ঢাকা ০৮:৪২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুরাদনগরে টিউবওয়েল থেকে গ্যাস উদগিরণ

আজিজুর রহমান রনি, বিশেষ প্রতিনিধিঃ

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার নবঘটিত বাঙ্গরা থানার খামার গাঁও গ্রামে নতুন টিউবওয়েল স্থাপন করতে গিয়ে বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়ে তীব্র চাপের সঙ্গে গ্যাস নির্গত হচ্ছে। সংলগ্ন এলাকা কেঁপে ওঠে শোঁ শোঁ শব্দে গ্যাস বের হচ্ছে। এ ঘটনায় দূর-দূরান্ত থেকে উৎসুক জনতা ভিড় করছে। প্রাণচাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে প্রত্যন্ত এ এলাকাটিতে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সোমবার সকালে বাঙ্গরা ইউনিয়নের খামার গাঁও গ্রামের প্রবাসী বাহাদুর মিয়ার বাড়িতে ২৫০ ফুট পাইপে টিউবওয়েল বসানোর কাজ শুরু করে চার শ্রমিক। ১৮০ ফুট পর্যন্ত পাইপ মাটির নিচে যাওয়ার পর বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়ে অবিরাম গ্যাস বের হতে থাকে। এ বিস্ফোরণে তিনটি গাছের ঢাল পালা উপড়ে গিয়ে ঘরের টিনের চালে পড়ে ও বাড়িটি ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। পাশের ঘরেরও কিছুটা ক্ষতি হয়। গ্যাসের সঙ্গে বালু মাটি মিশে ১৫০ থেকে ২০০ ফুট উচ্চতায় নিক্ষেপ হতে থাকে। স্থানীয় লোকজন এ সময় বালি ও মাটির বস্তা ফেলে গ্যাস নির্গমন ঠেকানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। প্রায় তিন ঘণ্টা চেষ্টা করে গ্যাস নির্গমন কিছুটা কমানো হয়। তবে এখনো শোঁ শোঁ শব্দে বিপুল পরিমাণ কাদা ও বালুমিশ্রিত গ্যাস বের হওয়া চলমান রয়েছে। গ্যাসের চাপে ওই বাড়িরর ঘর ও উঠান কেঁপে উঠছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করেছে।

বাড়ির গৃহকর্ত্রী শাকিলা বেগম বলেন, ‘পাইপ স্থাপনের সময় হঠাৎ বিস্ফোরণে আশপাশের গাছ ও পাইপ টিনের চালে ছিটকে পড়ে। এ সময় ভয়ে আমরা ছোঁটাছুঁিট করে পালিয়ে যাই। এবং দুশ্চিন্তা গ্রস্থ হয়ে বিষয়টিকে জানানোর জন্য বাখরাবাদ গ্যাস ফিল্ড কুমিল্লা জোনাল কার্যালয় চাপাপুরে যেয়ে বিজিএফ কর্মকর্তাদের অবহিত করালে তারা কোন ব্যবস্থা না নিয়ে আমাকে নবীনগর যেয়ে জানাতে বলে  ’

মিস্ত্রি তোফাজ্জল মিয়া বলেন, যেভাবে শোঁ শোঁ শব্দে গ্যাস বের হচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে এখনো অনেক গ্যাস রয়েছে। প্রত্যেক্ষ দর্শী মো. রুহল আমীন বলেন, টানা দুই-তিন ঘণ্টা চেষ্টা করে গ্যাসের তীব্র নির্গমন চাপ কমানো হলেও এখনো শোঁ শোঁ করে গ্যাস বের হচ্ছে।

বাঙ্গরা থানার ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, এখনো গ্যাস বের হয়ে থাকলে। নিরাপত্তার স্বার্থে ওই এলাকায় কর্ডনের ব্যবস্থা করা হবে।

মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাসেলুল কাদের বলেন, গ্যাসক্ষেত্রের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে গ্যাস সংশ্লিষ্টদেরকে খবর দেওয়া হয়েছে।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

শিক্ষার্থীদের উপর হামলার প্রতিবাদে মুরাদনগরে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ

মুরাদনগরে টিউবওয়েল থেকে গ্যাস উদগিরণ

আপডেট সময় ০২:০৮:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ নভেম্বর ২০১৬
আজিজুর রহমান রনি, বিশেষ প্রতিনিধিঃ

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার নবঘটিত বাঙ্গরা থানার খামার গাঁও গ্রামে নতুন টিউবওয়েল স্থাপন করতে গিয়ে বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়ে তীব্র চাপের সঙ্গে গ্যাস নির্গত হচ্ছে। সংলগ্ন এলাকা কেঁপে ওঠে শোঁ শোঁ শব্দে গ্যাস বের হচ্ছে। এ ঘটনায় দূর-দূরান্ত থেকে উৎসুক জনতা ভিড় করছে। প্রাণচাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে প্রত্যন্ত এ এলাকাটিতে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সোমবার সকালে বাঙ্গরা ইউনিয়নের খামার গাঁও গ্রামের প্রবাসী বাহাদুর মিয়ার বাড়িতে ২৫০ ফুট পাইপে টিউবওয়েল বসানোর কাজ শুরু করে চার শ্রমিক। ১৮০ ফুট পর্যন্ত পাইপ মাটির নিচে যাওয়ার পর বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়ে অবিরাম গ্যাস বের হতে থাকে। এ বিস্ফোরণে তিনটি গাছের ঢাল পালা উপড়ে গিয়ে ঘরের টিনের চালে পড়ে ও বাড়িটি ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। পাশের ঘরেরও কিছুটা ক্ষতি হয়। গ্যাসের সঙ্গে বালু মাটি মিশে ১৫০ থেকে ২০০ ফুট উচ্চতায় নিক্ষেপ হতে থাকে। স্থানীয় লোকজন এ সময় বালি ও মাটির বস্তা ফেলে গ্যাস নির্গমন ঠেকানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। প্রায় তিন ঘণ্টা চেষ্টা করে গ্যাস নির্গমন কিছুটা কমানো হয়। তবে এখনো শোঁ শোঁ শব্দে বিপুল পরিমাণ কাদা ও বালুমিশ্রিত গ্যাস বের হওয়া চলমান রয়েছে। গ্যাসের চাপে ওই বাড়িরর ঘর ও উঠান কেঁপে উঠছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করেছে।

বাড়ির গৃহকর্ত্রী শাকিলা বেগম বলেন, ‘পাইপ স্থাপনের সময় হঠাৎ বিস্ফোরণে আশপাশের গাছ ও পাইপ টিনের চালে ছিটকে পড়ে। এ সময় ভয়ে আমরা ছোঁটাছুঁিট করে পালিয়ে যাই। এবং দুশ্চিন্তা গ্রস্থ হয়ে বিষয়টিকে জানানোর জন্য বাখরাবাদ গ্যাস ফিল্ড কুমিল্লা জোনাল কার্যালয় চাপাপুরে যেয়ে বিজিএফ কর্মকর্তাদের অবহিত করালে তারা কোন ব্যবস্থা না নিয়ে আমাকে নবীনগর যেয়ে জানাতে বলে  ’

মিস্ত্রি তোফাজ্জল মিয়া বলেন, যেভাবে শোঁ শোঁ শব্দে গ্যাস বের হচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে এখনো অনেক গ্যাস রয়েছে। প্রত্যেক্ষ দর্শী মো. রুহল আমীন বলেন, টানা দুই-তিন ঘণ্টা চেষ্টা করে গ্যাসের তীব্র নির্গমন চাপ কমানো হলেও এখনো শোঁ শোঁ করে গ্যাস বের হচ্ছে।

বাঙ্গরা থানার ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, এখনো গ্যাস বের হয়ে থাকলে। নিরাপত্তার স্বার্থে ওই এলাকায় কর্ডনের ব্যবস্থা করা হবে।

মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাসেলুল কাদের বলেন, গ্যাসক্ষেত্রের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে গ্যাস সংশ্লিষ্টদেরকে খবর দেওয়া হয়েছে।