ঢাকা ০৮:৫৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্র স্থানান্তরের দাবি

মোঃ হাবিুর রহমান, বিশেষ প্রতিনিধিঃ

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ১০নং যাত্রাপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ঝুঁকিপূর্ণ ভবানীপুর ফোরকানিয়া মাদরাসার ভোট কেন্দ্রটি জনস্বার্থে পাশের মনোরম পরিবেশে অবস্থিত ভবানীপুর দাখিল মাদরাসায় স্থানাস্তর করার জন্য দীর্ঘদিন যাবত দাবি জানিয়ে আসছে এলাকাবাসী।

এ ব্যাপারে শতাধিক লোকজনের স্বাক্ষরিত একটি আবেদন প্রধান নির্বাচন কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট দাখিল করলেও ভোট কেন্দ্রটি স্থানান্তর করার বিষয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা (অ: দা:) মাসুদুল হক রহস্যজনক ভূমিকা নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

জানা যায়, ভবানীপুর ফোরকানিয়া মাদরাসার ভোট কেন্দ্রটি জরাজীর্ণ, ঝুঁকিপূর্ণ ও যোগাযোগের বিষম অসুবিধা হওয়ায় পাশেই অবস্থিত ভবানীপুর দাখিল মাদরাসায় ভোট কেন্দ্রটি স্থানাস্তর করার জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট গত ২১ এপ্রিল এলাকার শতাধিক লোকজনের স্বাক্ষরিত আবেদন করে। উক্ত আবেদনের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার সরেজমিন পরিদর্শনকালে ঝুঁকিপূর্ণ ভোট কেন্দ্রটি নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করতে দেখা যায় উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা (অ: দা:) মাসুদুল হকের। তাৎক্ষনিক মেম্বার প্রার্থী জজ মিয়ার সাথে দেখা হওয়া মাত্রই সুর পাল্টে যায় তাঁর। ঝুঁকিপূর্ণ ভোট কেন্দ্রটি বহাল রাখার শর্তে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা (অ: দা:) মাসুদুল হকের সাথে মেম্বার প্রার্থী জজ মিয়ার অলিখিত চুক্তি হয়েছে বলে নির্ভর যোগ্য সূত্রে জানা গেছে। ফলে নির্বাচন কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করতে মেম্বার প্রার্থী তার অনুসারীদের কাছ থেকে ভোট কেন্দ্র রক্ষার নামে প্রকাশ্যে টাকা তোলা হচ্ছে। এখন তিনি মেম্বার প্রার্থী জজ মিয়ার কাছ থেকে মোটা অংকের উৎকোচ নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভোট কেন্দ্রটি বহাল রাখার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেছেন বলে জানা গেছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা (অ: দা:) মাসুদুল হকের অদৃশ্য ক্ষমতার খুটির জোরে ঝুঁকিপূর্ণ ভোট কেন্দ্রটি জনস্বার্থে স্থানান্তর করার জন্য কোন প্রকার উদ্যোগ নেয়া হয়নি। ফলে এলাকার সাধারণ ভোটারদের মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে।

এ দিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গোলাম নবী নামে এক মেম্বার প্রার্থীর সুবিধার্থে মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা (অ: দা:) মাসুদুল হক আকবপুর ইউনিয়নের পান্ডুঘর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্র থেকে একই ওয়ার্ডের কোড়ের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অতিরিক্ত কেন্দ্র স্থাপন করেন। যা নিয়ে এলাকায় নিন্দার ঝরের পাশাপাশি সর্বমহলে তোলপাড় চলছে।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা (অ: দা:) মাসুদুল হক তাঁর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, ঝুঁকিপূর্ণ ভোট কেন্দ্র স্থানান্তর করার সময় শেষ হয়ে গেছে। ৫/৬ মাস আগে হলে কিছু করা সম্ভব ছিল। এখন আমার কিছুই করার নেই। ঝুঁকিপূর্ণ ভোট কেন্দ্রটি জনস্বার্থে স্থানান্তর করতে রহস্যজনক ভূমিকা ও এক মেম্বার প্রার্থীর সাথে আর্থিক লেনদেনের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি আমতা আমতা করে বিষয়টি এড়িয়ে যান।

কুমিল্লা জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম জানান, ভোট কেন্দ্র ঝুঁকি মনে করলে যে কোন মুহুর্তে ঝুঁকিমুক্ত এলাকায় কেন্দ্র স্থানান্তর করা যাবে। এ নিয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার বিমাতাসূলভ আচরনের বিষয়টি নিয়ে আমি আলাপ করব। কোন মেম্বার প্রার্থীর সাথে যোগসাজস থাকার কোন অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

শিক্ষার্থীদের উপর হামলার প্রতিবাদে মুরাদনগরে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ

মুরাদনগরে ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্র স্থানান্তরের দাবি

আপডেট সময় ০৬:০৯:০৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ মে ২০১৬

মোঃ হাবিুর রহমান, বিশেষ প্রতিনিধিঃ

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ১০নং যাত্রাপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ঝুঁকিপূর্ণ ভবানীপুর ফোরকানিয়া মাদরাসার ভোট কেন্দ্রটি জনস্বার্থে পাশের মনোরম পরিবেশে অবস্থিত ভবানীপুর দাখিল মাদরাসায় স্থানাস্তর করার জন্য দীর্ঘদিন যাবত দাবি জানিয়ে আসছে এলাকাবাসী।

এ ব্যাপারে শতাধিক লোকজনের স্বাক্ষরিত একটি আবেদন প্রধান নির্বাচন কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট দাখিল করলেও ভোট কেন্দ্রটি স্থানান্তর করার বিষয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা (অ: দা:) মাসুদুল হক রহস্যজনক ভূমিকা নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

জানা যায়, ভবানীপুর ফোরকানিয়া মাদরাসার ভোট কেন্দ্রটি জরাজীর্ণ, ঝুঁকিপূর্ণ ও যোগাযোগের বিষম অসুবিধা হওয়ায় পাশেই অবস্থিত ভবানীপুর দাখিল মাদরাসায় ভোট কেন্দ্রটি স্থানাস্তর করার জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট গত ২১ এপ্রিল এলাকার শতাধিক লোকজনের স্বাক্ষরিত আবেদন করে। উক্ত আবেদনের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার সরেজমিন পরিদর্শনকালে ঝুঁকিপূর্ণ ভোট কেন্দ্রটি নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করতে দেখা যায় উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা (অ: দা:) মাসুদুল হকের। তাৎক্ষনিক মেম্বার প্রার্থী জজ মিয়ার সাথে দেখা হওয়া মাত্রই সুর পাল্টে যায় তাঁর। ঝুঁকিপূর্ণ ভোট কেন্দ্রটি বহাল রাখার শর্তে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা (অ: দা:) মাসুদুল হকের সাথে মেম্বার প্রার্থী জজ মিয়ার অলিখিত চুক্তি হয়েছে বলে নির্ভর যোগ্য সূত্রে জানা গেছে। ফলে নির্বাচন কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করতে মেম্বার প্রার্থী তার অনুসারীদের কাছ থেকে ভোট কেন্দ্র রক্ষার নামে প্রকাশ্যে টাকা তোলা হচ্ছে। এখন তিনি মেম্বার প্রার্থী জজ মিয়ার কাছ থেকে মোটা অংকের উৎকোচ নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভোট কেন্দ্রটি বহাল রাখার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেছেন বলে জানা গেছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা (অ: দা:) মাসুদুল হকের অদৃশ্য ক্ষমতার খুটির জোরে ঝুঁকিপূর্ণ ভোট কেন্দ্রটি জনস্বার্থে স্থানান্তর করার জন্য কোন প্রকার উদ্যোগ নেয়া হয়নি। ফলে এলাকার সাধারণ ভোটারদের মধ্যে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে।

এ দিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গোলাম নবী নামে এক মেম্বার প্রার্থীর সুবিধার্থে মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা (অ: দা:) মাসুদুল হক আকবপুর ইউনিয়নের পান্ডুঘর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্র থেকে একই ওয়ার্ডের কোড়ের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অতিরিক্ত কেন্দ্র স্থাপন করেন। যা নিয়ে এলাকায় নিন্দার ঝরের পাশাপাশি সর্বমহলে তোলপাড় চলছে।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা (অ: দা:) মাসুদুল হক তাঁর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, ঝুঁকিপূর্ণ ভোট কেন্দ্র স্থানান্তর করার সময় শেষ হয়ে গেছে। ৫/৬ মাস আগে হলে কিছু করা সম্ভব ছিল। এখন আমার কিছুই করার নেই। ঝুঁকিপূর্ণ ভোট কেন্দ্রটি জনস্বার্থে স্থানান্তর করতে রহস্যজনক ভূমিকা ও এক মেম্বার প্রার্থীর সাথে আর্থিক লেনদেনের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি আমতা আমতা করে বিষয়টি এড়িয়ে যান।

কুমিল্লা জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম জানান, ভোট কেন্দ্র ঝুঁকি মনে করলে যে কোন মুহুর্তে ঝুঁকিমুক্ত এলাকায় কেন্দ্র স্থানান্তর করা যাবে। এ নিয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার বিমাতাসূলভ আচরনের বিষয়টি নিয়ে আমি আলাপ করব। কোন মেম্বার প্রার্থীর সাথে যোগসাজস থাকার কোন অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।