ঢাকা ০২:০৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪, ৯ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিএনপির সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ দেখছেন ফখরুল

জাতীয় ডেস্ক:

বিএনপির সামনে এখন অনেক চ্যালেঞ্জ দেখছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আর এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার তাগিদ দিয়েছেন। বলেছেন, ‘দেশকে বাঁচাতে এবং গণতন্ত্র পূনঃপ্রতিষ্ঠা করতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।’

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি  জিয়াউর রহমানের ৮৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রবিবার বিকালে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনিস্টিটিউটে আয়োজিত আলোচনা সভায় একথা বলেন মির্জা ফখরুল।

তিনি বলেন, ‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের যে আদর্শ সেটা বাস্তবায়ন করতে হলে, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে এই নব্য স্বৈরাচার আওয়ামী লীগকে বিতারিত করতে হবে। বেগম খালেদা জিয়াকে আজ একটা মিথ্যা মামলা দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে। তার একটাই অপরাধ তিনি গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছেন।’

‘বিএনপির সামনে এখন অনেক চ্যালেঞ্জ। আর এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আজকে আমি খুব খুশি হতাম যদি এই আলোচনা সভায় আরো বেশি তরুণদের মুখ দেখতে পেতাম।’

ফখরুল বলেন, ‘আমি তরুণদের উদ্দেশ্যে বলব, জিয়াউর রহমানের যে দর্শন, যে আদর্শ রেখে গেছেন সেগুলো যদি আমরা অনুসরণ করি তাহলে আর আমাদের কোনদিকে তাকাতে হবে না। স্বাধীনতা, সার্বভৈামত্ব ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় তিনি যে অসামান্য অবদান রেখে গেছেন সেগুলো আমাদের অনুসরণ করতে হবে।’

‘আজকে বিএনপির দায়িত্ব অনেক, যুবকদের দায়িত্ব অনেক। আমাদের এই বর্তমান ফ্যাসিবাদ থেকে বেরিয়ে আসতে হলে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তাই আমি বলি, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হলে আমাদের ঐক্যবদ্ধ গণআন্দোলনের কোন বিকল্প নেই।’

সরকার খুব কৌশলে বিএনপিকে পরাজিত করতে চায় মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সরকার নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। গত জাতীয় নির্বাচনে তারা আগের রাতে ভোট চুরি করে নিয়ে গেছে। এখন তারা সিটি নির্বাচনে নতুন করে পায়তারা করছে। আজকে যদি আমরা ঐক্যবদ্ধ হই, সকল মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারি তাহলে অবশ্যই এই নির্বাচনে আমরা তাদের পরাজিত করতে পারবো। সিটি নির্বাচনে ইভিএম দিয়েছে। যেটা ভোট চুরির নতুন একটা কৌশল। আমরা বলছি এই ইভিএম ছুঁড়ে ফেলে দিতে হবে। এই ইভিএম দিয়ে নির্বাচন হবে না। স্বচ্ছভাবে নির্বাচন দিতে হবে। আর এই দাবি আমাদের আদায় হবে।’

আওয়ামী লীগ মিথ্যাচারের রাজনীতি করছে উল্লেখ করে আলোচনা সভার প্রধান অতিথি ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আওয়ামী লীগ মিথ্যাচারের রাজনীতি করছে। তাই তাদের কথা কেউ বিশ্বাস করে না। আজকে গায়ের জোরে মিথ্যাচার করে, ইতিহাস বিকৃত করে, জিয়াউর রহমানকে ও তার পরিবারের সদস্যদেরকে এবং বিএনপিকে নানাভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য আওয়ামী লীগ ওঠে পরে লেগেছে। এইসব দিক থেকে বুঝা যায় তারা দুর্বল।’

তিনি বলেন, ‘যেখানে আওয়ামী লীগ ব্যর্থ হয়েছে জিয়াউর রহমান সেখানে সফল হয়েছেন, বিএনপি সেখানে সফল হয়েছে, খালেদা জিয়া সেখানে সফল হয়েছেন। এই সব ইতিহাসগুলো যদি নতুন প্রজন্মের সামনে চলে আসে তাহলে আর আওয়ামী লীগের রাজনীতি থাকে না। তাই তারা মিথ্যাচার করে ইতহাস বিকৃত করছে।’

বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির সঞ্চালনায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, ড. আব্দুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক মাহাবুবউল্লাহ, ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন,যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দীন টুকু প্রমূখ।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হওয়ায় মুরাদনগরে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ

বিএনপির সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ দেখছেন ফখরুল

আপডেট সময় ০২:৫২:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২০

জাতীয় ডেস্ক:

বিএনপির সামনে এখন অনেক চ্যালেঞ্জ দেখছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আর এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার তাগিদ দিয়েছেন। বলেছেন, ‘দেশকে বাঁচাতে এবং গণতন্ত্র পূনঃপ্রতিষ্ঠা করতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।’

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি  জিয়াউর রহমানের ৮৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রবিবার বিকালে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনিস্টিটিউটে আয়োজিত আলোচনা সভায় একথা বলেন মির্জা ফখরুল।

তিনি বলেন, ‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের যে আদর্শ সেটা বাস্তবায়ন করতে হলে, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে এই নব্য স্বৈরাচার আওয়ামী লীগকে বিতারিত করতে হবে। বেগম খালেদা জিয়াকে আজ একটা মিথ্যা মামলা দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে। তার একটাই অপরাধ তিনি গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছেন।’

‘বিএনপির সামনে এখন অনেক চ্যালেঞ্জ। আর এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আজকে আমি খুব খুশি হতাম যদি এই আলোচনা সভায় আরো বেশি তরুণদের মুখ দেখতে পেতাম।’

ফখরুল বলেন, ‘আমি তরুণদের উদ্দেশ্যে বলব, জিয়াউর রহমানের যে দর্শন, যে আদর্শ রেখে গেছেন সেগুলো যদি আমরা অনুসরণ করি তাহলে আর আমাদের কোনদিকে তাকাতে হবে না। স্বাধীনতা, সার্বভৈামত্ব ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় তিনি যে অসামান্য অবদান রেখে গেছেন সেগুলো আমাদের অনুসরণ করতে হবে।’

‘আজকে বিএনপির দায়িত্ব অনেক, যুবকদের দায়িত্ব অনেক। আমাদের এই বর্তমান ফ্যাসিবাদ থেকে বেরিয়ে আসতে হলে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তাই আমি বলি, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হলে আমাদের ঐক্যবদ্ধ গণআন্দোলনের কোন বিকল্প নেই।’

সরকার খুব কৌশলে বিএনপিকে পরাজিত করতে চায় মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সরকার নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। গত জাতীয় নির্বাচনে তারা আগের রাতে ভোট চুরি করে নিয়ে গেছে। এখন তারা সিটি নির্বাচনে নতুন করে পায়তারা করছে। আজকে যদি আমরা ঐক্যবদ্ধ হই, সকল মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারি তাহলে অবশ্যই এই নির্বাচনে আমরা তাদের পরাজিত করতে পারবো। সিটি নির্বাচনে ইভিএম দিয়েছে। যেটা ভোট চুরির নতুন একটা কৌশল। আমরা বলছি এই ইভিএম ছুঁড়ে ফেলে দিতে হবে। এই ইভিএম দিয়ে নির্বাচন হবে না। স্বচ্ছভাবে নির্বাচন দিতে হবে। আর এই দাবি আমাদের আদায় হবে।’

আওয়ামী লীগ মিথ্যাচারের রাজনীতি করছে উল্লেখ করে আলোচনা সভার প্রধান অতিথি ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আওয়ামী লীগ মিথ্যাচারের রাজনীতি করছে। তাই তাদের কথা কেউ বিশ্বাস করে না। আজকে গায়ের জোরে মিথ্যাচার করে, ইতিহাস বিকৃত করে, জিয়াউর রহমানকে ও তার পরিবারের সদস্যদেরকে এবং বিএনপিকে নানাভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য আওয়ামী লীগ ওঠে পরে লেগেছে। এইসব দিক থেকে বুঝা যায় তারা দুর্বল।’

তিনি বলেন, ‘যেখানে আওয়ামী লীগ ব্যর্থ হয়েছে জিয়াউর রহমান সেখানে সফল হয়েছেন, বিএনপি সেখানে সফল হয়েছে, খালেদা জিয়া সেখানে সফল হয়েছেন। এই সব ইতিহাসগুলো যদি নতুন প্রজন্মের সামনে চলে আসে তাহলে আর আওয়ামী লীগের রাজনীতি থাকে না। তাই তারা মিথ্যাচার করে ইতহাস বিকৃত করছে।’

বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির সঞ্চালনায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, ড. আব্দুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক মাহাবুবউল্লাহ, ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন,যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দীন টুকু প্রমূখ।