ঢাকা ০৮:৫৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিচারহীনতার কারণে ধর্ষণ এখন জাতীয় ক্রীড়া: এরশাদ

জাতীয় ডেস্কঃ
জাতীয় পার্টির (এরশাদ) চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচএম এরশাদ বলেছেন, ‘দেশে বিচারহীনতার কারণে ধর্ষণ এখন জাতীয় ক্রীড়ায় পরিণত হয়েছে। দেশে এখন সুশাসন নাই বলেই নারীদের সম্মান নাই। খবরের কাগজ খুললেই দেখা যায়, ধর্ষণ আর ধর্ষণের বিচার না পেয়ে আত্মহত্যা। আইনের শাসন না থাকার করণে দেশে এক নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি চলছে।’
সোমবার (২২ মে) সন্ধ্যা ৬টার দিকে শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান বিভাগীয় স্টেডিয়াম চত্বরে জাতীয় পার্টির (এরশাদ) রাজশাহী মহানগর শাখার দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সম্মেলন শেষে শাহবুদ্দিন বাচ্চুকে সভাপতি ও মোস্তাফিজুর রহমান ডালিমকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করেন সম্মেলনের প্রধান বক্তা ও জাতীয় পার্টির (এরশাদ) মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার। নতুন সভাপতি-সম্পাদকের পাঠানো নামের ভিত্তিতে পার্টির চেয়ারম্যান পরবর্তীতে পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেবেন বলেও জানান তিনি। এর আগে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে এই সম্মেলন শুরু হয়।
সম্মেলনে এরশাদ বলেন, জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় গেলে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হবে। বর্তমানে বেকার হয়ে দেশের শিক্ষিত যুবসমাজ হতাশায় ভুগছে, হয়ে পড়ছে মাদকাসক্ত। জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় গেলে বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা হবে। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, আজ সরকারী দলেরই নেতা-কর্মীদের জীবনের নিরাপত্তা নাই, তাহলে সাধারণ মানুষ ও আমাদের নিরাপত্তা কোথায়? জনগণ এ পরিস্থিতি থেকে মুক্তি ও শান্তি চায়। যে কারণে এসব সমস্যার সমাধান দিতে আগামীতে জাতীয় পার্টিকে নির্বাচিত করে রাষ্ট্র ক্ষমতায় নিয়ে যেতে জনগণের প্রতি আহবান জানানো হয়।
এরশাদ বলেন, সরকার বারবার উন্নয়নের কথা বলছে। কিন্তু দেশজুড়ে চলছে চরম নৈরাজ্য। উন্নয়ন ও নৈরাজ্য একসাথে চলতে পারেনা। জাতীয় পার্টি সহিংসতায় বিশ্বাস করেনা, উন্নয়নের রাজনীতি করে। যান দৃষ্টান্ত রাজশাহীর এয়ারপোর্ট, সিটি কর্পোরেশন, বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন, মেট্রোপলিটন পুলিশ, রাস্তা-ঘাটসহ শত শত উন্নয়ন। তাই জনগণের শান্তি ও উন্নয়নের জন্য জাতীয় পার্টিকে ক্ষমতায় আনতে নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানান তিনি।
সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদ বলেন, জাতীয় পার্টি এখন রাজনীতিতে বড় ফ্যাক্টর। আগামী নির্বাচনে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য জাতীয় পার্টি এখন প্রস্তুত। আমরা এখন ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার জন্য চেষ্টা করছি। মানুষের ভালোবাসা আছে, জাতীয় পার্টি সরকারও গঠন করবে ইনশাআল্লাহ।
তিনি বলেন, আমাদের উপর অনেক নির্যাতন করা হয়েছে। নিঃশেষ করার চেষ্টা হয়েছে। আমাদের উপর দিয়ে অনেক ঝড় গেছে। কিন্তু এখনও নেতা-কর্মী আমাদের ছেড়ে যায়নি। আমরা বেঁচে আছি, সরকার গঠনের জন্য বেঁচে থাকবো ইনশাআল্লাহ। এখন ‘জাতীয় পার্টি ইজ এ বিগ ফ্যাক্টর ইন পলিটিক্স’ বলেও উল্লেখ করে এরশাদ। কিছুদিন আগে বিএনপি ভিশন দিয়েছে। অনেক আগেই আমরা ভিশন দিয়েছি। আমরা বলেছি- প্রাদেশিক সরকার ব্যবস্থা চালু করতে হবে। নির্বাচন পদ্ধতির পরিবর্তন করতে হবে। যেভাবেই নির্বাচন করেন না কেন, প্রত্যেকটা নির্বাচন বিতর্কিত। উপজেলা চেয়ারম্যানদের হাতে সব ক্ষমতা দিতে হবে।’
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন- পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নুরু, প্রেসিডিয়াম সদস্য এসএম ফয়সাল চিশতি, মজিবর রহমান সেন্টু, সুনীল শুভ রায়, কাজী ফিরোজ রশিদ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন। সভাপতিত্ব করেন সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক ও বর্তমান ঘোষিত সভাপতি শাহাবুদ্দিন বাচ্চু। পরিচালনা করেন সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব ও ঘোষিত সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান ডালিম।
ইত্তেফাক
ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

দীর্ঘ ১৩ বছর পর দেশে ফিরছেন কায়কোবাদ: স্বাগত জানাতে মুরাদনগরে ব্যাপক প্রস্ততি

বিচারহীনতার কারণে ধর্ষণ এখন জাতীয় ক্রীড়া: এরশাদ

আপডেট সময় ০৩:৪১:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ মে ২০১৭
জাতীয় ডেস্কঃ
জাতীয় পার্টির (এরশাদ) চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচএম এরশাদ বলেছেন, ‘দেশে বিচারহীনতার কারণে ধর্ষণ এখন জাতীয় ক্রীড়ায় পরিণত হয়েছে। দেশে এখন সুশাসন নাই বলেই নারীদের সম্মান নাই। খবরের কাগজ খুললেই দেখা যায়, ধর্ষণ আর ধর্ষণের বিচার না পেয়ে আত্মহত্যা। আইনের শাসন না থাকার করণে দেশে এক নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি চলছে।’
সোমবার (২২ মে) সন্ধ্যা ৬টার দিকে শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান বিভাগীয় স্টেডিয়াম চত্বরে জাতীয় পার্টির (এরশাদ) রাজশাহী মহানগর শাখার দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সম্মেলন শেষে শাহবুদ্দিন বাচ্চুকে সভাপতি ও মোস্তাফিজুর রহমান ডালিমকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করেন সম্মেলনের প্রধান বক্তা ও জাতীয় পার্টির (এরশাদ) মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার। নতুন সভাপতি-সম্পাদকের পাঠানো নামের ভিত্তিতে পার্টির চেয়ারম্যান পরবর্তীতে পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেবেন বলেও জানান তিনি। এর আগে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে এই সম্মেলন শুরু হয়।
সম্মেলনে এরশাদ বলেন, জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় গেলে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হবে। বর্তমানে বেকার হয়ে দেশের শিক্ষিত যুবসমাজ হতাশায় ভুগছে, হয়ে পড়ছে মাদকাসক্ত। জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় গেলে বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা হবে। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, আজ সরকারী দলেরই নেতা-কর্মীদের জীবনের নিরাপত্তা নাই, তাহলে সাধারণ মানুষ ও আমাদের নিরাপত্তা কোথায়? জনগণ এ পরিস্থিতি থেকে মুক্তি ও শান্তি চায়। যে কারণে এসব সমস্যার সমাধান দিতে আগামীতে জাতীয় পার্টিকে নির্বাচিত করে রাষ্ট্র ক্ষমতায় নিয়ে যেতে জনগণের প্রতি আহবান জানানো হয়।
এরশাদ বলেন, সরকার বারবার উন্নয়নের কথা বলছে। কিন্তু দেশজুড়ে চলছে চরম নৈরাজ্য। উন্নয়ন ও নৈরাজ্য একসাথে চলতে পারেনা। জাতীয় পার্টি সহিংসতায় বিশ্বাস করেনা, উন্নয়নের রাজনীতি করে। যান দৃষ্টান্ত রাজশাহীর এয়ারপোর্ট, সিটি কর্পোরেশন, বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন, মেট্রোপলিটন পুলিশ, রাস্তা-ঘাটসহ শত শত উন্নয়ন। তাই জনগণের শান্তি ও উন্নয়নের জন্য জাতীয় পার্টিকে ক্ষমতায় আনতে নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানান তিনি।
সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদ বলেন, জাতীয় পার্টি এখন রাজনীতিতে বড় ফ্যাক্টর। আগামী নির্বাচনে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য জাতীয় পার্টি এখন প্রস্তুত। আমরা এখন ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার জন্য চেষ্টা করছি। মানুষের ভালোবাসা আছে, জাতীয় পার্টি সরকারও গঠন করবে ইনশাআল্লাহ।
তিনি বলেন, আমাদের উপর অনেক নির্যাতন করা হয়েছে। নিঃশেষ করার চেষ্টা হয়েছে। আমাদের উপর দিয়ে অনেক ঝড় গেছে। কিন্তু এখনও নেতা-কর্মী আমাদের ছেড়ে যায়নি। আমরা বেঁচে আছি, সরকার গঠনের জন্য বেঁচে থাকবো ইনশাআল্লাহ। এখন ‘জাতীয় পার্টি ইজ এ বিগ ফ্যাক্টর ইন পলিটিক্স’ বলেও উল্লেখ করে এরশাদ। কিছুদিন আগে বিএনপি ভিশন দিয়েছে। অনেক আগেই আমরা ভিশন দিয়েছি। আমরা বলেছি- প্রাদেশিক সরকার ব্যবস্থা চালু করতে হবে। নির্বাচন পদ্ধতির পরিবর্তন করতে হবে। যেভাবেই নির্বাচন করেন না কেন, প্রত্যেকটা নির্বাচন বিতর্কিত। উপজেলা চেয়ারম্যানদের হাতে সব ক্ষমতা দিতে হবে।’
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন- পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নুরু, প্রেসিডিয়াম সদস্য এসএম ফয়সাল চিশতি, মজিবর রহমান সেন্টু, সুনীল শুভ রায়, কাজী ফিরোজ রশিদ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন। সভাপতিত্ব করেন সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক ও বর্তমান ঘোষিত সভাপতি শাহাবুদ্দিন বাচ্চু। পরিচালনা করেন সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব ও ঘোষিত সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান ডালিম।
ইত্তেফাক