মুরাদনগর বার্তা ডেস্কঃ
কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে আ’লীগের সমর্থকদের দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালে ফারুক ও সাইদুর রহমান নামের ২ কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকেরা। এ সময় সংঘর্ষে ইউপি সদস্যসহ আহত হয়েছে আরও অন্তত ১২ জন। জিজ্ঞাসাবাদের জন ৮জন ও ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ৬ জনকে আটক করেছে বলে পুলিশ জানায়।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে মুরাদনগর উপজেলার রহিমপুর গ্রামে দক্ষিন পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বুধবার দুপুরে ইউপি সদস্য আশ্ররাফুল ইসলাম বাদী হয়ে মুরাদনগর থানায় অর্ধশত ব্যাক্তির নামে একটি হত্যার মামলা দায়ের করে।
নিহতরা হলেন আশরাফ গ্রুপের ফারুক (৩০) পিতা খোরশেদ আলম ও সাইদুল ইসলাম (২২) পিতা আবু হানিফ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার আ’লীগের সমর্থকের নবীপুর পশ্চিম ইউনিয়নেরন ও রহিমপুর গ্রামের ইউপি সদস্য আলী আশ্রাফ ও একই গ্রামের কবির, আলাউদ্দিন গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন থেকে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরুধ চলে আসছিল। এনিয়ে দু’গ্রুপের মধ্যে বেশ কয়েকবার সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে। এরই জের ও উপজেলার নয়াকান্দি গ্রামে গোমতী নদীর পাশে ড্রেজার ব্যবসা নিয়ে গত তিন দিন ধরে দু’গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা চলে আসছিল। এর অংশ হিসেবে শনিবার রাতে স্থানীয় ইউপি সদস্য আলী আশ্রাফ ও কবির-আলাউদ্দিন গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ শুরুহয়। এক পর্যায়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আশ্রাফ গ্রুপের আলী আশ্ররাফ নিজেসহ ফারুক, সাঈদুর, রুবেল, আবুবক্করসহ অন্তত্য ১২জন আহত হয়। আহতদের স্থানীয়রা মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন নেওয়া হলে এর মধ্যে মারাত্মক আহত সাইদুর ও ফারুকের মৃত্যু হয়। সংঘর্ষের সময় কয়েকটি বাড়িতে ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এদিকে ২জনের মৃত্যুর পর এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।
এ বিষয়ে বুধবার সকাল ১০টায় মুরাদনগর থানায় কুমিল্লা উত্তর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন ও মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস.এম বদিউজ্জামান সাংবাদিকদের সাথে প্রেস ব্রিফিং করেন।
এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন জানান, ‘এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও ড্রেজার ব্যাবসার জের ধরে রাতে স্থানীয় ইউপি সদস্য আলী আশ্রাফ ও কবির-আনিস গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এক পর্যায়ে ধারালো অস্ত্রের ফারুক ও সাঈদুল নামে দুই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৮জন ও জড়িত থাকার অভিযোগে ৬জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন রয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করা হয়েছে।
মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম বদিউজ্জামান বলেন, বুধবার দুপুরে ২৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরোও ২০/২৫জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। এ হত্যার বিষয়টি পরিকল্পিত ভাবে করা হয়েছে প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে তবে ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশে অভিযান অব্যাহত থাকবে।