মো: মোশাররফ হোসেন মনিরঃ
কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার ধামঘর ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিভিন্ন কায়দায় ছবি উঠিয়ে জিম্মি করে পঞ্চম শ্রেনির ছাত্রীকে (১০) ধর্ষনের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় চাচাত ভাই খাইরুল ইসলাম মিনহাজ বাদী হয়ে একটি মামলা করেছে।
এঘটনায় ধর্ষক ইব্রাহীম (২২) ও তার সহযোগিসহ দুজনকে আটক করেছে মুরাদনগর থানা পুলিশ।
আটককৃতরা হলো লক্ষীপুর গ্রামের মুজিবুর রহমানের ছেলে ও ধর্ষক ইব্রাহীম খলিল (২২) ও একই গ্রামের শহীদ মিয়ার ছেলে মনির(২২)।
সুত্রে জানা যায়, উপজেলার মুকসাইর দত্তক আনা মেয়ে ও মুকসাইর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী (১০) সাথে লক্ষীপুর গ্রামের ইব্রাহীমের সাথে কিছুদি পূর্বে সর্ম্পক গড়ে উঠে। এক পর্যায়ে বখাটে ইব্রাহিম বিভিন্ন কৌশলে ফুসলিয়ে ছাত্রীকে নিয়ে মুরাদনগর শিল্প ও বানিজ্য মেলায় ঘুরতে আসে। সেখানে ইব্রাহীম তার মোবাইল ফোনে বিভিন্ন ভবে দুজনের ছবি তুলে নেয়। পরে ইব্রাহীম তার মোবাইল ফোনের ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে প্রকাশ করে দিবে বলে কিশোরীকে জানায়। গত ৭ই ফেব্রুয়ারী বখাটে ইব্রাহীম মুকসাইর গ্রামে কিশোরীর বাড়ীতে যায় এবং তার মা বাড়ীতে না থাকার সুযোগে ছবিগুলো ইন্টারনেটে প্রকাশের ভয় দেখিয়ে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষন করে। নরপশু ইব্রাহীম ধর্ষনের সময় আরো কিছু ছবি তুলে নেয়। দুদিন পর ইব্রাহীমের সহযোগী লক্ষীপুর গ্রামের শিপন (২২) সে ছবি দেখিয়ে মেয়ের মাকে বলে তাকে টাকা দিতে, টাকা না দিলে তার মেয়ের বিবস্ত্র ছবি ইন্টারনেটে প্রকাশ করে দেবে বলে হুমকি দেয়। বিষয়টি মুরাদনগর থানা পুলিশকে অবহিত করলে শুক্রবার রাতে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো: হাবিবুর রহমান, পুলিশ উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম ও বিল্লাল হোসেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ অভিযান চালিয়ে লক্ষীপুর গ্রাম থেকে ধর্ষক ইব্রাহীম ও সহযোগী মনিরকে গ্রেফতার করে।
ধর্ষিতার মা বলেন, আমার কোন সন্তান না থাকায় আমি ৯ বছর আগে রাহিমাকে দত্তক নিয়েছিলাম। আমার মেয়ের সাথে যারা এসব নোংরামি করেছে , আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
এব্যাপারে মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম বদিউজ্জামান বলেন, ধর্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ধর্ষকের মেবাইল ফোনটিও জব্দ করা হয়েছে।