ঢাকা ০৮:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মসজিদের দানবাক্সে তিনমাসে ৮৮ লাখ টাকা

ধর্ম ও জীবন ডেস্কঃ
আজ শনিবার (৭ জুলাই ) জেলা শহরের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স হিসেবে ব্যবহৃত মোট পাঁচটি লোহার সিন্দুক খুলে গণনা করে পাওয়া গেছে মোট ৮৮ লাখ ২৯ হাজার ১৭ টাকা। তিন মাস সাতদিন পর লোহার সিন্দুকগুলো খুলে উল্লেখিত পরিমাণ টাকা পাওয়া যায়। তাছাড়াও পাওয়া গেছে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা, দেশীয় খুচরা মুদ্রা এবং স্বর্ণাংলকার।
সকাল ৯টা থেকে কিশোরগঞ্জ কালেক্টরেটের সিনিয়র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু তাহের মো. সাঈদের সার্বিক তত্ত্বাবধানে টাকা বাছাই ও গণনার কাজ শুরু হয় এবং বিকাল ৪টা পর্যন্ত টাকা গণনার কাজ চলে। শতাধিক মাদ্রাসার ছাত্র, শিক্ষক, মসজিদ কমিটির লোকজন  টাকা বাছাই পর্বে অংশ নেয়। বাছাইয়ের পর টাকাগুলো বস্তায় ভরা হয় এবং পরে  রূপালী ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারিগণ টাকাগুলো গুনে বুঝে নেন। পাগলা মসজিদের নামে রূাপালী ব্যাংকে একটি অ্যাকাউন্ট আছে। পরে প্রাপ্ত টাকা ব্যাংকের হিসাবে জমা দেয়া হয়। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) তরফদার মো. আক্তার জামীল, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আলমগীর হোসাইন, মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্য সাইফুল হক মোল্লা দুলু, ক্যাব জেলা শাখার সভাপতি আলম সারোয়ার টিটো প্রমুখ। গত ৩১ মার্চ মসজিদের দানবাক্স খুলে পাওয়া গিয়েছিল ৮৪ লাখ ৯২ হাজার ৩৭৫  টাকা। সাধারণত, ৩/৪ মাস পরপর এই সিন্দুকগুলো খোলা হয়।
জেলা শহরের নরসুন্দা নদীর তীরে স্থাপিত ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদকে ঘিরে অনেক জনশ্রুতি রয়েছে। প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অসংখ্য ধর্মপ্রাণ মুসলমান এই মসজিদে আসেন। তারা দান ও মানত করে যায়। তাছাড়া প্রতিদিনই লোকজন গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি প্রভৃতি নিয়ে আসে। ওইগুলো বিক্রি করে ফান্ডে জমা দেয়া হয়। প্রচুর সংখ্যক ভিন্ন ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায়েরর লোকজনও এই মসজিদে এসে দান ও মানত করেন।
ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

মসজিদের দানবাক্সে তিনমাসে ৮৮ লাখ টাকা

আপডেট সময় ০৩:২৪:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ জুলাই ২০১৮
ধর্ম ও জীবন ডেস্কঃ
আজ শনিবার (৭ জুলাই ) জেলা শহরের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স হিসেবে ব্যবহৃত মোট পাঁচটি লোহার সিন্দুক খুলে গণনা করে পাওয়া গেছে মোট ৮৮ লাখ ২৯ হাজার ১৭ টাকা। তিন মাস সাতদিন পর লোহার সিন্দুকগুলো খুলে উল্লেখিত পরিমাণ টাকা পাওয়া যায়। তাছাড়াও পাওয়া গেছে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা, দেশীয় খুচরা মুদ্রা এবং স্বর্ণাংলকার।
সকাল ৯টা থেকে কিশোরগঞ্জ কালেক্টরেটের সিনিয়র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু তাহের মো. সাঈদের সার্বিক তত্ত্বাবধানে টাকা বাছাই ও গণনার কাজ শুরু হয় এবং বিকাল ৪টা পর্যন্ত টাকা গণনার কাজ চলে। শতাধিক মাদ্রাসার ছাত্র, শিক্ষক, মসজিদ কমিটির লোকজন  টাকা বাছাই পর্বে অংশ নেয়। বাছাইয়ের পর টাকাগুলো বস্তায় ভরা হয় এবং পরে  রূপালী ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারিগণ টাকাগুলো গুনে বুঝে নেন। পাগলা মসজিদের নামে রূাপালী ব্যাংকে একটি অ্যাকাউন্ট আছে। পরে প্রাপ্ত টাকা ব্যাংকের হিসাবে জমা দেয়া হয়। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) তরফদার মো. আক্তার জামীল, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আলমগীর হোসাইন, মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্য সাইফুল হক মোল্লা দুলু, ক্যাব জেলা শাখার সভাপতি আলম সারোয়ার টিটো প্রমুখ। গত ৩১ মার্চ মসজিদের দানবাক্স খুলে পাওয়া গিয়েছিল ৮৪ লাখ ৯২ হাজার ৩৭৫  টাকা। সাধারণত, ৩/৪ মাস পরপর এই সিন্দুকগুলো খোলা হয়।
জেলা শহরের নরসুন্দা নদীর তীরে স্থাপিত ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদকে ঘিরে অনেক জনশ্রুতি রয়েছে। প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অসংখ্য ধর্মপ্রাণ মুসলমান এই মসজিদে আসেন। তারা দান ও মানত করে যায়। তাছাড়া প্রতিদিনই লোকজন গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি প্রভৃতি নিয়ে আসে। ওইগুলো বিক্রি করে ফান্ডে জমা দেয়া হয়। প্রচুর সংখ্যক ভিন্ন ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায়েরর লোকজনও এই মসজিদে এসে দান ও মানত করেন।