মো: মোশাররফ হোসেন মনিরঃ
কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার মুরাদনগর-ইলিয়টগঞ্জ সড়কের বোড়ারচর এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে পুলিশ-ডাকাতদলের গুলি বিনিময়ের ঘটনার প্রধান আসামিসহ তিন অন্ত:জেলা ডাকত সদস্যকে আটক করে পুলিশ।
আটকৃতরা হলো, মুরাদনগর উপজেলার কাজিয়াতল গ্রামের মোসলেম মিয়ার ছেলে জহিরুল ইসলাম(২৮), সুবিলারচর গ্রামের করম আলীর ছেলে আনোয়ার হোসেন(৩৫) ও দেবিদ্বার উপজেলার গুনাইঘর গ্রামের মনির হোসেনের ছেলে ইকবাল হোসেন (৩৫)।
শনিবার বিকেলে চান্দিনা ও ডেমরা থানায় পৃথক অভিযান চালিয়ে ঐ ডাকাত দলের তিন সদস্যকে আটক কওে মুরাদনগর থানা পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় ১০ জুন একটি ডাকাতি ঘটনায় ডাকাতি ও অস্ত্র আইনের (মামলা নং ১৬, ১৭ ও ১৮) মামলার এজহার নামীয় প্রধান আসামী জহিরুল ইসলাম জেলার চান্দিনা উপজেলায় অবস্থান করছে এমন গোপন সংবাদের বিত্তিতি মুরাদনগর থানার এসআই দেলোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ এবং চান্দিনা থানা পুলিশের সহযোগিতায় চান্দিনা বাজার থেকে শনিবার বিকেলে আটক করে মুরাদনগর থানায় নিয়ে আসে। জহির পুলিশের জিজ্ঞাসা বাদ কালে সে আরো দুই জন ডাকত সদস্যের অবস্থানের কথা বলে। এতে পুলিশ তার তথ্য মতো রাতেই ঢাকা জেলার ডেমরা থানার স্টাফ কোয়াটার ্এলোকা থেকে মনির হোসেন ও ইকবালকে আটক করে।
এ বিষয়ে মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম বদিউজ্জামান বলেন, আটকৃতরা মুরাদনগর থানার সংঘঠিত ডাকাতি ও গুলাগুলির বিষয়ের তিনটি মামলার আসামী। তাদের রবিবার বিকেলে কুমিল্লা জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।
প্রশঙ্গত, গত ১০ জুন উপজেলার মুরাদনগর-ইলিয়টগঞ্জ সড়কের বোড়ারচর এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে পুলিশ-ডাকাতদলের গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় কামাল হোসেন (৩৫) নামের এক ডাকাত সদস্য নিহত, ৪ জনসহ গুলিবিদ্ধসহ ৬ ডাকাতকে আটক করেছে মুরাদনগর থানা পুলিশ। এসময় ২টি এলজিসহ বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।