মুরাদনগর বার্তা ডেস্কঃ

এবার ৯৯৯ এ ফোন করে অভিযোগ করায় কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় এক প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে আপত্তিকর অবস্থায় লতিফ সরকার নামে এক ইউপি চেয়ারম্যানকে আটক করেছে মুরাদনগর থানা পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে ঐ প্রবাসীর স্ত্রীসহ চেয়ারম্যানকে আদালতে প্রেরণ করেছে মুরাদনগর থানা পুলিশ ।

আটক চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ মুরাদনগর উপজেলার রামচন্দ্রপুর দক্ষিন ইউনিয়নের পরপর দু’বারের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের অর্থবিষয়ক সম্পাদক।

পুলিশ ও এলাকাবাসি সূত্রে জানা যায়, একই ইউনিয়নের পাঁচকিত্তা গ্রামের প্রবাসী সবুজ মিয়ার স্ত্রীর সাথে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে যান চেয়ারম্যান লতিফ। প্রথমত কয়েক মাস তারা গোপনে মেলামেশা করলেও সম্প্রতি দিনের বেলায় একে অপরের বাড়িতে আসা যাওয়া করলে, এলাকার লোকজনের নজরে আসেন তারা। গতকাল সোমবার রাত আটায় প্রাবাসীর স্ত্রী ও চেয়ারম্যান লতিফ বাড়ির একটি কক্ষে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হলে, স্থানীয় লোকজন বাড়ির চারপাশ ঘিরে রেখে ত্রিপল নাইনে ফোন দিলে তার কিছু সময় পর স্থানীয় থানা পুলিশ তাদেরকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করে মুরাদনগর থানায় নিয়ে আসে। পরে মঙ্গলবার বিকেলে দুজনকে আদালতে প্রেরণ করা হয়। এ সময় মুচলেখা দিয়ে অভিযুক্তরা আদালত থেকে জামিন নেন।

চেয়ারম্যান লতিফের পরিবারে লোকজনের সাথে যোগাযোগ করে জানা যায়, তার স্ত্রী ও সন্তান চট্টগ্রাম জেলা শহরে বাস করেন। সেই সুবাদে চেয়ারম্যান লতিফ বাড়িতে একাই থাকেন।

আটককৃত লতিফ চেয়ারম্যান বলেন, আমি আমার দলের রাজনৈতিক শিকার। আমার অপর পক্ষ্য গ্রুপ ষড়যন্ত্র করে আমাকে ফাসিঁয়েছে।

মুরাদনগর থানার অফিসার ইনচার্জ একে এম মনজুর আলম বলেন, ‘ত্রিপল নাইন থেকে আমরা একটি ফোন পাই চেয়ারম্যান লতিফ এক মহিলা নিয়ে তার এলাকায় একটি কক্ষে আছেন এবং এলাকাবাসি তাকে ঘিরে রেখেছেন। ঘটনাস্থলে গিয়ে আমরা দেখতে পাই অনেক লোকজনের সমাগম। চেয়ারম্যান যে মহিলাকে নিয়ে আপত্তিকর অবস্থায় ছিলেন তাকে সে স্ত্রী পরিচয় দেন। কিন্তু তার স্বপক্ষে কোন প্রমান দিতে পারেননি চেয়ারম্যান। প্রবাসীর স্ত্রী তার স্বামীকে তালাক দেয়ার কাগজও দেখাতে পারেনি। তাই তাদেরকে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগে আটক করে মামলা দিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।