ঢাকা ০২:০৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪, ৯ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে কেজি স্কুলের অনুষ্ঠানের জন্য মাধ্যমিক স্কুল বন্ধ : অভিভাবকরা ক্ষুব্ধ

শামীম আহম্মেদ, মুরাদনগরঃ

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার রামচন্দ্রপুর প্রভাতী শিশুবাগ কেজি স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের জন্য আকাব্বরের নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টি বন্ধ রাখায় শিক্ষাথর্ী ও অভিভাবকদের মধ্যে তোলপাড় চলছে। এমন চিত্র কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন রামচন্দ্রপুর এলাকায়।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, আকাব্বরের নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে রোববার সারাদিন রামচন্দ্রপুর প্রভাতী শিশুবাগ কেজি স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠান চলে। যার ফলে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিরেখেই মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি বন্ধ রাখা হয়। এতে করে শিক্ষাথর্ী ও অভিভাবকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।

নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক ১০ জন শিক্ষাথর্ী বলেন, দীর্ঘদিন যাবত এ বিদ্যালয়টিতে কেজি স্কুল পরিচালনা করে আসছে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী লোকজন। এর ফলে আমরা নানান সমস্যার সম্মুখিন হচ্ছি। সকালে এসে গেইটের বাইরে অপেক্ষা করতে হয়। ক্লাশ রুম ও ওয়াশ রুম অপরিচ্ছন্ন থাকে। আমরা একাধিকবার শিক্ষকদের জানিয়েও কোন ফল না পেয়ে এ সমস্যা নিয়েই লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছি।

অপর দিকে একাধিক অভিভাবকদের সাথে এ বিষেেয়ে জানতে চাইলে ‘তারা বলেন যেখানে এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষাথর্ীরা গাদাগাদি করে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে লেখাপড়া করছে, সেখানে একই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কিভাবে আরেকটি প্রাইভেট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হয় তা আমাদের বোধগম্য নয়। বিষয়টি আমরা উর্ধ্বতন কর্তপক্ষকে একাধিকবার জানিয়েও রহস্যজনক কারণে সুফল পাচ্ছি না। এ বিষয়ের পরেও প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের জন্য কিভাবে এমপিওভূক্ত প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখেন আমরা তার প্রতিকার চাই। নতুবা এ প্রতিষ্ঠানে পড়–য়া প্রায় ৮শ’ সৃজনশীল শিক্ষা ব্যবস্থা হুমকির মূখে পড়বে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাসনা বেগম জানান, আমি চিকিৎসা জনীত কারণে ঢাকায় আছি। স্কুল বন্ধের বিষয়ে আমি আবগত নই।

বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবুল হাসেম হাসু জানান, বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে মর্নিং শাখায় কেজি স্কুলটি চলে। তবে কেজি স্কুলের অনুষ্ঠানের জন্য মাধ্যমিক শাখা বন্ধ রাখার বিষয়টি আমাকে জানানো হয়নি। আমি ব্যবসায়িক কাজে নারায়নগঞ্জে আছি।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সফিউল আলম তালুকদার জানান, বিষয়টি আপনার কাছ থেকে শুনলাম। খতিয়ে দেখব।

কুমিল্লা জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল মজিদ জানান, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কেজি স্কুল পরিচালনা করার কোন সুযোগ নেই। তার উপরেও ওই কেজি স্কুলের কার্যক্রমের জন্য যদি মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ রাখে তাহলে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হওয়ায় মুরাদনগরে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ

মুরাদনগরে কেজি স্কুলের অনুষ্ঠানের জন্য মাধ্যমিক স্কুল বন্ধ : অভিভাবকরা ক্ষুব্ধ

আপডেট সময় ০৫:৫৩:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ মার্চ ২০২০

শামীম আহম্মেদ, মুরাদনগরঃ

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার রামচন্দ্রপুর প্রভাতী শিশুবাগ কেজি স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের জন্য আকাব্বরের নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টি বন্ধ রাখায় শিক্ষাথর্ী ও অভিভাবকদের মধ্যে তোলপাড় চলছে। এমন চিত্র কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন রামচন্দ্রপুর এলাকায়।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, আকাব্বরের নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে রোববার সারাদিন রামচন্দ্রপুর প্রভাতী শিশুবাগ কেজি স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠান চলে। যার ফলে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিরেখেই মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি বন্ধ রাখা হয়। এতে করে শিক্ষাথর্ী ও অভিভাবকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।

নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক ১০ জন শিক্ষাথর্ী বলেন, দীর্ঘদিন যাবত এ বিদ্যালয়টিতে কেজি স্কুল পরিচালনা করে আসছে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী লোকজন। এর ফলে আমরা নানান সমস্যার সম্মুখিন হচ্ছি। সকালে এসে গেইটের বাইরে অপেক্ষা করতে হয়। ক্লাশ রুম ও ওয়াশ রুম অপরিচ্ছন্ন থাকে। আমরা একাধিকবার শিক্ষকদের জানিয়েও কোন ফল না পেয়ে এ সমস্যা নিয়েই লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছি।

অপর দিকে একাধিক অভিভাবকদের সাথে এ বিষেেয়ে জানতে চাইলে ‘তারা বলেন যেখানে এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষাথর্ীরা গাদাগাদি করে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে লেখাপড়া করছে, সেখানে একই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কিভাবে আরেকটি প্রাইভেট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হয় তা আমাদের বোধগম্য নয়। বিষয়টি আমরা উর্ধ্বতন কর্তপক্ষকে একাধিকবার জানিয়েও রহস্যজনক কারণে সুফল পাচ্ছি না। এ বিষয়ের পরেও প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের জন্য কিভাবে এমপিওভূক্ত প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখেন আমরা তার প্রতিকার চাই। নতুবা এ প্রতিষ্ঠানে পড়–য়া প্রায় ৮শ’ সৃজনশীল শিক্ষা ব্যবস্থা হুমকির মূখে পড়বে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাসনা বেগম জানান, আমি চিকিৎসা জনীত কারণে ঢাকায় আছি। স্কুল বন্ধের বিষয়ে আমি আবগত নই।

বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবুল হাসেম হাসু জানান, বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে মর্নিং শাখায় কেজি স্কুলটি চলে। তবে কেজি স্কুলের অনুষ্ঠানের জন্য মাধ্যমিক শাখা বন্ধ রাখার বিষয়টি আমাকে জানানো হয়নি। আমি ব্যবসায়িক কাজে নারায়নগঞ্জে আছি।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সফিউল আলম তালুকদার জানান, বিষয়টি আপনার কাছ থেকে শুনলাম। খতিয়ে দেখব।

কুমিল্লা জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল মজিদ জানান, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কেজি স্কুল পরিচালনা করার কোন সুযোগ নেই। তার উপরেও ওই কেজি স্কুলের কার্যক্রমের জন্য যদি মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ রাখে তাহলে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।