আশিকুর রহমান,বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) থেকেঃ‘
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার উজানচর গ্রামের বিয়ে করতে আসা কালাম মিয়া, অপেক্ষায় ছিলো কবুল বলার জন্য।ঠিক এমন মূহুর্তে উপজেলার নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও সহকারি কমিশনার (ভূমি)মো.আলমগীর হোসেন বিয়ে বাড়িতে ঝড়-বৃষ্টি আর দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়াকে তোয়াক্কা না করে আকষ্মিকভাবে বিয়ে বাড়িতে হাজির।বিষয়টি বুঝতে পেরে বর বেশে কালাম মারলো দৌড়!এক্কেবারে ডোবায় থাকা বৃষ্টির পানিতে কাঁদায় মাখামাখি।’-এমনই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিলো আজ শুক্রবার সন্ধ্যার পর।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলার দরিয়াদৌলত গ্রামে ৮ম শ্রেনীর ছাত্রী সুরভী আক্তার
তানিয়ার বিয়ের দিন ধার্য্য ছিলো আজ।গোপনসূত্রে খবর পেয়ে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট বিয়ের আসরে উপস্থিত হয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেন।রক্ষা পায় ৮ম শ্রেনীর নাবালিকা তানিয়া।কনের পিতাকে তাৎক্ষণিক ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন।উল্লেখ্য,বিয়ের কনে তানিয়া দরিয়াদৌলত হাই স্কুলের ৮ম শ্রেনীর মেধাবী ছত্রী।
খোজনিয়ে জানা যায় যে,গত ৬মাস আগে এই বিয়েটি দেখা দেখির মাধ্যমে ঠিক করে দিন তারিখ করেছিল তখন স্থানিয় মেম্বার ও স্কুল থেকে বিয়ের বাধাদেয়ার কারনে তাহা টেলিফোনে বিয়ে কাজ হয়ে ছিল। এরই মাঝে গত কয়েকদিন আগে (বর) কালাম বিদেশ হতে দেশে এসেছে তবে আজ বিয়ে।নানা জল্পনার মাঝেও থেমে নেই এই বেপরোয়া পরিবারটি। কাজির সাথে কথা বলে জানা যায় যে,তারা সরকারি বিধিবিধান কিছুই মানেনি। জন্মনিবন্ধ না দিতে পারায় আমি কাবিন করি নাই।মনে হয় মোল্লা দিয়ে( কবুল) বিয়ে করাইয়া নিয়াছে।এবাবে যদি এরকম হয়ে যায় সমাজের অবস্থা তাহলে সমাজ নুংরা হয়ে যাবে।তাই তাদের কে আইনের আওতায় আনার দাবি সমাজের জনসাধারণের।