মুরাদনগর বার্তা ডেস্ক : 
মো: মোশাররফ হোসেন মনিরঃ
কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার কৃর্তী সন্তান গবেষক হাফিজুল ইসলাম শামীম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) থেকে প্রথম গবেষক হিসেবে পিএইচডি ডিগ্রী লাভ করেন।
এদিকে অধ্যাপক হাফিজুল ইসলাম শামীম পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করায় তার এলাকা মুরাদনগর উপজেলা ও নিজ গ্রাম রামচন্দ্রপুরে আনন্দের বন্যা বইছে। রামচন্দপুরের আমিন নগর এলাকাবাসী জানায় অধ্যাপক হাফিজুল ইসলাম শামীম শুধু রামচন্দ্রপুর নয় পুরো উপজেলার মুখ উজ্জল করেছেন। তিনি মুরাদনগর উপজেলার সকলের গর্ব।
মোহাম্মদ হাফিজুল ইসলাম শামীম উপজেলার রামচন্দ্রপুর উত্তর ইউনিয়নের আমিন নগর গ্রামের মৃত হাজি আব্দুল জলিল মাস্টারের ছেলে। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
গত (১৬ জুন) বৃহস্পতিবার জবির সিন্ডিকেট সভায় হাফিজুল ইসলামের গবেষণাকে পিএইচডি ডিগ্রি প্রদানের জন্য যথেষ্ট বলে সিন্ডিকেটে পাস হয়। এর আগে বুধবার একাডেমিক কাউন্সিলে মোহাম্মদ হাফিজুল ইসলামকে পিএইচডি ডিগ্রি প্রদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
দর্শন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. অধ্যাপক হাফিজুল ইসলাম ২০১২- ২০১৩ শিক্ষাবর্ষে জবিতে পিএইচডি গবেষক হিসেবে ভর্তি হন দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো লুৎফর রহমানে অধীনে। তার গবেষণার বিষয় ছিলো: “বাংলাদেশে ব্যবসায় : আচরণ ও নৈতিকতা”। গত ১ জুন সহকারী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হাফিজুল ইসলাম পিএইচডির মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেন। পরীক্ষা কমিটির সভাপতি ছিলেন ঢাকা বিস্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ড. জসীম উদ্দিন, সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারতের বিশ্বভারতী বিস্ববিদ্যালয়ের দর্শন ও ধর্ম বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো সিরাজুল ইসলাম এবং তত্ত্বাবধায়ক ও সদস্য হিসেবে ছিলেন জবির অধ্যাপক ড. মো লুৎফর রহমান। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনপ্রিয় এ সহকারী অধ্যাপক জবিতে দর্শন বিভাগের প্রভাষক হিসেব যোগ ২০০৮ সালের ৮ অক্টোবর । জবিতে যোগদানের পূর্বে তিনি ২৪ তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে নোয়াখালি সরকারি কলেজে যোগদান করেন।
উল্লেখ্য যে, জবির এই কৃর্তী গবেষখ ২৪তম বিসিএস পরীক্ষায় দর্শন বিষয়ে ১৩৫জন প্রভাষকের মধ্যে মেধা তালিকায় ২য় স্থান অধিকার করেন। জবির সহকারী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হাফিজুল ইসলাম ১৯৯৩ সালে কুমিল্লা বোর্ড থেকে প্রথম বিভাগে এসএসসি, ১৯৯৫ সালে ঢাকা বোর্ড থেকে প্রথম বিভাগে এইচএসসি, ১৯৯৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগ থেকে অনার্সে দ্বিতীয় শ্রেণিতে ৫ম স্থান এবং ২০০০ সালে মাস্টার্স পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে ২য় স্থান লাভ করেন।
