ঢাকা ০২:০৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪, ৯ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মিরাজের রাজকীয় ইনিংসে খুলনার জয়

খেলাধূলা ডেস্ক:

সিলেটের বোলারদের একাই শাসন করলেন মিরাজ। মারলেন দারুণ সব চার-ছক্কা। খেললেন টি-টোয়েন্টিতে ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস। ইনিংস শেষে ৬২ বলে ৯টি চার ও তিনটি ছক্কার সাহায্যে ৮৭ রান করে অপরাজিত থাকলেন। তার রাজকীয় ইনিংসের উপর ভর করে সিলেট থান্ডারকে ৮ উইকেটে হারাল খুলনা।

বঙ্গবন্ধু বিপিএলে শনিবার দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে সিলেট থান্ডারের দেয়া ১৫৮ রানের জয়ের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ১৭.৫ ওভারে ৮ উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে নেয় খুলনা টাইগার্স। ৩১ বলে ব্যক্তিগত অর্ধশত পূরণ করার পর ৬২ বলে ৮৭ রান করে অপরাজিত থাকেন মিরাজ। ৩১ বলে ৪১ করে আউট হন নাজমুল হোসেন শান্ত।

খুলনা ব্যাটিংয়ে নেমে শান্ত ও মিরাজের ব্যাটে দুর্দান্ত সূচনা করে। পাওয়ারপ্লে থেকে আসে বিনা উইকেটে ৬৬ রান। উদ্বোধনী জুটিতে মিরাজ-শান্তর পার্টনারশিপ ১১৫ রানের। ১৩তম ওভারে ইবাদতের বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে নাঈমের হাতে ক্যাচ হন শান্ত। এরপর রুশো নেমে ১১ বলে ১৫ করে আউট হন রুশো। এরপর মিরাজ ও মুশফিক মিলে দলের জয় নিশ্চিত করেন।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৫৭ রান সংগ্রহ করে সিলেট থান্ডার। দলের পক্ষে ২৪ বলে ৩৭ করেন ওপেনার ফ্লেচার। ৪৪ বলে ৩৯ করেন অপর ওপেনার রুবেল মিয়া। ১২ বলে ১৭ করেন চার্লস। ২০ বলে ২৬ করে অপরাজিত থাকেন রাদারফোর্ড। ১৮ বলে ২৩ করে অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক মোসাদ্দেক।

খুলনার বোলার মোহাম্মদ আমির ৪ ওভারে ১৭ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকেন। অন্যদিকে, ফ্রাইলিঙ্ক ৫৮ রান দিলেও দুইটি উইকেট শিকার করেন। ২৬ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন শহীদুল।

সিলেট ব্যাটিংয়ে নেমে ভালোই শুরু করেছিল। দুই ওপেনার ৬২ রানের জুটি গড়েন। নবম ওভারে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ হয়ে ফেরেন ফ্লেচার। অবশ্য আম্পায়ার প্রথমে আউট দেননি ফ্লেচারকে। পরে খুলনার অধিনায়ক মুশফিক রিভিউ নিয়ে সফল হন।

১৩তম ওভারে ফ্রাইলিঙ্কের বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে শান্তর হাতে ধরা পড়েন চার্লস। ১৪তম ওভারে রুবেল মিয়া ও মিথুনকে বিদায় করেন শহীদুল ইসলাম।

টুর্নামেন্টে এর আগেরবারের দেখায় সিলেটের কাছে ৮০ রানে হেরেছিল খুলনা। ওই ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল চট্টগ্রামে। এখন পর্যন্ত ৭ ম্যাচ খেলে ১০ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে তৃতীয় অবস্থানে আছে খুলনা। অন্যদিকে, সাত ম্যাচ খেলে সিলেট ৬টিতে হেরেছে ও একটিতে জিতেছে। পয়েন্ট টেবিলে তারা ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

ফল: ৮ উইকেটে জয়ী খুলনা টাইগার্স।

সিলেট থান্ডার ইনিংস: ১৫৭/৪ (২০ ওভার)

(আন্দ্রে ফ্লেচার ৩৭, রুবেল মিয়া ৩৯, জনসন চার্লস ১৭, রাদারফোর্ড ২৬*, মিথুন ০, মোসাদ্দেক ২৩*; মোহাম্মদ আমির ০/১৭, ফ্রাইলিঙ্ক ২/৫৮, তানভীর ইসলাম ০/২৩, শফিউল ইসলাম ০/৩০, শহীদুল ইসলাম ২/২৬)।

খুলনা টাইগার্স ইনিংস: ১৫৮/২ (১৭.৫ ওভার)

(শান্ত ৪১, মিরাজ ৮৭*, রুশো ১৫, মুশফিক ৩*; সানতোকি ০/৩২, নাঈম হাসান ০/৩১, মোসাদ্দেক ০/২৫, ইবাদত হোসেন ১/২০, দেলোয়ার হোসেন ০/১৮, অপু ০/১৮, রাদারফোর্ড ১/৯)।

প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ: মেহেদী হাসান মিরাজ (খুলনা টাইগার্স)।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হওয়ায় মুরাদনগরে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ

মিরাজের রাজকীয় ইনিংসে খুলনার জয়

আপডেট সময় ০৫:০২:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৯

খেলাধূলা ডেস্ক:

সিলেটের বোলারদের একাই শাসন করলেন মিরাজ। মারলেন দারুণ সব চার-ছক্কা। খেললেন টি-টোয়েন্টিতে ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস। ইনিংস শেষে ৬২ বলে ৯টি চার ও তিনটি ছক্কার সাহায্যে ৮৭ রান করে অপরাজিত থাকলেন। তার রাজকীয় ইনিংসের উপর ভর করে সিলেট থান্ডারকে ৮ উইকেটে হারাল খুলনা।

বঙ্গবন্ধু বিপিএলে শনিবার দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে সিলেট থান্ডারের দেয়া ১৫৮ রানের জয়ের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ১৭.৫ ওভারে ৮ উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে নেয় খুলনা টাইগার্স। ৩১ বলে ব্যক্তিগত অর্ধশত পূরণ করার পর ৬২ বলে ৮৭ রান করে অপরাজিত থাকেন মিরাজ। ৩১ বলে ৪১ করে আউট হন নাজমুল হোসেন শান্ত।

খুলনা ব্যাটিংয়ে নেমে শান্ত ও মিরাজের ব্যাটে দুর্দান্ত সূচনা করে। পাওয়ারপ্লে থেকে আসে বিনা উইকেটে ৬৬ রান। উদ্বোধনী জুটিতে মিরাজ-শান্তর পার্টনারশিপ ১১৫ রানের। ১৩তম ওভারে ইবাদতের বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে নাঈমের হাতে ক্যাচ হন শান্ত। এরপর রুশো নেমে ১১ বলে ১৫ করে আউট হন রুশো। এরপর মিরাজ ও মুশফিক মিলে দলের জয় নিশ্চিত করেন।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৫৭ রান সংগ্রহ করে সিলেট থান্ডার। দলের পক্ষে ২৪ বলে ৩৭ করেন ওপেনার ফ্লেচার। ৪৪ বলে ৩৯ করেন অপর ওপেনার রুবেল মিয়া। ১২ বলে ১৭ করেন চার্লস। ২০ বলে ২৬ করে অপরাজিত থাকেন রাদারফোর্ড। ১৮ বলে ২৩ করে অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক মোসাদ্দেক।

খুলনার বোলার মোহাম্মদ আমির ৪ ওভারে ১৭ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকেন। অন্যদিকে, ফ্রাইলিঙ্ক ৫৮ রান দিলেও দুইটি উইকেট শিকার করেন। ২৬ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন শহীদুল।

সিলেট ব্যাটিংয়ে নেমে ভালোই শুরু করেছিল। দুই ওপেনার ৬২ রানের জুটি গড়েন। নবম ওভারে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ হয়ে ফেরেন ফ্লেচার। অবশ্য আম্পায়ার প্রথমে আউট দেননি ফ্লেচারকে। পরে খুলনার অধিনায়ক মুশফিক রিভিউ নিয়ে সফল হন।

১৩তম ওভারে ফ্রাইলিঙ্কের বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে শান্তর হাতে ধরা পড়েন চার্লস। ১৪তম ওভারে রুবেল মিয়া ও মিথুনকে বিদায় করেন শহীদুল ইসলাম।

টুর্নামেন্টে এর আগেরবারের দেখায় সিলেটের কাছে ৮০ রানে হেরেছিল খুলনা। ওই ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল চট্টগ্রামে। এখন পর্যন্ত ৭ ম্যাচ খেলে ১০ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে তৃতীয় অবস্থানে আছে খুলনা। অন্যদিকে, সাত ম্যাচ খেলে সিলেট ৬টিতে হেরেছে ও একটিতে জিতেছে। পয়েন্ট টেবিলে তারা ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

ফল: ৮ উইকেটে জয়ী খুলনা টাইগার্স।

সিলেট থান্ডার ইনিংস: ১৫৭/৪ (২০ ওভার)

(আন্দ্রে ফ্লেচার ৩৭, রুবেল মিয়া ৩৯, জনসন চার্লস ১৭, রাদারফোর্ড ২৬*, মিথুন ০, মোসাদ্দেক ২৩*; মোহাম্মদ আমির ০/১৭, ফ্রাইলিঙ্ক ২/৫৮, তানভীর ইসলাম ০/২৩, শফিউল ইসলাম ০/৩০, শহীদুল ইসলাম ২/২৬)।

খুলনা টাইগার্স ইনিংস: ১৫৮/২ (১৭.৫ ওভার)

(শান্ত ৪১, মিরাজ ৮৭*, রুশো ১৫, মুশফিক ৩*; সানতোকি ০/৩২, নাঈম হাসান ০/৩১, মোসাদ্দেক ০/২৫, ইবাদত হোসেন ১/২০, দেলোয়ার হোসেন ০/১৮, অপু ০/১৮, রাদারফোর্ড ১/৯)।

প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ: মেহেদী হাসান মিরাজ (খুলনা টাইগার্স)।