মোঃ মোশাররফ হোসেন মনিরঃ
এদিকে নিরিহ মানুষের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা নিয়ে এলাকার সচেতন মহলে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
বাজারের ব্যবসায়ী ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল সোমবার সকালে পুলিশের একটি দল জাল টাকা উদ্ধার অভিযানে বাঙ্গরা বাজার থানার হায়দরাবাদ বাজারে যায়। ওই সময় বাজারের সাধারণ সম্পাদক সোহেল মিয়ার দোকানে জাল টাকা রয়েছে বলে অভিযানের চেষ্টা করলে এ নিয়ে বাজারের ব্যবসায়ী ও স্থানীয় গ্রামবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। এক পর্যায়ে তারা পুলিশকে অবরুদ্ধ করে রাখে। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ২৬ রাউন্ড রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে এবং লাঠিচার্জ করে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে ৩ পুলিশ সদস্যকে উদ্ধার করে। এ সময় পুলিশের রাবার বুলেট ও লাঠিচার্জে বাজারের ব্যবসায়ী ও স্থানীয় কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়। ওই সময় ২ লাখ জাল টাকা উদ্ধার করা হয়েছে এবং এ ঘটনায় ৪ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়। পরে এ ঘটনায় গতকাল রাতেই থানার এএসআই মোসলেম বাদী হয়ে পৃথক ২টি মামলা দায়ের করেন। জাল টাকা উদ্ধারের মামলায় ব্যবসায়ী সোহেল মিয়া ও লাইলী বেগমকে এজাহার নামীয় আসামি এবং পুলিশকে অবরুদ্ধ করে আহত করার মামলায় ব্যবসায়ী সোহেল মিয়া, হায়দরাবাদ এলাকার রুবেল মিয়া, মাদক সম্রাট মনির হোসেন, হারুনসহ ২০ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামাসহ আরো ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে এলাকার লোকজন জানান, ২টি মামলায় গ্রেপ্তার আতঙ্কে স্থানীয় এলাকার লোকজন পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
এদিকে হায়দরাবাদ বাদামতলী বাজারের ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, পুলিশ নিরিহ গ্রামবাসীকে অহেতুক হয়রানি করছে।
আরো বলেন, বাঙ্গরা বাজার থানা পুলিশের কর্মকাণ্ডে এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। তিনি এ ঘটনার সুষ্ট তদন্ত দাবি করেছেন।
এ ব্যাপারে বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, এলাকায় জাল টাকার চক্র রয়েছে। এ পর্যন্ত ৪টি চক্রকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে মামলা দেওয়া হয়েছে। তবে গ্রেপ্তারকৃতরা জাল টাকার গডফাদারদের নাম বলছে না। ফলে তারা থেকে যাচ্ছে ধরাছোয়ার বাইরে। এসব গডফাদারদের গ্রেপ্তারের জন্য চেষ্টা অব্যাহত আছে।