ফয়সল আহমেদ খান বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) থেকেঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ছলিমাবাদ ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামে জনৈকা রাহিলা বেগম নামক মহিলার বাড়িতে হামলা ও গৃহকর্তীকে বেধড়ক মারধোর করে একদল বখাটে ১ লাখ টাকা,৫ভরি স্বর্ণসহ বসতবাড়ির সব মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঘটনাটি গত ৯ ডিসেম্বর বিকেলে ঘটলেও মিমাংসার নামে বখাটে তথা হামলাকারীরা কালক্ষেপন কওে বিষয়টিকে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চলছে বলে জানা গেছে।
খোজ নিয়ে জানা গেছে,গত শনিবার বিকেলে প্রবাসী হানিফ মিয়ার স্ত্রীরাহেলা বেগম জমি কেনার জন্য ধারে হোসেনপুর উত্তর পাড়া হতে ১ লাখ টাকা নিয়ে বাড়ি আসেন।একই গ্রামের মাদকাসক্ত ও বখাটে হিসেবে পরিচিত স্থানীয় একটি গ্রুপ বিষয়টি টের পেয়ে গেলে রাহেলা বেগম বাড়ীতে প্রবেশের সাথে সাথে জনা ত্রিশেক(প্রায় ৩০জন)একদল যুবক ঘরে অতর্কিত ঢুকে প্রথমে ১লাখ টাকা,চাবি নিয়ে আলমারী খূলে মোট ৫ ভরি স্বর্ণ,মোবাইল,ল্যাপটপসহ ঘরের মূল্যবান সব জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়।বাধা দিতে গেলে রাহেলা বেগমকে কাসেম,হোসেন,রিপন,নুরুল ইসলাম,সোহেল,সজীব,হোসেন,হারুন,আওলাদ,রিপন প্রমূখরা তাকে লাথি,ঘুষি ও দেশীয় লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারধোর করে বখাটেরা সদর্পে চলে যায়।
পরদিন,রবিবার ১০ডিসেম্বর রাহেলা বেগমের ভাই ওয়ারেছ কুরুনী(৫০)এই ঘটনার বিচার চাইতে ছলিমাবাদ ইউপি চেয়ারম্যানের নিকট বিচার দাবী করতে যান।তিনি বিচার দাবী করায় তাকে বাড়ি ফেরার পথে হোসেনপুর উত্তরপাড়া মসজিদের নিকট ঐ বখাটেরা এলোপাথারী কোপায়।ওয়ারেছ কুরুনীর ভাই ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি নূর মোহাম্মদ বলেন,-‘হামলাকারীরা সবাই স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মী।এরা মাদক সেবন করেন।আমার বোন রাহেলাকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।ভাইকে বাঞ্ছারামপুর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।থানায় আমি বাদী হয়ে মামলা দায়ের করা হযেছে।আমার বোন ও ভাইয়ের উপর হামলা,লুটপাটের বিচার চাই।পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করেনি বলে আজ বুধবার রাতেও বেপোয়ারা বখাটেরা মামলা তুলে নেয়ার জন্য হুমকি দিয়েছে’।
এই বিষয়ে অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তা বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার সহকারি পুলিশ পরিদর্শক মো.তাজুল ইসলাম বলেন,-‘আমি অভিযোগটি পেয়েছি গতকাল মঙ্গলবার।এখনো তদন্ত করিনি।তদন্ত করে অভিযুক্ত হলে আসামী গ্রেফতার হবে’।