ঢাকা ১১:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিএনপি ৪ শর্তে নির্বাচনে যাবে

জাতীয় ডেস্কঃ
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যেতে সরকারকে চারটি শর্ত দিয়েছে বিএনপি। শর্তগুলো হলো— নির্বাচনে বিএনপির নেতৃত্ব দেবেন খালেদা জিয়া, নির্বাচন হতে হবে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক, শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে এবং নির্দলীয় সহায়ক সরকারের অধীনে হতে হবে নির্বাচন।
রবিবার বেলা সাড়ে ১১টায় দলের নয়াপল্টন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ শর্ত দেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, আতাউর রহমান ঢালী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ।
রিজভী বলেন, ‘মিথ্যা চিত্কারসর্বস্ব দল আওয়ামী লীগ। পিঠা ভাগের মতো সংসদীয় আসনের সিংহভাগ আওয়ামী লীগ নিজেদের কব্জায় রেখে বাকি স্বল্পসংখ্যক আসন অন্যদলকে ভাগ দেয়ার কথা শোনা যাচ্ছে। এটাই নির্বাচনহীন একদলীয় শাসনের নমুনা। ওবায়দুল কাদেরের কথায় যে ‘আনুষ্ঠানিকতা’র কথা বলা হয়েছে সেটা কী তারই আলামত? আসন ভাগাভাগির বিষয়টি অনেকটা পরিষ্কার হয়ে গেছে। যতই ষড়যন্ত্র করেন না কেন, যতই ভাগাভাগি করেন না কেন, বানরের পিঠা ভাগাভাগির নির্বাচন এদেশের জনগণ হতে দিবে না। ৫ জানুয়ারির মতো ভোটারবিহীন একতরফা নির্বাচন আর এদেশে করতে দেয়া হবে না। জনগণকে সাথে প্রতিরোধের ধাক্কায় গুড়িয়ে দেয়া হবে।
নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এবং অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বক্তব্যের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ‘আগামী নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের কোনো শঙ্কা নেই উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, উন্নয়ন দিয়েই দেশবাসীর মন জয় করেছে দল। তাই আগামী নির্বাচন কেবল আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে অন্তবর্র্তীকালীন সরকার গঠন করে তার অধীনে অনুষ্ঠিত হবে। আওয়ামী লীগ জনগণকে ধোঁকা দেয়ার বিদ্যা ভাল করেই জানে। আওয়ামী লীগ আত্মসম্মানহীন প্রতারক, জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করাই আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ইশতেহার। আওয়ামী লীগ নেতাদের কথায় মনে হচ্ছে তাদের মাস্টারপ্ল্যান চূড়ান্ত। কিভাবে আরেকটি ভোটারবিহীন নির্বাচন মঞ্চস্থ করা যায় সেই চক্রান্তমূলক আয়োজনে তারা ব্যস্ত রয়েছেন। সাজানো জাল জালিয়াতির মাধ্যমে কাগজ তৈরি করে মিথ্যা মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়ে কারাবন্দি করে রাখা ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সাজা দেয়া সেই মাস্টারপ্ল্যানেরই অংশ।
রিজভী বলেন, পুলিশী ক্ষমতার অহঙ্কার ও গরিমায় প্রধানমন্ত্রী সর্বময় কর্তৃত্ব চাইছেন, কিন্তু সেই স্বপ্ন গণতন্ত্রকামী জনগণ বাস্তবায়িত হতে দেবে না। এদেশের বহুদলীয় গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা রক্ষা এবং জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক বেগম খালেদা জিয়া ছাড়া জাতীয় নির্বাচন হতে দেবে না এদেশের জনগণ।
ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বাঞ্ছারামপুর হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী কুস্তি খেলা

বিএনপি ৪ শর্তে নির্বাচনে যাবে

আপডেট সময় ০৯:৫৭:০৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ মার্চ ২০১৮
জাতীয় ডেস্কঃ
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যেতে সরকারকে চারটি শর্ত দিয়েছে বিএনপি। শর্তগুলো হলো— নির্বাচনে বিএনপির নেতৃত্ব দেবেন খালেদা জিয়া, নির্বাচন হতে হবে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক, শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে এবং নির্দলীয় সহায়ক সরকারের অধীনে হতে হবে নির্বাচন।
রবিবার বেলা সাড়ে ১১টায় দলের নয়াপল্টন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ শর্ত দেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, আতাউর রহমান ঢালী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ।
রিজভী বলেন, ‘মিথ্যা চিত্কারসর্বস্ব দল আওয়ামী লীগ। পিঠা ভাগের মতো সংসদীয় আসনের সিংহভাগ আওয়ামী লীগ নিজেদের কব্জায় রেখে বাকি স্বল্পসংখ্যক আসন অন্যদলকে ভাগ দেয়ার কথা শোনা যাচ্ছে। এটাই নির্বাচনহীন একদলীয় শাসনের নমুনা। ওবায়দুল কাদেরের কথায় যে ‘আনুষ্ঠানিকতা’র কথা বলা হয়েছে সেটা কী তারই আলামত? আসন ভাগাভাগির বিষয়টি অনেকটা পরিষ্কার হয়ে গেছে। যতই ষড়যন্ত্র করেন না কেন, যতই ভাগাভাগি করেন না কেন, বানরের পিঠা ভাগাভাগির নির্বাচন এদেশের জনগণ হতে দিবে না। ৫ জানুয়ারির মতো ভোটারবিহীন একতরফা নির্বাচন আর এদেশে করতে দেয়া হবে না। জনগণকে সাথে প্রতিরোধের ধাক্কায় গুড়িয়ে দেয়া হবে।
নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এবং অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বক্তব্যের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ‘আগামী নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের কোনো শঙ্কা নেই উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, উন্নয়ন দিয়েই দেশবাসীর মন জয় করেছে দল। তাই আগামী নির্বাচন কেবল আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে অন্তবর্র্তীকালীন সরকার গঠন করে তার অধীনে অনুষ্ঠিত হবে। আওয়ামী লীগ জনগণকে ধোঁকা দেয়ার বিদ্যা ভাল করেই জানে। আওয়ামী লীগ আত্মসম্মানহীন প্রতারক, জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করাই আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ইশতেহার। আওয়ামী লীগ নেতাদের কথায় মনে হচ্ছে তাদের মাস্টারপ্ল্যান চূড়ান্ত। কিভাবে আরেকটি ভোটারবিহীন নির্বাচন মঞ্চস্থ করা যায় সেই চক্রান্তমূলক আয়োজনে তারা ব্যস্ত রয়েছেন। সাজানো জাল জালিয়াতির মাধ্যমে কাগজ তৈরি করে মিথ্যা মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়ে কারাবন্দি করে রাখা ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সাজা দেয়া সেই মাস্টারপ্ল্যানেরই অংশ।
রিজভী বলেন, পুলিশী ক্ষমতার অহঙ্কার ও গরিমায় প্রধানমন্ত্রী সর্বময় কর্তৃত্ব চাইছেন, কিন্তু সেই স্বপ্ন গণতন্ত্রকামী জনগণ বাস্তবায়িত হতে দেবে না। এদেশের বহুদলীয় গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা রক্ষা এবং জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক বেগম খালেদা জিয়া ছাড়া জাতীয় নির্বাচন হতে দেবে না এদেশের জনগণ।