মো: মোশাররফ হোসেন মনিরঃ
মুরাদনগর বার্তা টোয়েন্টিফোর ডটকম: কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় হত্যা করা কলেজছাত্রী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনুর জেলার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা পশ্চিম ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম।
সোমবার সন্ধ্যায় মির্জাপুর বাজার মোড়ে জানাজা শেষে মির্জাপুর কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়।
নিহত সোহাগী জাহান তনু কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডর অফিস সহকারী ও উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের ইয়ার হোসেনের কন্য। তারা দুই ভাই এক বোন ছিল।
তনুর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করতে বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করার জন্য বৃস্পতিবার সকালে তার পরিবারে কাছে ছুটে যান মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনসুর উদ্দিন ও সহকারি কমিষনার (ভূমি) আজগর আলী।
এ সময় জেলা প্রশাসক ও মুরাদনগর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দশ হাজার করে বিশহাজার টাক তার পরিবারের কাচ্ছে হস্তান্তর করেন এবং জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে এক খন্ড খাস জমি শোকাহত পরিবারটিকে প্রধানের ঘোষনা দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মনসুর উদ্দিন। পরে তনুর কবর জিয়ারত করেন উপজেলা প্রশাসন।
নিহতের পারিবাররা জানায়, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ইতিহাস বিভাগের (সম্মান) ২য় বর্ষের মেধাবী ছাত্রী ও ভিক্টোরিয়া কলেজ থিয়েটারের সদস্য সোহাগী জাহান তনু গত রবিবার সন্ধ্যায় প্রইভেট পড়ার জন্য বের হলে পরে বাসায় ফিরে না আসায় তাকে খোঁজা খোঁজি শুরু করে পরিবারের সদস্যরা। রাতে ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন কালভার্টের পামে জোপের মধ্যে তার লাশ পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে নিহতের পিতা ইয়ার হোসেন বাদী হয়ে পরদিন কোতোয়ালী মডেল থানায় অজ্ঞাত পরিচয় ব্যাক্তিদের নামে হত্যা মামলা করেন। ৫দিন পেরিয়ে গেলেও এ পর্যন্ত ঘাতকদের শনাক্ত করতে না পারায় পরিবারের সদস্যরা ক্ষুব প্রকাশ করেন অভিযোগ করেন
সোহাগীর বাবা ইয়ার হোসেন জানান, তনুকে জখন পাই তখন মাথার পেছন দিকে আঘাতের চিহ্ন মুখ দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিল। তিনি আরও জানান, পরিবার পরিজন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি তাই আমরা গ্রামের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছি। আমার মেয়ে তনুর হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন ও খুনিদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।