারা। এবার আর ভাড়া নৌকায় চড়তে হবে না। নিজেরাই নৌকা কিনে নিয়েছেন স্থায়ীভাবে। নগরীর আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকার ১নং সড়কে ভাড়া করা ভবনে চট্টগ্রাম কর অঞ্চল-৪’র প্রধান কার্যালয়। নিয়মিত জোয়ারে ওই এলাকা কোমর থেকে বুক সমান পানিতে ডুবে থাকে। জোয়ারের সময় অফিসে আসা-যাওয়ায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। কারণ জোয়ারের সময় সেখানে গাড়ি চলাচল করতে পারে না।

জানা গেছে, আয়কর দিতে আসা নাগরিকদেরও এই নৌকায় চড়তে দেখা যায়। রবিবারও আগ্রাবাদ এলাকায় টানা বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। কর কার্যালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী বলেন, এ এলাকার জলাবদ্ধতা শুধু বৃষ্টির কারণে নয়, রৌদ্রোজ্জ্বল দিনেও জোয়ারের পানিতে সড়ক ডুবে যায়। অতিরিক্ত বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে রহিম ম্যানশনের ছয়তলা ভবনটির সামনের সড়কটি নিয়মিতই কোমর থেকে হাঁটু পানিতে তলিয়ে যায়।

কর অঞ্চল-৪’র পাশাপাশি অন্যান্য কর অঞ্চল, ভ্যাট ও কর আপিলাত ট্রাইব্যুনালের একাধিক অফিস রয়েছে সেখানে। কর অঞ্চল-১’র উপ-কর কমিশনার মুরাদ আহমেদ বলেন, সিডিএ আবাসিক এলাকাকে ঘিরে কর বিভাগের বিভিন্ন অফিসে প্রায় সাড়ে ৭শ’র মতো কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মরত আছেন। এদের সবাইকে চরম দুর্ভোগের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। একই অবস্থা আশপাশের সরকারি অফিসগুলোতেও।

ওই অঞ্চলে কর্মরত কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, আগ্রাবাদ সিডিএ এলাকার প্রায় প্রতিটি সড়কের নিয়মিত দৃশ্য এটি। কোনো সড়কে কোমর পানি, কোনোটিতে হাঁটু পানি ওঠে। ওই এলাকায় কর্মরত সরকারি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আগ্রাবাদ বাদামতলী এলাকায় নেমে সিডিএ এলাকার ভ্যাট অফিসের সামনে এসে পানির কারণে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে রিকশা নিতে হচ্ছিল। প্রতিদিনের এ দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে দুই সপ্তাহ আগে লাল রঙের নৌকাটি কেনার কথা স্বীকার করেন কর অঞ্চল-৪ এর কমিশনার আহমেদ উল্লাহ। তিনি বলেন, প্রায় প্রতিদিনই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে কর্মকর্তা-কর্মচারী ও করদাতাদের আসা-যাওয়াসহ দাপ্তরিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এজন্যই নৌকাটি কেনা হয়েছে।

কর কর্মকর্তারা জানান, দুই সপ্তাহ আগে চট্টগ্রামের কুমিরা এলাকা থেকে প্রায়২৬ হাজার টাকায় নৌকাটি কেনা হয়। যাত্রী নেওয়ার পর নৌকাটিকে কর অফিসের একজন দারোয়ান ঠেলে অথবা দাঁড় বেয়ে চালিয়ে নিয়ে যান।