মো: মোশাররফ হোসেন মনিরঃ
সারাদেশ ব্যাপী চলমান এইচএসসি পরীক্ষার অংশ হিসেবে কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার ১১টি পরীক্ষা কেন্দ্রের জন্য একজন করে মেডিকেল অফিসার ও একজন স্বাস্থ্য সহকারীর নেতৃত্বে একটি মেডিকেল টিম নিয়োগ করা হলেও পরীক্ষার প্রথম দিনে কোন কেন্দ্রে মেডিকেল অফিসার না গিয়ে বিভিন্ন ক্লিনিকে ও চেম্বারে রোগী দেখছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে।
জানা যায়, প্রতিটি পাবলিক পরীক্ষা চলাকালে একটি করে মেডিকেল টিম থাকার বাধ্যবাধকতা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না উপজেলার এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোতে। এতে করে পরীক্ষার্থীসহ অভিভাবকদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। পরীক্ষার্থীদের মধ্যে মানুষিক চাপের কারণে পরীক্ষা বেঘাতের আশঙ্কা করছে অভিভাবকরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার শ্রীকাইল সরকারি কলেজ ও কোড়েরপাড় আদর্শ কলেজ পরীক্ষা কেন্দ্রে নেই মেডিকেল টিমের কোন সদস্য। কাজী নোমান আহম্মেদ ডিগ্রি কলেজের ডা. নূরে জান্নাত তানিয়া, কোড়েরপাড় আদর্শ কলেজের ডা. মোবাশ্বেরা সামিয়া হক ও সামছুল হক কলেজের ডা. সুব্রত কুমারকে দায়িত্ব দেওয়া হলেও তারা পরীক্ষা কেন্দ্রে না গিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অবস্থান করছেন। বাশঁকাইট ব্যারিষ্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া কলেজ পরীক্ষা কেন্দ্রের ডা. ওয়াহিদুজ্জামান ভূইয়া পার্শবর্তী একটি ক্লিনিকে রোগি দেখছেন বলে জানা গছে ।
ডা. মোবাশ্বেরা সামিয়া হক জানান, আমার দু’স্থানে ডিউটি থাকায় আমি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অবস্থান করছি। জরুরী প্রয়োজন হলে ঐ পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত হব।
ডা. ওয়াহিদুজ্জামান ভূইয়া বলেন, আমি জরুরী কাজে কুমিল্লায় অবস্থান করছি। আমার সাথে দায়িত্বে থাকা স্বাস্থ্য সহকারীকে বলে এসেছি পরীক্ষা কেন্দ্রে জরুরী কোন প্রয়োজন হলে আমার সাথে পরার্মশ করার জন্য।
এ বিষয়ে মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু জাহের বলেন, পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্ব পালনের জন্য ডাক্তারদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। আবার অনেক ডাক্তাররা আজ মোবাইল ফোন রিসিভ না করায় কে কোথায় অবস্থান করেছে তা জানা যাচ্ছে না। পরীক্ষার প্রথমদিন হওয়ায় কিছু ডাক্তার হয়তো উপস্থিত হতে পারেনি। পরবর্তী পরীক্ষা গুলোতে সকল ডাক্তারদের উপস্থিত রাখার ব্যবস্থা নেয়া হবে।