মো. শরিফুল আলম চৌধুরী, মুরাদনগর (কুমিল্লা) থেকে:
করোনাভাইরাসের থাবায় থমকে গেছে গোটা পৃথিবী। মহামারীর এমন দাপট এর আগে কোনদিন দেখেনি বিশ্ব। বাংলাদেশেও হানা দিয়েছে এ প্রাণঘাতী ভাইরাস।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সাধারণ ছুটিতে পুরো দেশ। আতংক, উদ্বেগ আর উৎকন্ঠার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে ঘরবন্দি মানুষ। এমতাবস্থায় না খেয়ে যাতে কোন দুঃস্থ ও অসহায় লোক মারা না যায় সেই ব্যাপারে জরুরিভাবে প্রদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সরকার।
ঈপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্থানীয় সাংসদ ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুনের ত্রান তহবিল থেকে বরাদ্ধ দেওয়া চাল, ডাল, আলু ও লবনসহ বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী বিতরণ শুরু করছেন বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রামে।
তবে, স্থানীয় সাংসদ ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুনের ত্রান তহবিল থেকে পাঠানো এসব ত্রান সামগ্রী বিতরণে একটু ভিন্ন পন্থা অবলম্বন করছেন কুমিল্লার মুরাদনগর থানা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক সফিকুল ইসলাম তুহিন ও তার টীম হ্যালো ছাত্রলীগ।
করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত রাখতে দিন ও রাতের আধারে তিনিসহ তার টীম হ্যালো ছাত্রলীগ গ্রামে গ্রামে ঘুরে নিজেই হতদরিদ্র, অসহায় ও দুঃস্থ পরিবার খুঁজে বের করে করে ওইসব ত্রান সামগ্রী বিতরণ করছেন।
মুরাদনগর উপজেলার দারোরা ইউনিয়নের সেই শতবর্ষী রংমালা বিবি (১০৭) পাশে দাঁড়িয়েছে মুরাদনগর থানা ছাত্রলীগ।
সোমবার দুপুরে মুরাদনগর থানা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে তার ঘরে ত্রান সামগ্রী পৌছে দেয়া হয়। মুরাদনগর থানা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক সফিকুল ইসলাম তুহিনের নেতৃত্বে মুরাদনগর উপজেলার কাজিয়াতল গ্রামের ওই শতবর্ষী বৃদ্ধার বাড়িতে গিয়ে তার হাতে এই ত্রান সামগ্রী তুলে দেন।
এ সময় মুরাদনগর প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক মো. শরিফুল আলম চৌধুরী, মুরাদনগর থানা কৃষকলীগের আহবায়ক কামাল উদ্দিন খন্দকার, থানা ছাত্রলীগের সদস্য রাজীব তুহিন, রিয়াজ উদ্দিন,মো. ইব্রাহীম ও মো. মিজানুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
মুরাদনগর থানা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক সফিকুল ইসলাম জানান, স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা মিজানুর রহমানের ফোন পেয়ে এসে দেখি শতবর্ষী রংমালার থাকার ঘরটি খুবই জরাজীর্ণ। বর্তমানে তার ভরন পোষনের জন্য কেউ নেই তাই তিনি যেনো খেয়ে পড়ে বাচঁতে পারেন সেজন্য প্রাকৃতিক মহামারীসহ দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিনীকে এ ত্রান সামগ্রী দেয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, হ্যালো ছাত্রলীগের ত্রান সামগ্রী নিয়ে উপস্থিত হলে অহেতুক মানুষের উপস্থিতি তেমন একটা থাকে না। তালিকা অনুযায়ী হতদরিদ্র, অসহায় ও দুঃস্থ পরিবার খুঁজে বের করে করে ত্রান সামগ্রী সুন্দর ও সুশৃংখলভাবে বিতরণ করা যায়।
প্রধানমন্ত্রী ও স্থানীয় এমপির গৃহীত প্রদক্ষেপ, করোনার কারণে গৃহবন্দি থেকে কোন লোক যাতে না খেয়ে মারা না যায় সেটি নিশ্চিত করতে দিন ও রাতের আধারে ঘরে ঘওে তারা নিজেই ত্রান সামগ্রী নিয়ে হাজির হচ্ছেন।