ঢাকা ০৫:৪১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে প্রেরণা যুগিয়েছিলেন সুফিয়া কামাল’

জাতীয় ডেস্কঃ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কবি বেগম সুফিয়া কামালের সোচ্চার ভূমিকা বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের গণতান্ত্রিক শক্তিকে নতুন প্রেরণা যুগিয়েছিল। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পচাঁত্তরের পনেরই আগস্টে নির্মমভাবে হত্যা করে যখন এদেশের ইতিহাসে বিকৃতির পালা শুরু হয়, তখনও তার সোচ্চার ভূমিকা বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের গণতান্ত্রিক শক্তিকে নতুন প্রেরণা যুগিয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কবি বেগম সুফিয়া কামালের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে আজ রবিবার এ কথা বলেন। আগামীকাল সোমবার তার ১৮তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৯৯ সালের ২০ নভেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বেগম সুফিয়া কামালকে বাংলাদেশের প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক এবং নারীমুক্তি আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃত হিসাবে অভিহিত করে তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। তিনি বলেন, কবি সুফিয়া কামাল ছিলেন একদিকে আবহমান বাঙালি নারীর প্রতিকৃতি, মমতাময়ী মা, অন্যদিকে বাংলার প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে ছিল তার আপোসহীন এবং দৃপ্ত পদচারণা।
‘বাংলা সাহিত্যে তার সৃজনশীলতা ছিল অবিস্মরণীয়।শিশুতোষ রচনা ছাড়াও দেশ, প্রকৃতি, গণতন্ত্র, সমাজ সংস্কার এবং নারীমুক্তিসহ বিভিন্ন বিষয়ে তার লেখনী আজও পাঠককে আলোড়িত ও অনুপ্রাণিত করে।’
নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার চিন্তাধারা কবি সুফিয়া কামালের জীবনে সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলেছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বাণীতে আরো বলেন, সুফিয়া কামাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম মহিলা হোস্টেলকে ‘রোকেয়া হল’ নামকরণের দাবি জানান। ১৯৬১ সালে পাকিস্তান সরকার রবীন্দ্রসংগীত নিষিদ্ধ করলে এর প্রতিবাদে গঠিত আন্দোলনে তিনি যোগ দেন। শিশু সংগঠন কচিকাঁচার মেলা’র তিনি প্রতিষ্ঠাতা।
শেখ হাসিনা বলেন, বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যূত্থান, একাত্তরের অসহযোগ আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীন বাংলাদেশের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক সংগ্রামসহ শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনে তাঁর প্রত্যক্ষ উপস্থিতি ছিল। এজন্য তিনি ‘জননী সাহসিকা’ উপাধিতে অভিষিক্ত হন। প্রধানমন্ত্রী কবি বেগম সুফিয়া কামালের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। বাসস
ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মুরাদনগরে সালিশি বৈঠকে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন, আহত ৩

‘মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে প্রেরণা যুগিয়েছিলেন সুফিয়া কামাল’

আপডেট সময় ১২:৪৭:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ নভেম্বর ২০১৭
জাতীয় ডেস্কঃ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কবি বেগম সুফিয়া কামালের সোচ্চার ভূমিকা বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের গণতান্ত্রিক শক্তিকে নতুন প্রেরণা যুগিয়েছিল। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পচাঁত্তরের পনেরই আগস্টে নির্মমভাবে হত্যা করে যখন এদেশের ইতিহাসে বিকৃতির পালা শুরু হয়, তখনও তার সোচ্চার ভূমিকা বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের গণতান্ত্রিক শক্তিকে নতুন প্রেরণা যুগিয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কবি বেগম সুফিয়া কামালের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে আজ রবিবার এ কথা বলেন। আগামীকাল সোমবার তার ১৮তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৯৯ সালের ২০ নভেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বেগম সুফিয়া কামালকে বাংলাদেশের প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক এবং নারীমুক্তি আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃত হিসাবে অভিহিত করে তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। তিনি বলেন, কবি সুফিয়া কামাল ছিলেন একদিকে আবহমান বাঙালি নারীর প্রতিকৃতি, মমতাময়ী মা, অন্যদিকে বাংলার প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে ছিল তার আপোসহীন এবং দৃপ্ত পদচারণা।
‘বাংলা সাহিত্যে তার সৃজনশীলতা ছিল অবিস্মরণীয়।শিশুতোষ রচনা ছাড়াও দেশ, প্রকৃতি, গণতন্ত্র, সমাজ সংস্কার এবং নারীমুক্তিসহ বিভিন্ন বিষয়ে তার লেখনী আজও পাঠককে আলোড়িত ও অনুপ্রাণিত করে।’
নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার চিন্তাধারা কবি সুফিয়া কামালের জীবনে সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলেছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বাণীতে আরো বলেন, সুফিয়া কামাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম মহিলা হোস্টেলকে ‘রোকেয়া হল’ নামকরণের দাবি জানান। ১৯৬১ সালে পাকিস্তান সরকার রবীন্দ্রসংগীত নিষিদ্ধ করলে এর প্রতিবাদে গঠিত আন্দোলনে তিনি যোগ দেন। শিশু সংগঠন কচিকাঁচার মেলা’র তিনি প্রতিষ্ঠাতা।
শেখ হাসিনা বলেন, বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যূত্থান, একাত্তরের অসহযোগ আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীন বাংলাদেশের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক সংগ্রামসহ শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনে তাঁর প্রত্যক্ষ উপস্থিতি ছিল। এজন্য তিনি ‘জননী সাহসিকা’ উপাধিতে অভিষিক্ত হন। প্রধানমন্ত্রী কবি বেগম সুফিয়া কামালের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। বাসস