নিহতরা হলেন, জেলার মুরাদনগর উপজেলার পরমতলা গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে তোফায়েল আহমেদ (২২) ও একই গ্রামের আবদুল কাদেরের ছেলে সোহেল (২২)। তারা কুমিল্লা সিটি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র।
আহত সায়মনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
লালমাই হাইওয়ে ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) লুৎফর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে, দুপুর দেড়টার দিকে চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ এনে কুমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসকের কক্ষে ভাঙচুর করেছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
কুমিল্লা সিটি কলেজের শিক্ষার্থী ইমন ও রাজিব জানান, সড়ক দুঘর্টনার পর ঘটনাস্থলেই তোফায়েল মারা যায়। আহত হয় সোহেল ও সায়মন। তাদের কুমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হলে কর্তৃপক্ষ রোগী নিতে আধা ঘণ্টা দেরি করে। ফলে অবহেলার কারণে সোহেল হাসপাতালে মারা যায়। পরে সায়মনকে ভর্তি করানো হয়।
সোহেলের মৃত্যুর খবরে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা দুপুর দেড়টার দিকে জরুরি বিভাগের চিকিৎসকের কক্ষের একটি টেবিল, একটি চেয়ার, একটি কম্পিউটার, একটি ফোন ভাঙচুর করেন।
তবে কুমেক হাসপাতালের আবাসিক সার্জারি চিকিৎসক আব্দুল আউয়াল জানান, রোগীকে সিড়ি দিয়ে দ্বিতীয় তলায় উঠানোর সময় তার মৃত্যু হয়। এক্ষেত্রে তাদের কোনো অবহেলা ছিল না।
কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সামসুজ্জামান জানান, ভাঙচুরের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে সেখানে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।