ঢাকা ০৮:৪৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে জোড়া খুনের ঘটনায় আরো এক আসামী কারাগারে

মো হাবীবুর রহমান, বিশেষ প্রতিনিধিঃ

কুমিল্লার মুরাদনগরে চাঞ্চল্যকর জোড়া খুনের ঘটনায় এজহারনামীয় পলাতক আসামী আবুল কাশেমকে রোববার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কুমিল্লার কেন্দ্রিয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

শনিবার বিকেলে ঢাকার ডেমরা থানা পুলিশের সহযোগিতায় রায়েরবাগ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে। বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পুলিশ পরির্দশক (তদন্ত) মোহাম্মদ আরজুন।

জানা যায়, উপজেলার নবীপুর পশ্চিম ইউনিয়নের রহিমপুর গ্রামে গত ১৮ এপ্রিল মঙ্গলবার রাতে প্রতিপক্ষরা ফারুক মিয়া ও সাইদুল হোসেন নামে দু’যুবককে কুপিয়ে ও পিটিয়ে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ বিভিন্ন স্থানে সাড়াশি অভিযান চালিয়ে এ পর্যন্ত ১৮ জন আসামীকে গ্রেফতার করে জেল-হাজতে পাঠিয়েছে। এরমধ্যে তিনজন আসামী ইতিমধ্যে জামিনে মুক্তিলাভ করেছে। এ দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উক্ত মামলার পলাতক আসামীর সন্ধান পেয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পুলিশ পরির্দশক (তদন্ত) মোহাম্মদ আরজুনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঢাকার ডেমরা থানা এলাকায় অভিযান চালায়। পরে আসামীর অবস্থান নিশ্চিত হয়ে ঢাকার ডেমরা থানা পুলিশের সহযোগিতায় শনিবার বিকেলে রায়েরবাগ এলাকা থেকে উক্ত মামলার এজহার নামীয় আসামী আবুল কাশেমকে (৬২) আটক করে। সে উপজেলার রহিমপুর গ্রামের মৃত চরু মিয়ার ছেলে। রোববার বিকেলে তাকে কুমিল্লার ৮নং আমলী আদালতে সোপর্দ করলে বিজ্ঞ বিচারক শাহনেওয়াজ মনির তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। উল্লেখ্য, উক্ত জোড়া খুনের ঘটনায় আলী আশরাফ মেম্বার বাদী হয়ে ১৯ এপ্রিল মুরাদনগর থানায় একটি মামলা করে।

মুরাদনগর থানার ওসি এসএম বদিউজ্জামান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, পলাতক থাকা অপর আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তবে কেউ যেন বিনা অপরাধে হয়রানির শিকার না হন, সে দিকে নজর রয়েছে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

শিক্ষার্থীদের উপর হামলার প্রতিবাদে মুরাদনগরে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ

মুরাদনগরে জোড়া খুনের ঘটনায় আরো এক আসামী কারাগারে

আপডেট সময় ০৬:৫৭:৫০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ ডিসেম্বর ২০১৭
মো হাবীবুর রহমান, বিশেষ প্রতিনিধিঃ

কুমিল্লার মুরাদনগরে চাঞ্চল্যকর জোড়া খুনের ঘটনায় এজহারনামীয় পলাতক আসামী আবুল কাশেমকে রোববার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কুমিল্লার কেন্দ্রিয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

শনিবার বিকেলে ঢাকার ডেমরা থানা পুলিশের সহযোগিতায় রায়েরবাগ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে। বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পুলিশ পরির্দশক (তদন্ত) মোহাম্মদ আরজুন।

জানা যায়, উপজেলার নবীপুর পশ্চিম ইউনিয়নের রহিমপুর গ্রামে গত ১৮ এপ্রিল মঙ্গলবার রাতে প্রতিপক্ষরা ফারুক মিয়া ও সাইদুল হোসেন নামে দু’যুবককে কুপিয়ে ও পিটিয়ে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ বিভিন্ন স্থানে সাড়াশি অভিযান চালিয়ে এ পর্যন্ত ১৮ জন আসামীকে গ্রেফতার করে জেল-হাজতে পাঠিয়েছে। এরমধ্যে তিনজন আসামী ইতিমধ্যে জামিনে মুক্তিলাভ করেছে। এ দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উক্ত মামলার পলাতক আসামীর সন্ধান পেয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পুলিশ পরির্দশক (তদন্ত) মোহাম্মদ আরজুনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঢাকার ডেমরা থানা এলাকায় অভিযান চালায়। পরে আসামীর অবস্থান নিশ্চিত হয়ে ঢাকার ডেমরা থানা পুলিশের সহযোগিতায় শনিবার বিকেলে রায়েরবাগ এলাকা থেকে উক্ত মামলার এজহার নামীয় আসামী আবুল কাশেমকে (৬২) আটক করে। সে উপজেলার রহিমপুর গ্রামের মৃত চরু মিয়ার ছেলে। রোববার বিকেলে তাকে কুমিল্লার ৮নং আমলী আদালতে সোপর্দ করলে বিজ্ঞ বিচারক শাহনেওয়াজ মনির তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। উল্লেখ্য, উক্ত জোড়া খুনের ঘটনায় আলী আশরাফ মেম্বার বাদী হয়ে ১৯ এপ্রিল মুরাদনগর থানায় একটি মামলা করে।

মুরাদনগর থানার ওসি এসএম বদিউজ্জামান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, পলাতক থাকা অপর আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তবে কেউ যেন বিনা অপরাধে হয়রানির শিকার না হন, সে দিকে নজর রয়েছে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছে।