ঢাকা ০৭:৪৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘মালয়েশিয়ায় চুক্তিভিত্তিক দাসে পরিণত হবেন বিদেশি শ্রমিকরা’

একদিকে কর বৃদ্ধি, অন্যদিকে বেতন কমে যাওয়ায় বিদেশি শ্রমিকরা চুক্তিভিত্তিক দাসে পরিণত হবেন বলে জানিয়েছে পার্তি স্যোশিয়ালিজ মালয়েশিয়া (পিএসএম)।

২০১৩ সালে সর্বনিম্ন বেতন নির্ধারনের পর থেকে শ্রমিকদের বেতন থেকেই মালিকদের কর সংগ্রহের সুবিধা দেয়া হয়েছিল বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন পিএসএম-এর মহাসচিব এ সিভারাজান।

তিনি বলেন, যখন শ্রমিকদের ওপর কর ১২৫ রিঙ্গিত ছিল, তখন প্রতিমাসে তাদের বেতন থেকে ১০৪ রিঙ্গিত করে কেটে রাখা হতো। এখন ২৫০ রিঙ্গিত কর হলে প্রতিমাসে বেতন থেকে কেটে রাখতে হবে ২০৮ রিঙ্গিত। যেখানে সর্বনিম্ন বেতন মাসে ৯০০ রিঙ্গিত। এটা ভয়ানক পরিস্থিতিতে ফেলবে শ্রমিকদের।

তিনি বলেন, শ্রমিকদের ওপর এ বোঝা না চাপিয়ে মালিকদেরই কর বহন করা উচিত। প্রয়োজনে তারা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে বিদেশি শ্রমিকের সংখ্যা কমিয়ে আনতে পারেন।

বিবৃতিতে এ সিভারাজান বলেন, নিয়োগের জন্য বিদেশি শ্রমিকদের একবার ফি দিতে হচ্ছে। এরপর তাদের ওপর আবার বাড়তি করের বোঝা দেয়া উচিৎ নয়।

তিনি বলেন, মালয়েশিয়ায় হাসপাতাল থেকে শুরু করে খাবার, কোথাও বিদেশিদের জন্যে বাড়তি কোনো সুবিধা নেই। যেটা মালয়েশিয়ানরা পেয়ে থাকেন। বরং এই বাড়তি করের বোঝা শ্রমিকদের ওপর কাজের চাপ আরও বাড়িয়ে দেবে।

তিনি আরও বলেন, এ বাড়তি কর পরিশোধের জন্য শ্রমিকদের এখন আরও বেশি কাজ করতে হবে। যেটা তাদেরকে দাসত্বের দিকে ঠেলে দেবে। অনেক বিদেশি শ্রমিককেই এখনও দালালের অর্থ পরিশোধ করতে হচ্ছে।

তিনি জানান, মালয়েশিয়ায় বিদেশি শ্রমিকদের বেশিরভাগই বাড়তি কিছু আয়ের আশায় সপ্তাহের সাতদিনই ১২ ঘন্টার বেশি সময় ধরে কাজ করে থাকেন।

ট্যাগস

‘মালয়েশিয়ায় চুক্তিভিত্তিক দাসে পরিণত হবেন বিদেশি শ্রমিকরা’

আপডেট সময় ০৩:১০:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৬

একদিকে কর বৃদ্ধি, অন্যদিকে বেতন কমে যাওয়ায় বিদেশি শ্রমিকরা চুক্তিভিত্তিক দাসে পরিণত হবেন বলে জানিয়েছে পার্তি স্যোশিয়ালিজ মালয়েশিয়া (পিএসএম)।

২০১৩ সালে সর্বনিম্ন বেতন নির্ধারনের পর থেকে শ্রমিকদের বেতন থেকেই মালিকদের কর সংগ্রহের সুবিধা দেয়া হয়েছিল বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন পিএসএম-এর মহাসচিব এ সিভারাজান।

তিনি বলেন, যখন শ্রমিকদের ওপর কর ১২৫ রিঙ্গিত ছিল, তখন প্রতিমাসে তাদের বেতন থেকে ১০৪ রিঙ্গিত করে কেটে রাখা হতো। এখন ২৫০ রিঙ্গিত কর হলে প্রতিমাসে বেতন থেকে কেটে রাখতে হবে ২০৮ রিঙ্গিত। যেখানে সর্বনিম্ন বেতন মাসে ৯০০ রিঙ্গিত। এটা ভয়ানক পরিস্থিতিতে ফেলবে শ্রমিকদের।

তিনি বলেন, শ্রমিকদের ওপর এ বোঝা না চাপিয়ে মালিকদেরই কর বহন করা উচিত। প্রয়োজনে তারা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে বিদেশি শ্রমিকের সংখ্যা কমিয়ে আনতে পারেন।

বিবৃতিতে এ সিভারাজান বলেন, নিয়োগের জন্য বিদেশি শ্রমিকদের একবার ফি দিতে হচ্ছে। এরপর তাদের ওপর আবার বাড়তি করের বোঝা দেয়া উচিৎ নয়।

তিনি বলেন, মালয়েশিয়ায় হাসপাতাল থেকে শুরু করে খাবার, কোথাও বিদেশিদের জন্যে বাড়তি কোনো সুবিধা নেই। যেটা মালয়েশিয়ানরা পেয়ে থাকেন। বরং এই বাড়তি করের বোঝা শ্রমিকদের ওপর কাজের চাপ আরও বাড়িয়ে দেবে।

তিনি আরও বলেন, এ বাড়তি কর পরিশোধের জন্য শ্রমিকদের এখন আরও বেশি কাজ করতে হবে। যেটা তাদেরকে দাসত্বের দিকে ঠেলে দেবে। অনেক বিদেশি শ্রমিককেই এখনও দালালের অর্থ পরিশোধ করতে হচ্ছে।

তিনি জানান, মালয়েশিয়ায় বিদেশি শ্রমিকদের বেশিরভাগই বাড়তি কিছু আয়ের আশায় সপ্তাহের সাতদিনই ১২ ঘন্টার বেশি সময় ধরে কাজ করে থাকেন।