মো: মোশারফ হোসেন মনিরt
রোজ বুধবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৫ ইং(মুরাদনগর বার্তা ডটকম):
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা ইউনয়নের শিমানারপাড় গ্রামে যৌতুক না দেওয়ায় সুমি(২২) নামের এক গৃহবধুর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে পাষন্ড স্বামীসহ শশুর বাড়ির লোকজন হত্যার চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার পর থেকে শশুর বাড়ির লোকেরা পলাতক রয়েছে।
বুধবার দুপুর ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটলেও, সন্ধ্যায় বাবার বাড়ির লোক জন খবর পেয়ে আগুনে ঝলসে যাওয়া গৃহবধূকে উদ্ধার করে মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে প্রেরন করেন।
সুমি উপজেলার শিমানারপাড় গ্রামের আলামিনের স্ত্রী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার দুপুরে যৌতুক নিয়ে সুমির সাথে স্বামী, শশুর, শাশুরী, স্বামীর বোন ও দেবরের সাথে কথা কাটাকাটি হলে শশুর বাড়িরর লোকজন সুমির গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে ঘরের দরজা আটকিয়ে দেয়। পরে সুমির চিৎকারে পাশের বাড়ির লোকজন এসে আগুন বন্ধ করে। এতে তার শরীররে প্রায় ৬৫% আগুনে ঝলসে যায়। এরপরও পাষন্ড শশুর বাড়ির লোকেরা তাকে চিকিৎসা করাতে না দিয়ে তাকে ঘরে আটকিয়ে রাখে। পরে সুমির বাবার বাড়ীর লোকেরা খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ হাসপাতালে নিয়ে আসলে মুহূর্ষ অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে প্রেরন করেন।
সুমির বাবা রফিকুল ইসলাম জানান, শশুর বাড়ির লোকেরা এর আগে বেশ কয়েকবার যতুকের জন্যন, আমার মেয়েকে মারধর করে। মেয়ের দিকে তাকিয়ে স্বামী বিদেশে যাওয়ার সময় পাচঁ লক্ষটাকা প্রধান করি। এর পর আরো টাকা দাবি করে। সেই টাকা নাদিতে পারায় তার স্বামী আলামিন, শশুর নূরু মিয়া, শাশুরী আয়শা বেগম, স্বামীর বোন মরিয়ম ও দেবর আশিক আমার মেয়েকে হত্যার উদ্যেশে ঘরে আটক করে গায়ে কেরশিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। তিনি আরো জানন এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এ বিষয়ে মরাদগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানন, খবর পেয়ে বুহস্পতিবার সকালে এসআই নূরুল আলমের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনার স্থল পরির্দশন করেছে। এখন পর্যন্ত থানায় কেহ লিখিত ভাবে অভিয়োগ করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।