ঢাকা ১২:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাঞ্ছারামপুরে কাজী নিজেই করলেন বাল্যবিবাহ

মো. আবু রায়হান চৌধুরী, হোমনা থেকেঃ

ব্রাক্ষণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সোনারামপুর ইউনিয়নের হেড কাজী মো. হেলাল মিয়া (৩২)। কনে আফরুজা আক্তার (১৫) বাড়ী উপজেলার সোনারামপুর গ্রামের ছোট মিয়ার মেয়ে, যার বাল্য বিবাহ  হয়েছে। সারা দেশে বিবাহ পড়ানোর জন্য রেজিষ্ট্রার প্রতিনিধি বা বিয়ের কাজী নিয়োগ করা হয়েছে এবং তাদের কে আইনগত ভাবে বাল্য বিবাহ না পড়ানোর জন্য নিষেধাজ্ঞা জারী করেছেন সরকার। সেই নিষেধ কে উপেক্ষা করেই এবার,- কাজী নিজেই বিয়ে করলো এক নাবালিকা কিশোরীকে নাবালিকা কিশোরী এবছর রূপসদীর মহিলা মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেনির ছাএী ছিল। পড়ে সে ২০১৬ সালে পড়াশুনার জন্য নরসিংদীতে চলে যায়। বর্তমানে ২০১৭ সালে আফরুজা আক্তার নরসিংদীতে পড়াশোনা করারত অবস্থায় তার মা-বাবার কথা রাখতে গিয়ে বাল্যবিবাহ-নামক সর্বনাশা মরনব্যাধী বিয়ের পিড়ীতে বসতে বাধ্য হয়। উল্লেখিত বাল্যবিবাহের ঘটনাটি ঘটেছে গত বুধবার। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সোনারামপুর গ্রামে। এনিয়ে এলাকায় ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

আলোচিত বাল্যবিবাহের ঘটনাটি সরেজমিনে পরিদর্শন করে এবং স্থানীয় এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানা যায়,-‘কেবল বিয়ের কাজী বাল্য বিবাহ করেই অপরাধ করেন নি, সে সাথে বিয়েতে সরকারিভাবে রেজিষ্টার্ড কাবিননামায় নাবালিকা বিয়ের (পাত্রী) আফরোজা বেগম (১৫) কে মিথ্যে ঘোষনা দেয়।

বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় কর্মরত বিভিন্ন ইউনিয়নে সরকারিভাবে নিয়োগকৃত কাজীদের সাথে যোগাযোগ করলে জানা যায়, হেড কাজী হেলালের বিয়ের সম্পর্কে কেউই কিছুই জানেন না বলে অনেকেই মন্তব্য করেন।

এব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহিন মিয়া বলেন,কাজীর সাথে আমার কোন পরিচয় নেই,আমার এলাকায় বাল্যবিবাহের ঘটনা ঘটছে জানলে আমি প্রশাসনের সহায়তা নিয়ে তা বন্ধ করি,যা আমার নৈতিক দায়িত্ব’ এবং কর্তব্য।

এদিকে,-‘ইউপি চেয়ারম্যানকে স্বাক্ষী ও এলাকাবাসীর সামনে বাল্য বিবাহ করে নিজেই গর্হিত অপরাধ করেছেন কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে কাজী‘হেলাল উদ্দিন-বলেন,-‘আমি অন্যায় করিনি। মেয়েটি নাবালিকা নয় তার জন্ম নিবন্ধ আছে। অন্য দিকে কনে তার স্কুল ২০১২ সালে প্রাইমারিতে ২য় শ্রেনিতে পড়তেন। কনের বড় ভাই ২০১০ সালে সমাপনি পরিক্ষায় উওীর্ণ হয়,এই হিসাবে ভাই আশিকের বয়স হয় ১৯ তার ছোট এক বোন,তার পরের জন কনে আফরোজা বেগম। কাজী আরও বলেন যে,আমার শত্রুপক্ষ এটিকে ভিন্ন রুপ দিয়েছে। বেশ গোপনীয়তার মাধ্যমে করা এই বিয়ে। ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এই  বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন’-এমন প্রশ্নের জবাবে কাজী হেলাল মিয়া বলেন,-‘সোনারামপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান শাহিন কেবল উপস্থিত-ই ছিলেন তা নয়,আমার বিয়েতে উকিল/১ নং স্বাক্ষীও হয়েছিলেন। বিয়ে তদারকিসহ বিয়ে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কর্মকান্ড সফলভাবে সম্পন্ন করে আমার নববধূ আফরোজাকে আর্শিবাদ করেন। তিনি বিয়ে সম্পর্কে জানেন না,উপস্থিত  ছিলেন।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির ১৭ বছর পর বিজয় দিবস উদযাপন

বাঞ্ছারামপুরে কাজী নিজেই করলেন বাল্যবিবাহ

আপডেট সময় ০৩:৩০:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ জুলাই ২০১৭
মো. আবু রায়হান চৌধুরী, হোমনা থেকেঃ

ব্রাক্ষণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সোনারামপুর ইউনিয়নের হেড কাজী মো. হেলাল মিয়া (৩২)। কনে আফরুজা আক্তার (১৫) বাড়ী উপজেলার সোনারামপুর গ্রামের ছোট মিয়ার মেয়ে, যার বাল্য বিবাহ  হয়েছে। সারা দেশে বিবাহ পড়ানোর জন্য রেজিষ্ট্রার প্রতিনিধি বা বিয়ের কাজী নিয়োগ করা হয়েছে এবং তাদের কে আইনগত ভাবে বাল্য বিবাহ না পড়ানোর জন্য নিষেধাজ্ঞা জারী করেছেন সরকার। সেই নিষেধ কে উপেক্ষা করেই এবার,- কাজী নিজেই বিয়ে করলো এক নাবালিকা কিশোরীকে নাবালিকা কিশোরী এবছর রূপসদীর মহিলা মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেনির ছাএী ছিল। পড়ে সে ২০১৬ সালে পড়াশুনার জন্য নরসিংদীতে চলে যায়। বর্তমানে ২০১৭ সালে আফরুজা আক্তার নরসিংদীতে পড়াশোনা করারত অবস্থায় তার মা-বাবার কথা রাখতে গিয়ে বাল্যবিবাহ-নামক সর্বনাশা মরনব্যাধী বিয়ের পিড়ীতে বসতে বাধ্য হয়। উল্লেখিত বাল্যবিবাহের ঘটনাটি ঘটেছে গত বুধবার। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সোনারামপুর গ্রামে। এনিয়ে এলাকায় ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

আলোচিত বাল্যবিবাহের ঘটনাটি সরেজমিনে পরিদর্শন করে এবং স্থানীয় এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানা যায়,-‘কেবল বিয়ের কাজী বাল্য বিবাহ করেই অপরাধ করেন নি, সে সাথে বিয়েতে সরকারিভাবে রেজিষ্টার্ড কাবিননামায় নাবালিকা বিয়ের (পাত্রী) আফরোজা বেগম (১৫) কে মিথ্যে ঘোষনা দেয়।

বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় কর্মরত বিভিন্ন ইউনিয়নে সরকারিভাবে নিয়োগকৃত কাজীদের সাথে যোগাযোগ করলে জানা যায়, হেড কাজী হেলালের বিয়ের সম্পর্কে কেউই কিছুই জানেন না বলে অনেকেই মন্তব্য করেন।

এব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহিন মিয়া বলেন,কাজীর সাথে আমার কোন পরিচয় নেই,আমার এলাকায় বাল্যবিবাহের ঘটনা ঘটছে জানলে আমি প্রশাসনের সহায়তা নিয়ে তা বন্ধ করি,যা আমার নৈতিক দায়িত্ব’ এবং কর্তব্য।

এদিকে,-‘ইউপি চেয়ারম্যানকে স্বাক্ষী ও এলাকাবাসীর সামনে বাল্য বিবাহ করে নিজেই গর্হিত অপরাধ করেছেন কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে কাজী‘হেলাল উদ্দিন-বলেন,-‘আমি অন্যায় করিনি। মেয়েটি নাবালিকা নয় তার জন্ম নিবন্ধ আছে। অন্য দিকে কনে তার স্কুল ২০১২ সালে প্রাইমারিতে ২য় শ্রেনিতে পড়তেন। কনের বড় ভাই ২০১০ সালে সমাপনি পরিক্ষায় উওীর্ণ হয়,এই হিসাবে ভাই আশিকের বয়স হয় ১৯ তার ছোট এক বোন,তার পরের জন কনে আফরোজা বেগম। কাজী আরও বলেন যে,আমার শত্রুপক্ষ এটিকে ভিন্ন রুপ দিয়েছে। বেশ গোপনীয়তার মাধ্যমে করা এই বিয়ে। ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এই  বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন’-এমন প্রশ্নের জবাবে কাজী হেলাল মিয়া বলেন,-‘সোনারামপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান শাহিন কেবল উপস্থিত-ই ছিলেন তা নয়,আমার বিয়েতে উকিল/১ নং স্বাক্ষীও হয়েছিলেন। বিয়ে তদারকিসহ বিয়ে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কর্মকান্ড সফলভাবে সম্পন্ন করে আমার নববধূ আফরোজাকে আর্শিবাদ করেন। তিনি বিয়ে সম্পর্কে জানেন না,উপস্থিত  ছিলেন।