ঢাকা ০৫:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশ-ভারত সাড়ে ৪শ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি স্বাক্ষর

জাতীয় ডেস্কঃ
ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকার সাড়ে ৪শ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি সই করেছে। টাকার হিসেবে তা প্রায় ৩৬ হাজার কোটি টাকা। এ চুক্তির আওতায় বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রাথমিকভাবে ১৭টি উন্নয়ন প্রকল্প চিহ্নিত করা হয়েছে।
বুধবার বেলা ১১টায় সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) ও ভারতের এক্সিম ব্যাংকের মধ্যে তৃতীয় লাইন অব ক্রেডিট (এলওসি) শীর্ষক ঋণচুক্তি সই হয়।
এই চুক্তির মাধ্যমে সাত বছরের মধ্যে তৃতীয়বারের মতো বড় ধরনের ঋণ দিল ভারত। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব কাজী শফিকুল আজম ও ভারতের এক্সিম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডেভিড রাজ কুইনা নিজ নিজ দেশের পক্ষে এই থার্ড এলওসি চুক্তিতে সই করেন।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, সফররত ভারতের অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলিসহ বিভিন্ন কর্মকর্তারা। গত এপ্রিল মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকালে বাংলাদেশের জন্য ৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের এ ভারতীয় ক্রেডিট লাইনের ঘোষণা দেওয়া হয়।
এ নিয়ে গত ছয় বছরে বাংলাদেশকে ভারতের দেওয়া মোট ক্রেডিট লাইন ঋণের পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে প্রায় আট বিলিয়ন ডলার বা প্রায় ৬৪ হাজার কোটি টাকা।
ইআরডি সূত্রে জানা গেছে, ১৭টি প্রকল্পের মধ্যে থাকছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ বিতরণ অবকাঠামো উন্নয়ন; পায়রা বন্দরের বহুমুখী টার্মিনাল নির্মাণ; বুড়িগঙ্গা নদী পুনরুদ্ধার ও তীর সংরক্ষণ; বগুড়া থেকে সিরাজগঞ্জ পর্যন্ত দ্বৈতগেজ রেলপথ নির্মাণ; সৈয়দপুর বিমানবন্দর উন্নতকরণ; বেনাপোল-যশোর-ভাটিয়াপাড়া-ভাঙ্গা সড়ককে চার লেনে উন্নীত করা; চট্টগ্রামে কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণ; ঈশ্বরদীতে কনটেইনার ডিপো নির্মাণ; কাটিহার-পার্বতীপুর-বরনগর দিয়ে দুই দেশের মধ্যে বিদ্যুৎ বিতরণ লাইন তৈরি; মোংলা বন্দর উন্নয়ন; চট্টগ্রামে ড্রাই ডক নির্মাণ; মিরসরাইয়ের বারৈয়ারহাট থেকে রামগড় পর্যন্ত চার লেনে সড়ক উন্নীত করা; মোল্লাহাটে ১০০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ; মিরসরাই বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠন; কুমিল্লা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর হয়ে সরাইল পর্যন্ত চার লেন সড়ক নির্মাণ; ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য যন্ত্রপাতি সরবরাহ এবং ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রাজশাহীতে ১ লাখ এলইডি বাল্ব সরবরাহ প্রকল্প।
কোনো ঋণচুক্তির আওতায় এটিই হচ্ছে দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় বড় ঋণ। এর আগে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে রাশিয়ার সঙ্গে ১ হাজার ১৩৮ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি করে বাংলাদেশ।
ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

শিক্ষার্থীদের উপর হামলার প্রতিবাদে মুরাদনগরে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ

বাংলাদেশ-ভারত সাড়ে ৪শ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি স্বাক্ষর

আপডেট সময় ০১:৫৬:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ অক্টোবর ২০১৭
জাতীয় ডেস্কঃ
ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকার সাড়ে ৪শ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি সই করেছে। টাকার হিসেবে তা প্রায় ৩৬ হাজার কোটি টাকা। এ চুক্তির আওতায় বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রাথমিকভাবে ১৭টি উন্নয়ন প্রকল্প চিহ্নিত করা হয়েছে।
বুধবার বেলা ১১টায় সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) ও ভারতের এক্সিম ব্যাংকের মধ্যে তৃতীয় লাইন অব ক্রেডিট (এলওসি) শীর্ষক ঋণচুক্তি সই হয়।
এই চুক্তির মাধ্যমে সাত বছরের মধ্যে তৃতীয়বারের মতো বড় ধরনের ঋণ দিল ভারত। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব কাজী শফিকুল আজম ও ভারতের এক্সিম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডেভিড রাজ কুইনা নিজ নিজ দেশের পক্ষে এই থার্ড এলওসি চুক্তিতে সই করেন।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, সফররত ভারতের অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলিসহ বিভিন্ন কর্মকর্তারা। গত এপ্রিল মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকালে বাংলাদেশের জন্য ৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের এ ভারতীয় ক্রেডিট লাইনের ঘোষণা দেওয়া হয়।
এ নিয়ে গত ছয় বছরে বাংলাদেশকে ভারতের দেওয়া মোট ক্রেডিট লাইন ঋণের পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে প্রায় আট বিলিয়ন ডলার বা প্রায় ৬৪ হাজার কোটি টাকা।
ইআরডি সূত্রে জানা গেছে, ১৭টি প্রকল্পের মধ্যে থাকছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ বিতরণ অবকাঠামো উন্নয়ন; পায়রা বন্দরের বহুমুখী টার্মিনাল নির্মাণ; বুড়িগঙ্গা নদী পুনরুদ্ধার ও তীর সংরক্ষণ; বগুড়া থেকে সিরাজগঞ্জ পর্যন্ত দ্বৈতগেজ রেলপথ নির্মাণ; সৈয়দপুর বিমানবন্দর উন্নতকরণ; বেনাপোল-যশোর-ভাটিয়াপাড়া-ভাঙ্গা সড়ককে চার লেনে উন্নীত করা; চট্টগ্রামে কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণ; ঈশ্বরদীতে কনটেইনার ডিপো নির্মাণ; কাটিহার-পার্বতীপুর-বরনগর দিয়ে দুই দেশের মধ্যে বিদ্যুৎ বিতরণ লাইন তৈরি; মোংলা বন্দর উন্নয়ন; চট্টগ্রামে ড্রাই ডক নির্মাণ; মিরসরাইয়ের বারৈয়ারহাট থেকে রামগড় পর্যন্ত চার লেনে সড়ক উন্নীত করা; মোল্লাহাটে ১০০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ; মিরসরাই বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠন; কুমিল্লা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর হয়ে সরাইল পর্যন্ত চার লেন সড়ক নির্মাণ; ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য যন্ত্রপাতি সরবরাহ এবং ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রাজশাহীতে ১ লাখ এলইডি বাল্ব সরবরাহ প্রকল্প।
কোনো ঋণচুক্তির আওতায় এটিই হচ্ছে দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় বড় ঋণ। এর আগে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে রাশিয়ার সঙ্গে ১ হাজার ১৩৮ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি করে বাংলাদেশ।