ঢাকা ১২:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে ঘাড় ধাক্কার অভিযোগ

আন্তর্জাতিক :

ভারতের প্রধান বিরোধীদল কংগ্রেসের নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে হেনস্তার অভিযোগ ওঠেছে লক্ষ্ণৌ পুলিশের বিরুদ্ধে।

দেশটির সংবাদমাধ্যম জানায়, গতকাল শনিবার নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতার অভিযোগে দেশটির উত্তর প্রদেশের লক্ষ্ণৌতে গ্রেপ্তার একজন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে তিনি পুলিশের বাধার মুখে পড়েন।

প্রিয়াঙ্কা গান্ধী অভিযোগ করেছেন, অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা এস আর দারাপুরির (৭৬) ইন্দিরানগরের উদ্দেশ্যে নেতা-কর্মীদের নিয়ে রওনা হয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ তার শোভাযাত্রায় বাধা দেয় এবং দলের একজন কর্মীর মোটরসাইকেলে করে তাকে সেখান থেকে চলে যেতে বাধ্য করেন। এরপর দুই কিলোমিটার দূরে সড়কের সংযোগস্থলে তিনি আবারও বাধার মুখে পড়েন। ওই সময় তিনি ওই পুলিশ কর্মকর্তার বাসায় হেঁটেই যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। 

প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বলেন, ‘আমি দারাপুরিজির সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে গেলে ইউপি পুলিশ আমাকে বাধা দেয়। হেনস্তা করে। তারা আমার ঘাড় ধরে ধাক্কা দিলে আমি পড়ে যাই। দলের একজন কর্মীর স্কুটারে যাওয়ার সময় তারা (পুলিশ) আমাকে ঘিরে ছিল। পরে আমি হেঁটে সেখানে পৌঁছাই।’

এদিকে ঘটনার সময়ের এক ভিডিওতে দেখা গেছে, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী সমর্থক ও নিরাপত্তা রক্ষীদের সঙ্গে হেঁটে যাচ্ছেন এবং পুলিশ তাঁকে বাধা দিচ্ছে। পরে তিনি একজন কর্মীর সঙ্গে মোটরসাইকেলে করে যাওয়ার সময় পুলিশের গাড়ি তাঁকে অনুসরণ করতে থাকে।

বার্তা সংস্থা পিটিআইকে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বলেন, ‘আমাকে নারী পুলিশেরা ঘিরে রাখে। একজন নারী পুলিশ কর্মী আমাকে ধাক্কা দেয় এবং আমি নিচে পড়ে যাই। আমাকে জোর করে থামানো হয় এবং একজন নারী পুলিশ আমার ঘাড় ধরে টেনে তোলে। কিন্তু আমি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলাম। পুলিশের নির্যাতনের শিকার প্রত্যেক নাগরিকের সঙ্গে আমি আছি। এটা আমার সত্যগ্রহ।’

এভাবে তাঁকে বাধা দেওয়ার কোনো কারণ ছিল না উল্লেখ করে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বলেন, ‘তারা (পুলিশ) আমাকে রাস্তার মাঝখানে আটকায়। বিজেপি সরকার কাপুরুষের মতো কাজ করছে। আমি উত্তর প্রদেশ কংগ্রেসের দায়িত্বে আছি। আমি রাজ্যের কোথায় যাব, সে সিদ্ধান্ত সরকার নিতে পারে না।’

পরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমি যেখানে শান্তিপূর্ণভাবে যাচ্ছিলাম, সেখানে কীভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নষ্ট হয়? আমাকে বাধা দেওয়ার অধিকার নেই তাদের। যদি তারা আমাকে গ্রেপ্তার করতে চায় তো করুক।’

তবে লক্ষ্ণৌতে জ্যেষ্ঠ পুলিশ সুপার কালানিধি নাইথানি বলেন, প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর শোভাযাত্রাকে তখনই বাধা দেওয়া হয়েছে, যখন সেটি পূর্বপরিকল্পিত পথ ছেড়ে অন্য পথে যাচ্ছিল। অর্চনা সিং নামের যে নারী পুলিশের বিরুদ্ধে তিনি ঘাড় ধরে নিচে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন তা একদমই সত্য নয়। ওই নারী পুলিশ শুধু তাঁর যতটুকু সক্ষমতা আছে তার মধ্যে দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করেছেন।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগরর উপজেলায় জরায়ুমুখ ক্যান্সার রোধে টিকাদান ক্যাম্পেইন

প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে ঘাড় ধাক্কার অভিযোগ

আপডেট সময় ০১:৪০:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৯

আন্তর্জাতিক :

ভারতের প্রধান বিরোধীদল কংগ্রেসের নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে হেনস্তার অভিযোগ ওঠেছে লক্ষ্ণৌ পুলিশের বিরুদ্ধে।

দেশটির সংবাদমাধ্যম জানায়, গতকাল শনিবার নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতার অভিযোগে দেশটির উত্তর প্রদেশের লক্ষ্ণৌতে গ্রেপ্তার একজন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে তিনি পুলিশের বাধার মুখে পড়েন।

প্রিয়াঙ্কা গান্ধী অভিযোগ করেছেন, অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা এস আর দারাপুরির (৭৬) ইন্দিরানগরের উদ্দেশ্যে নেতা-কর্মীদের নিয়ে রওনা হয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ তার শোভাযাত্রায় বাধা দেয় এবং দলের একজন কর্মীর মোটরসাইকেলে করে তাকে সেখান থেকে চলে যেতে বাধ্য করেন। এরপর দুই কিলোমিটার দূরে সড়কের সংযোগস্থলে তিনি আবারও বাধার মুখে পড়েন। ওই সময় তিনি ওই পুলিশ কর্মকর্তার বাসায় হেঁটেই যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। 

প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বলেন, ‘আমি দারাপুরিজির সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে গেলে ইউপি পুলিশ আমাকে বাধা দেয়। হেনস্তা করে। তারা আমার ঘাড় ধরে ধাক্কা দিলে আমি পড়ে যাই। দলের একজন কর্মীর স্কুটারে যাওয়ার সময় তারা (পুলিশ) আমাকে ঘিরে ছিল। পরে আমি হেঁটে সেখানে পৌঁছাই।’

এদিকে ঘটনার সময়ের এক ভিডিওতে দেখা গেছে, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী সমর্থক ও নিরাপত্তা রক্ষীদের সঙ্গে হেঁটে যাচ্ছেন এবং পুলিশ তাঁকে বাধা দিচ্ছে। পরে তিনি একজন কর্মীর সঙ্গে মোটরসাইকেলে করে যাওয়ার সময় পুলিশের গাড়ি তাঁকে অনুসরণ করতে থাকে।

বার্তা সংস্থা পিটিআইকে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বলেন, ‘আমাকে নারী পুলিশেরা ঘিরে রাখে। একজন নারী পুলিশ কর্মী আমাকে ধাক্কা দেয় এবং আমি নিচে পড়ে যাই। আমাকে জোর করে থামানো হয় এবং একজন নারী পুলিশ আমার ঘাড় ধরে টেনে তোলে। কিন্তু আমি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলাম। পুলিশের নির্যাতনের শিকার প্রত্যেক নাগরিকের সঙ্গে আমি আছি। এটা আমার সত্যগ্রহ।’

এভাবে তাঁকে বাধা দেওয়ার কোনো কারণ ছিল না উল্লেখ করে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বলেন, ‘তারা (পুলিশ) আমাকে রাস্তার মাঝখানে আটকায়। বিজেপি সরকার কাপুরুষের মতো কাজ করছে। আমি উত্তর প্রদেশ কংগ্রেসের দায়িত্বে আছি। আমি রাজ্যের কোথায় যাব, সে সিদ্ধান্ত সরকার নিতে পারে না।’

পরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমি যেখানে শান্তিপূর্ণভাবে যাচ্ছিলাম, সেখানে কীভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নষ্ট হয়? আমাকে বাধা দেওয়ার অধিকার নেই তাদের। যদি তারা আমাকে গ্রেপ্তার করতে চায় তো করুক।’

তবে লক্ষ্ণৌতে জ্যেষ্ঠ পুলিশ সুপার কালানিধি নাইথানি বলেন, প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর শোভাযাত্রাকে তখনই বাধা দেওয়া হয়েছে, যখন সেটি পূর্বপরিকল্পিত পথ ছেড়ে অন্য পথে যাচ্ছিল। অর্চনা সিং নামের যে নারী পুলিশের বিরুদ্ধে তিনি ঘাড় ধরে নিচে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন তা একদমই সত্য নয়। ওই নারী পুলিশ শুধু তাঁর যতটুকু সক্ষমতা আছে তার মধ্যে দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করেছেন।