মোঃ মোশাররফ হোসেন মনিরঃ
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার রামচন্দ্রপুর দক্ষিন ইউপির মির্জাপুর এলাকার ফুলকলি কিন্ডার গার্ডেনের ২য় শ্রেনীর ছাত্র জিহাদ(৮)কে অপহরণ করে নির্মমভাবে হত্যার মামলা তুলে নেওয়ার জন্য পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ব্যাপারে জিহাদের মা শাহনাজ বেগম মঙ্গলাবার দুপুরে মুরাদনগর থানায় হত্যার ঘটনার সাথে জড়িত আবুল বাসারের বিরুদ্ধে একটি অভোযোগ দাখিল করেন। যাহার জিডি নং-৪৭৪।
জিহাদের মা শাহনাজ অভিযোগ করে বলেন, গত ৬জুন আমার ছেলে জিহাদকে বাড়ির সামনের সড়ক থেকে অপহরন করে নেওয়ার পর জিহাদের চাচা শহিদ মিয়া ঐ দিন সন্ধ্যায় বাদী হয়ে মুরাদনগর থানায় একটি সাধারন ডায়েরি করেন। পরদিন পুলিশ ঢাকা থেকে একই গ্রামের রবিউল নামের যুবককে আটক করে। আটক রবিউল এঘটনার সাথে জড়িত উপজেলার বাঙ্গরা গ্রামের গিয়াসউদ্দিন ও সিএনজি ড্রাইভার সংকরের নাম প্রকাশ করলে থানা পুলিশ তাদের আটক করে ছেড়ে দেয়। ৮জুন সকালে স্থানীয়রা আটক রবিউলের ঘর থেকে জিহাদের পায়ের জুতা ও তার ঘরের পেছনের ডোবায় জিহাদের বস্তাবন্দী লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পরে রবিউল অপহরন করে হত্যার কথা শিকার করে।
শাহনাজ বেগম বলেন মূল হত্যাকারী যাদের নাম প্রকাশ করেছে পুলিশ তাদেরকে আটক না করে, মামলা অন্যদিকে প্রবাহিত করার জন্য মামলার বাদী ও জিহাদের চাচা শহিদ মিয়ার ছেলে কবিরকে আটক করে পুলিশ। অপর দিকে রবিউলের মা, বোন ও চাচাকে পুলিশ আটক করে তাদেরকে এজহারভুক্ত আসামি না করে জিহাদ হত্যার সাথে সন্দেহ জনক জড়িত থাকার অভিযোগে জেল হাজতে প্রেরন করে।
তিনি আরো বলেন, গত বছরের ২৮ আগস্ট মামলার বাদীর নাম পরিবর্তন করে, আমার নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আদালতে আবেদন করলে, হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত একদল সন্ত্রাসী প্রকাশ্যে দা হাতে আমার বাড়ীর সামনে এসে আমাকে মামলা তুলে নিতে বলে অন্যথায় আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকি দেয়।
এ ব্যাপারে গত ২৮ আগস্ট মুরাদনগর থানায় ১৩জনের নাম উল্লেখ করে লিখিত ভাবে অভিযোগ করলেও পুলিশের কাছ থেকে কোন প্রকার সহযোগিতা না পাওয়ার অভিযোগ করেন। হুমকির ব্যপারে থানায় লিখিত অভিযোগ করার পর হুমকি আরো বেড়ে গিয়ে গত ৪এপ্রিল বিকেলে মির্জাপুর গ্রামের মুত আঃ রশিদের ছেলে মো: আবুল বাসার(৪৫) সহ ২/৩ জন বাড়ীর পাশে সড়কে মামলা প্রত্যাহরের জন্য হুমি দেয়, না হলে আমার সন্তান জিহাদের মত আমাকে হত্যা করার হুমকি ও ভয়ভীতি দেখায়।
এ ব্যাপারে মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, জিডির বিষয়টি সুষ্ঠতদন্ত শেষে জড়িতদেরকে বিরুদ্ধে প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা গ্রজন করা হবে।