ঢাকা ১২:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে জোড়া খুনের ঘটনায় উত্তোপ্ত হয়ে উঠেছে উপজেলা আ’লীগের রাজনীতি

মুরাদনগর বার্তাঃ

কুমিল্লা উত্তর জনপদের আলোচিত উপজেলা মুরাদনগরের আওয়ামীলীগের রাজনীতি। সেই রাজনীতির মাঠ আবারও উত্তোপ্ত হয়ে উঠেছে উপজেলায় জোড়া খুনের ঘটনা নিয়ে। ১৯৯৬ সালে সংসদ নির্বাচনে মুরাদনগর উপজেলার আওয়ামীলীগ থেকে ইউছুফ আব্দুল্লাহ হারুনকে মনোনয়ন দেওয়ার পর থেকেই বিভক্ত হয়ে পরে উপজেলা আওয়ামীলীগ। বর্তমানে ইউছুফ আব্দুল্লা হারুন স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচিত এমপি হলেও তিনি এখন উপজেলা আওয়ামীলীগের একাংশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

আর অপর অংশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সরকার। এ উপজেলার আ’লীগ এমপি ইউছুফ আবদুল্লা হারুন গ্রুপ এখন সহিংসতার পথে। তবে মুরাদনগর উপজেলা আ’লীগের নেতাদের দাবি ইউছুফ হারুন স্বতন্ত্র এমপি। আর তার অনুসারিরা হাইব্রিড আওয়ামীলীগ। তৃণমূল আ’লীগের সাথে এদের কোন প্রকার সম্পর্ক নেই। গত মঙ্গলবারে সংঘর্ষ ও হত্যাকান্ডের ঘটনার সাথে জড়িত উভয় গ্রুপই স্বতন্ত্র এমপির অনুসারি।

বুধবার বিকেলে এনিয়ে কুমিল্লা উত্তর জেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সরকার ও উপজেলা আলীগের সভাপতি সৈয়দ আহম্মেদ হোসেন আউয়ালের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এমনটাই দাবি করে ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবি করেন।

জানা যায়, ইউছুফ আব্দুল্লাহ হারুন এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে তার অনুসারিরা মুরাদনগরে নিজেদের আধ্যিপত্য ধরে রাখতে মরিয়া হয়ে ওঠে। গত তিন বছরে তার অনুসারিরা এলাকায কখনো নদীর বালু, খখনো পুকুর দখল, মাছের টাকা ভাগাভাগি, টেন্ডারবাজী ও মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিজেরাই সংঘর্ষ, গোলাগুলি, দলীয় কার্যালয়ে হামলা ও মারামারিতে লিপ্ত হয়েছে। ইউছুফ হারুন অনসিারিদের প্রায় সময়ের সাংঘর্ষিক ঘটনা শেষ পর্যন্ত খুনের ঘটনার স্থলে এসে দাঁড় করিয়েছে নিজেদের।

আর সেই আধিপত্য নিয়ে গত মঙ্গলবার রাতে ইউছুফ হারুনের অনুসারি আশরাফ ও আলাউদ্দিন-আনিস গ্রুপ গোমতী নদীর ড্রেজার ব্যবসায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংর্ঘষে জড়িয়ে পড়ে। আর আশ্ররাফ গ্রুপের ফারুক ও সাইদুলকে কুপিয়ে খুন করে আলাউদ্দিন-কবির গ্রুপের লোকজন। মুরাদনগর সংসদ সদস্য স্বতন্ত্র এমপি ইউছুফ আব্দুল্লাহ হারুনের একাধিক অনুসারি গ্রুপের ক্ষমতার কাছে অসহায় হয়ে পড়েছে পুলিশ। গত তিন বছরে এমপির অনুসারিদের লাগামহীন দোর্দন্ত প্রতাপের কারনে পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নিতে না পারায় ফলে একর পর এক ঘটনার উৎপত্তি ঘটাচ্ছে এমপির অনুসারিরা।

শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার রাতে উপজেলার নবীপুর পশ্চিম ইউনিয়নের রহিমপুর-নয়াকান্দি গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে জীবন দিতে হলো জোড়া যুবকের। নববীপুর পশ্চিম ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের এমমির সমর্থক আশ্ররাফ গ্রুপ ও কবির-আলাউদ্দিন গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। মাস খানেক আগে আশ্ররাফ ১০কেজি গাজাসহ কবির-আলাউদ্দিন গ্রুপের সদস্য রহিমপুর গ্রামের হিরন মিয়ার পুত্র গাজা সাইদুরকে পুলিশে ধরিয়ে দেয়। এ নিয়ে উভয় গ্রুপের বিরোধ চরম আকার ধারন করে। এছাগড়াও আশ্ররাফ মেম্বারের নিয়ন্ত্রনে থাকা গোমতী নদীর বালু ব্যবসার ড্রেজার স্থাপন নিয়ে কবির-আলাউদ্দিনের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়।

মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টায় কবির-আলাউদ্দিন গ্রুপের লোকজন আশ্ররাফ মেম্বারের বালু ব্যবসার ড্রেজার কাজে নিয়োজিত কেয়ারটেকার রুবেলকে মারধর করলে এ নিয়ে সর্ঘষ্য তৈরী হলে জোড়া খুনের ঘটনাসহ ১০জন আহত হয়। এবং বুধবার দুপুরে আশ্ররাফ বাদী হয়ে কবির আলাউদ্দিন গ্রুপের ২৯ জনের উল্লোখসহ অজ্ঞাত ২৫জনের নামে একটি মামলা করে। এবং পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত ৯জনকে আটক করে। বতর্মনে এ নিয়ে উত্তেজনা ও থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। যে কোন মুহুর্তে আবারো বড় ধরণেন রক্তক্ষী সংঘর্ষের আশংকা স্থানীয়দের। এমতা অবস্থা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে অতিরিক্তি পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। বিকেলে ময়নাতদন্তের পর দু’জনের লাশ গ্রামের বাড়িতে পৌঁছলে স্বজনদের আহাজারীতে এলাকায় শোকাবহ পরিবেশের সৃষ্টি হয়। বিকেলে পারিবারিক কবরস্থানে তাদের লাশ দাফন করা হয়।

উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক সৈয়দ তানভরি আহমেদ বলেন, সংঘর্ষে জড়িত সবাই কুমিল্লরা-৩ (মুরাদনগর) আসনের স্বতন্ত্র সাংসদ এবং আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ইউছুফ আব্দুল্লা হারুনের অনুসারী। তবে গতকাল বুধবার গণমাধ্যমের কাছে দল থেকে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে তারা আ’রীগের কেহনা, তারা স্থানীয় স্বতন্ত্র এমপি এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের জন্য এ বাহিনীকে পৃষ্ঠপোষন করে আসছে।

এদিকে কবির হোসেন, আলাউদ্দিন ও সংসদ সদস্য ইউছুফ আব্দুল্লা হারুনের মুঠোফুনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি।

এ বিষয়ে মামলা বাদী আশ্ররাফ মেম্বার জানান, সন্ত্রাসীরা পরিকল্পিত ভাবে আমাকে হত্যা করতে চেয়েছিল। আল্লাহর রহমতে আমি প্রানে রক্ষা পাই। তাদের রামদার কোপে আমার বাম হাতের ৩টি আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। হত্যাকারিরা প্রকৃত ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য বিভান্তিমুলক আপপ্রচার চালাচ্ছে।

মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম বদিউজ্জামান বলেন, এ জোড়া খুনের ঘটনায় পুলিশ এ পর্যন্ত আানিস মিয়া, কনু মিয়া, ফারুক মিয়া, দুর্বাজ ওরফে খোকন, মোমেন মিয়া, কামরুল হাসান, আমজাদ মোল্লা, খোকন মিয়া ও সুজনসহ ৯ জনকে গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার বিকেলে কুমিল্লা জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে এবং এ ঘটনার সাথে জড়িত অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

তারেক রহমান ও কায়কোবাদ মিথ্যা মামলা থেকে খালাস পাওয়ায় মুরাদনগরে মসজিদে দোয়া ও মন্দিরে প্রার্থনা

মুরাদনগরে জোড়া খুনের ঘটনায় উত্তোপ্ত হয়ে উঠেছে উপজেলা আ’লীগের রাজনীতি

আপডেট সময় ০৮:২০:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ এপ্রিল ২০১৭
মুরাদনগর বার্তাঃ

কুমিল্লা উত্তর জনপদের আলোচিত উপজেলা মুরাদনগরের আওয়ামীলীগের রাজনীতি। সেই রাজনীতির মাঠ আবারও উত্তোপ্ত হয়ে উঠেছে উপজেলায় জোড়া খুনের ঘটনা নিয়ে। ১৯৯৬ সালে সংসদ নির্বাচনে মুরাদনগর উপজেলার আওয়ামীলীগ থেকে ইউছুফ আব্দুল্লাহ হারুনকে মনোনয়ন দেওয়ার পর থেকেই বিভক্ত হয়ে পরে উপজেলা আওয়ামীলীগ। বর্তমানে ইউছুফ আব্দুল্লা হারুন স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচিত এমপি হলেও তিনি এখন উপজেলা আওয়ামীলীগের একাংশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

আর অপর অংশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সরকার। এ উপজেলার আ’লীগ এমপি ইউছুফ আবদুল্লা হারুন গ্রুপ এখন সহিংসতার পথে। তবে মুরাদনগর উপজেলা আ’লীগের নেতাদের দাবি ইউছুফ হারুন স্বতন্ত্র এমপি। আর তার অনুসারিরা হাইব্রিড আওয়ামীলীগ। তৃণমূল আ’লীগের সাথে এদের কোন প্রকার সম্পর্ক নেই। গত মঙ্গলবারে সংঘর্ষ ও হত্যাকান্ডের ঘটনার সাথে জড়িত উভয় গ্রুপই স্বতন্ত্র এমপির অনুসারি।

বুধবার বিকেলে এনিয়ে কুমিল্লা উত্তর জেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সরকার ও উপজেলা আলীগের সভাপতি সৈয়দ আহম্মেদ হোসেন আউয়ালের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এমনটাই দাবি করে ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবি করেন।

জানা যায়, ইউছুফ আব্দুল্লাহ হারুন এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে তার অনুসারিরা মুরাদনগরে নিজেদের আধ্যিপত্য ধরে রাখতে মরিয়া হয়ে ওঠে। গত তিন বছরে তার অনুসারিরা এলাকায কখনো নদীর বালু, খখনো পুকুর দখল, মাছের টাকা ভাগাভাগি, টেন্ডারবাজী ও মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিজেরাই সংঘর্ষ, গোলাগুলি, দলীয় কার্যালয়ে হামলা ও মারামারিতে লিপ্ত হয়েছে। ইউছুফ হারুন অনসিারিদের প্রায় সময়ের সাংঘর্ষিক ঘটনা শেষ পর্যন্ত খুনের ঘটনার স্থলে এসে দাঁড় করিয়েছে নিজেদের।

আর সেই আধিপত্য নিয়ে গত মঙ্গলবার রাতে ইউছুফ হারুনের অনুসারি আশরাফ ও আলাউদ্দিন-আনিস গ্রুপ গোমতী নদীর ড্রেজার ব্যবসায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংর্ঘষে জড়িয়ে পড়ে। আর আশ্ররাফ গ্রুপের ফারুক ও সাইদুলকে কুপিয়ে খুন করে আলাউদ্দিন-কবির গ্রুপের লোকজন। মুরাদনগর সংসদ সদস্য স্বতন্ত্র এমপি ইউছুফ আব্দুল্লাহ হারুনের একাধিক অনুসারি গ্রুপের ক্ষমতার কাছে অসহায় হয়ে পড়েছে পুলিশ। গত তিন বছরে এমপির অনুসারিদের লাগামহীন দোর্দন্ত প্রতাপের কারনে পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নিতে না পারায় ফলে একর পর এক ঘটনার উৎপত্তি ঘটাচ্ছে এমপির অনুসারিরা।

শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার রাতে উপজেলার নবীপুর পশ্চিম ইউনিয়নের রহিমপুর-নয়াকান্দি গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে জীবন দিতে হলো জোড়া যুবকের। নববীপুর পশ্চিম ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের এমমির সমর্থক আশ্ররাফ গ্রুপ ও কবির-আলাউদ্দিন গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। মাস খানেক আগে আশ্ররাফ ১০কেজি গাজাসহ কবির-আলাউদ্দিন গ্রুপের সদস্য রহিমপুর গ্রামের হিরন মিয়ার পুত্র গাজা সাইদুরকে পুলিশে ধরিয়ে দেয়। এ নিয়ে উভয় গ্রুপের বিরোধ চরম আকার ধারন করে। এছাগড়াও আশ্ররাফ মেম্বারের নিয়ন্ত্রনে থাকা গোমতী নদীর বালু ব্যবসার ড্রেজার স্থাপন নিয়ে কবির-আলাউদ্দিনের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়।

মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টায় কবির-আলাউদ্দিন গ্রুপের লোকজন আশ্ররাফ মেম্বারের বালু ব্যবসার ড্রেজার কাজে নিয়োজিত কেয়ারটেকার রুবেলকে মারধর করলে এ নিয়ে সর্ঘষ্য তৈরী হলে জোড়া খুনের ঘটনাসহ ১০জন আহত হয়। এবং বুধবার দুপুরে আশ্ররাফ বাদী হয়ে কবির আলাউদ্দিন গ্রুপের ২৯ জনের উল্লোখসহ অজ্ঞাত ২৫জনের নামে একটি মামলা করে। এবং পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত ৯জনকে আটক করে। বতর্মনে এ নিয়ে উত্তেজনা ও থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। যে কোন মুহুর্তে আবারো বড় ধরণেন রক্তক্ষী সংঘর্ষের আশংকা স্থানীয়দের। এমতা অবস্থা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে অতিরিক্তি পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। বিকেলে ময়নাতদন্তের পর দু’জনের লাশ গ্রামের বাড়িতে পৌঁছলে স্বজনদের আহাজারীতে এলাকায় শোকাবহ পরিবেশের সৃষ্টি হয়। বিকেলে পারিবারিক কবরস্থানে তাদের লাশ দাফন করা হয়।

উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক সৈয়দ তানভরি আহমেদ বলেন, সংঘর্ষে জড়িত সবাই কুমিল্লরা-৩ (মুরাদনগর) আসনের স্বতন্ত্র সাংসদ এবং আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ইউছুফ আব্দুল্লা হারুনের অনুসারী। তবে গতকাল বুধবার গণমাধ্যমের কাছে দল থেকে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে তারা আ’রীগের কেহনা, তারা স্থানীয় স্বতন্ত্র এমপি এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের জন্য এ বাহিনীকে পৃষ্ঠপোষন করে আসছে।

এদিকে কবির হোসেন, আলাউদ্দিন ও সংসদ সদস্য ইউছুফ আব্দুল্লা হারুনের মুঠোফুনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি।

এ বিষয়ে মামলা বাদী আশ্ররাফ মেম্বার জানান, সন্ত্রাসীরা পরিকল্পিত ভাবে আমাকে হত্যা করতে চেয়েছিল। আল্লাহর রহমতে আমি প্রানে রক্ষা পাই। তাদের রামদার কোপে আমার বাম হাতের ৩টি আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। হত্যাকারিরা প্রকৃত ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য বিভান্তিমুলক আপপ্রচার চালাচ্ছে।

মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম বদিউজ্জামান বলেন, এ জোড়া খুনের ঘটনায় পুলিশ এ পর্যন্ত আানিস মিয়া, কনু মিয়া, ফারুক মিয়া, দুর্বাজ ওরফে খোকন, মোমেন মিয়া, কামরুল হাসান, আমজাদ মোল্লা, খোকন মিয়া ও সুজনসহ ৯ জনকে গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার বিকেলে কুমিল্লা জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে এবং এ ঘটনার সাথে জড়িত অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।