বেলাল উদ্দিন আহাম্মদ, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
মুখস্ত বিদ্যা পরিহার করে বাস্তব বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি ভিক্তিক শিক্ষা প্রদান ও পাঠদানে শিক্ষকদেরকে আন্তরিক হতে হবে।
সরমাকান্দা ইসলামিয়া আদর্শ দাখিল মাদ্রাসা, বাঁশকাইট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাঁশকাইট হাই উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শন কালে বৃহস্পতিবার কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মো: জাহাঙ্গীর আলম এ কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার দিনভর ব্যস্ত সময় কাটানোর পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে প্রশাসনের বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক শেষে সন্ধ্যায় তিনি কুমিল্লার উদ্দেশ্যে মুরাদনগর ত্যাগ করেন।
প্রথমবারের মত জেলা প্রশাসক মুরাদনগর উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেন। প্রথমে তিনি পরিদর্শন করেন সরমাকান্দা ইসলামিয়া আদর্শ দাখিল মাদ্রাসা। এ সময় তিনি সরাসরি ক্লাস রুমে ঢুকে ক্লাস প্রত্যক্ষ করেন। এ প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার মান নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন এবং পাঠদান পদ্ধতি আরো উন্নত করার পরামর্শ প্রদান করেন। পাহাড়পুর ইউনিয়নের সুরানন্দী কমিউনিটি ক্লিনিক পরিদর্শন কালে ঔষধ ও রোগীদের খোজখবর নেন। বাঁশকাইট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সরমাকান্দা ইসলামিয়া আদর্শ দাখিল মাদ্রাসা পরিদর্শন কালে শিক্ষার মান নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
এর আগে তিনি বাঁশকাইট কলেজে এস এস সি’র পরিক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। পরিক্ষা কেন্দ্রে সার্বিক পরিস্থিতি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন। পরে তিনি পাহাড়পুর ইউনিয়ন পরিষদে ইউ পি সদস্য ও স্থানিয় গন্যমান্য ব্যাক্তিদের সাথে মত বিনিময় করেন। মতবিনিময় কালে তিনি হোল্ডিং টেক্সের কাজে স্থানিয় বেকার যুবকদেরকে কাজে লাগানোর নির্দেশ প্রদান করেন। তিনি প্রধান মন্ত্রীর গৃহিত একটি বাড়ি একটি খামার, নিরাপদ স্বাস্থ্য, মানসন্মত শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন সহ বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন। তিনি আরো বলেন শিশু ও মাতৃ মৃত্যুর হার কমেছে। এদেশে মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে। সরকার লেখাপড়া করার জন্য বিল্ডিং বানিয়ে দিয়েছে, বই খাতা আসবাবপত্র উপবৃত্তি ও শিক্ষকদের বেতন দিচ্ছে।এ ক্ষেত্রে অভিভাবকদেরকে আগ্রহী ও সচেতন হয়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সৎ ও যোগ্য নাগরিক হিসাবে গড়ে তুলতে হবে। তবেই দেশের উন্নয়ন টেকসই হবে। তিনি ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন প্রজেক্টের জন্য বরাদ্দকৃত টাকার পরিমানের তালিকা প্রকাশ্য স্থানে টানিয়ে দিলে জনগনই এর মূল্যায়ন করবে অর্থাৎ সোস্যাল অডিট হবে। পল্লী বিদ্যুতের লোডসেডিং এর উল্লেখ করে স্থানিয় মন্জুরুল আলম সরকার বলেন সন্ধ্যার পর লোডসেডিং এর ফলে ছাত্র-ছাত্রীরা ঠিকভাবে পড়ালেখা করতে পারে না। শিগ্রই এর অবসান হবে বলে জেলা প্রশাসক আশ্বাস দেন। লিটন কুমার মোদক এ এলাকায় একটি সরকারী ব্যাংকের শাখা ও পল্লী বিদ্যুতের একটি অভিযোগ কেন্দ্র স্থাপনের আহবান জানান।
এ সময়জেলা প্রশাসক মো: জাহাঙ্গীর আলমে’র সাথে ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রাসেলুল কাদের, জেলা পরিষদের নির্বাচিত সদস্য খায়রুল আলম সাধন, সহকারী কমিশনার(ভূমি) রাশেদা আক্তার,উপজেলা শিক্ষা অফিসার মাহবুব আলম, মুরাদনগর থানার পুলিশ পরিদর্শক(তদন্ত) হাবিবুর রহমান, পাহাড়পুর ইউপি চেয়ারম্যান মো: সামাদ মাঝি, জাহাপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো: সফিকুল ইসলাম ও সাংবাদিক বেলাল উদ্দিন আহমেদ।
পরে জেলা প্রশাসক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপজেলার বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে এক বৈঠক করেন।