ঢাকা ০৯:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ২২ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে চাকুরী পূর্ন বহালের দাবীতে বরখাস্ত হওয়া শিক্ষক তালা দিলেন স্কুল

মো: মোশাররফ হোসেন মনির, মো: নাজিম উদ্দিনঃ

কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলা সদর ইউনিয়নের ঘোড়াশাল আ: করিম উচ্চ বিদ্যালয়ে চাকুরী পূর্ন বহালের দাবীতে স্কুল তালা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বরখাস্ত হওয়া খন্ডকালিন শিক্ষক নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুরাদনগর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশের সহায়তা নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা স্কুল কক্ষে প্রবেশ করেন।

বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার ঘোড়াশাল আ: করিম উচ্চ বিদ্যালয়ে ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে আতংঙ্ক ছড়িয়ে পরে। আতংকিত হয়ে দিকবেদিক ছুটাছুটি করে অনেক ছাত্র আহত হওয়ারও খবর ছড়িয়ে পরে। এতে স্থানীয়রা ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালের এপ্রিল মাস থেকে নজরুল ইসলাম ঘোড়াশাল আবদুল করিম উচ্চ বিদ্যালয়ে খন্ডকালিন শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। কর্মস্থলে যোগদানের পর থেকে বিভিন্ন সময় তার কর্মকান্ডে সর্বদা আতংকে থাকত বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বিভিন্ন সময় তার কর্মকান্ডে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাকে মৌখিক ভাবে সতর্ক করলেও তিনি তা কর্ণপাত করেননি। সবশেষ গত ৫ই মার্চ ২০১৭ রবিবার সপ্তম শ্রেনির ছাত্র অমিত হাসানকে থ্রি কোয়াটার পেন্ট পড়ে বিদ্যালয়ে আসার অপরাধে বেধড়ক বেত্রাঘাত করেন, এতে করে অমিতের শরীরের বিভিন্ন অংশ রক্তাক্ত হয়ে ফুলে যায় এবং সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। স্থানীয়রা আহত অমিতকে মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় শিক্ষক নজরুল ইসলামকে গত ৬ মার্চ বিদ্যালয় কতৃপক্ষ বরখাস্থ করেন। এরই জেরে গত বৃহস্পতিবার বহিস্কৃত শিক্ষক নজরুল ও তার ভাই আব্দুল বাকীর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে শিক্ষক-শিক্ষাথীদের মাঝে ভয় ভীতি ও আতংক সৃষ্টি করে শেনীকক্ষে তালা দিয়ে দেয়। এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসসহ মুরাদনগর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। মুরাদনগর থানার এসআই খোরশেদ আলমের নেতৃত্বে একদল পুলিশ প্রধান শিক্ষককে নিয়ে তালা ভেঙ্গে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করেন। এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রেনে আনে।

প্রধান শিক্ষক মো: দেলোয়ার হোসেন জানান, নজরুল ইসলাম সরকারি বিধি লংঙ্গন করে শিক্ষার্থী নির্যাতন করেছেন তাই তাকে অত্র বিদ্যালয়ের খন্ডকালিন শিক্ষকের পদ থেকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। বরখাস্তের খবর পেয়ে নজরুল ও তার ভাই দলবল নিয়ে স্কুলে তালা লাগিয়ে দেয়। পরে পুলিশের সহায়তায় পরিস্থিতি শান্ত করি।

বরখাস্ত হওয়া শিক্ষক নজরুলের মোবাইল ফোনে এবাদিকবার যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম বদিউজ্জামান বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। স্কুলের তালা খোলে দেয়া হয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে পরবর্তি পদক্ষেপ নেয়া হবে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

মুরাদনগরে চাকুরী পূর্ন বহালের দাবীতে বরখাস্ত হওয়া শিক্ষক তালা দিলেন স্কুল

আপডেট সময় ০২:৩৮:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মার্চ ২০১৭
মো: মোশাররফ হোসেন মনির, মো: নাজিম উদ্দিনঃ

কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলা সদর ইউনিয়নের ঘোড়াশাল আ: করিম উচ্চ বিদ্যালয়ে চাকুরী পূর্ন বহালের দাবীতে স্কুল তালা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বরখাস্ত হওয়া খন্ডকালিন শিক্ষক নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুরাদনগর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশের সহায়তা নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা স্কুল কক্ষে প্রবেশ করেন।

বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার ঘোড়াশাল আ: করিম উচ্চ বিদ্যালয়ে ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে আতংঙ্ক ছড়িয়ে পরে। আতংকিত হয়ে দিকবেদিক ছুটাছুটি করে অনেক ছাত্র আহত হওয়ারও খবর ছড়িয়ে পরে। এতে স্থানীয়রা ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালের এপ্রিল মাস থেকে নজরুল ইসলাম ঘোড়াশাল আবদুল করিম উচ্চ বিদ্যালয়ে খন্ডকালিন শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। কর্মস্থলে যোগদানের পর থেকে বিভিন্ন সময় তার কর্মকান্ডে সর্বদা আতংকে থাকত বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বিভিন্ন সময় তার কর্মকান্ডে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাকে মৌখিক ভাবে সতর্ক করলেও তিনি তা কর্ণপাত করেননি। সবশেষ গত ৫ই মার্চ ২০১৭ রবিবার সপ্তম শ্রেনির ছাত্র অমিত হাসানকে থ্রি কোয়াটার পেন্ট পড়ে বিদ্যালয়ে আসার অপরাধে বেধড়ক বেত্রাঘাত করেন, এতে করে অমিতের শরীরের বিভিন্ন অংশ রক্তাক্ত হয়ে ফুলে যায় এবং সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। স্থানীয়রা আহত অমিতকে মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় শিক্ষক নজরুল ইসলামকে গত ৬ মার্চ বিদ্যালয় কতৃপক্ষ বরখাস্থ করেন। এরই জেরে গত বৃহস্পতিবার বহিস্কৃত শিক্ষক নজরুল ও তার ভাই আব্দুল বাকীর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে শিক্ষক-শিক্ষাথীদের মাঝে ভয় ভীতি ও আতংক সৃষ্টি করে শেনীকক্ষে তালা দিয়ে দেয়। এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসসহ মুরাদনগর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। মুরাদনগর থানার এসআই খোরশেদ আলমের নেতৃত্বে একদল পুলিশ প্রধান শিক্ষককে নিয়ে তালা ভেঙ্গে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করেন। এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রেনে আনে।

প্রধান শিক্ষক মো: দেলোয়ার হোসেন জানান, নজরুল ইসলাম সরকারি বিধি লংঙ্গন করে শিক্ষার্থী নির্যাতন করেছেন তাই তাকে অত্র বিদ্যালয়ের খন্ডকালিন শিক্ষকের পদ থেকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। বরখাস্তের খবর পেয়ে নজরুল ও তার ভাই দলবল নিয়ে স্কুলে তালা লাগিয়ে দেয়। পরে পুলিশের সহায়তায় পরিস্থিতি শান্ত করি।

বরখাস্ত হওয়া শিক্ষক নজরুলের মোবাইল ফোনে এবাদিকবার যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম বদিউজ্জামান বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। স্কুলের তালা খোলে দেয়া হয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে পরবর্তি পদক্ষেপ নেয়া হবে।